• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় রোবট

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০২০  

করোনাভাইরাস আতঙ্কে ভুগছে পুরো বিশ্ব। মহামারী এই ভাইরাসের প্রতিষেধক এখনও তৈরি করতে না পারায় মৃত্যুর মিছিল থামছে না। মানুষ থেকে মানুষে ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। ফলে সংক্রমণের ভয়ে রোগীদের কাছে গিয়ে যখন চিকিৎসা করা দায়, সেই চিন্তা মাথায় নিয়ে রোবট চিকিৎসক বানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে গিয়ে হাসপাতালে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীরাও আক্রান্ত হচ্ছেন রোগে। করোনার সাঁড়াশি চাপ থেকে রেহাই পেতে তাই অভিনব উপায় বের করল উহানের স্বাস্থ্য দফতর এবং চীনা একাডেমি অব সায়েন্সেস। করোনা রোগীদের চিকিৎসায় নামানো হলো প্রশিক্ষণ দেওয়া রোবটের দল।

গত শনিবার থেকে উহানের বিভিন্ন হাসপাতালে জোর কদমে কাজে নেমে পড়েছে ডাক্তার-রোবটরা। কিভাবে রোগীদের আইসোলেশনে নিয়ে যেতে হবে, সেখানে কী কী করণীয়, কেমন ভাবেই বা হবে চিকিৎসা, সব শিখিয়ে-পড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এই রোবটদের। সংক্রমণ কতটা হলে কী ওষুধ দিতে হবে সেটাও ভরে দেওয়া হয়েছে রোবটদের ডাটা সিস্টেমে।

৫-জি পাওয়ারের রোবট। এ টু জেড সব কাজ করতে পারে। ডাক্তারি তো বটেই। হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্বও তাদের। শরীরের তাপমাত্রা মাপছে, ওষুধও দিচ্ছে। সময় হলেই খাবারের থালা সাজিয়ে রোগীদের সামনে হাজির করছে ডাক্তার-রোবটরা। রোগীদের জামাকাপড় কাচা, তাদের পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্বও এদেরই ওপর।

দিনের পর দিন আইসোলেশন ওয়ার্ডে রোগীদের একঘেয়েমি কাটাতে হাল্কা নাচ-গানও করছে তারা। চীনের একাডেমি অব সায়েন্সেসের বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই রোবট মানুষের মতোই কথা বলতে পারে। মুখের অভিব্যক্তিও আছে। রোগীরা ওষুধ না খেলে বকাঝকাও করছে।

ডাক্তার-রোবটের প্রজেক্ট প্রথম শুরু হয় চীনের উচাং হাসপাতালে। এখন হুবেই প্রদেশের প্রায় সব হাসপাতালেই এই রোবটদের আমদানি শুরু হয়ে গেছে। 

ডাক্তাররা জানাচ্ছেন, হাসপাতালের ওয়ার্ড স্যানিটাইজ করার কাজও করছে এই রোবটরা। গত ৭ মার্চ সংক্রমণ সন্দেহে উহানে ২০০ জনকে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছিল। ১০টি হাসপাতালে নতুন করে তৈরি হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড। তা ছাড়া উহানের প্রায় প্রতিটি হাসপাতালেই ঠাসাঠাসি ভিড়। প্রতিদিন গাদা গাদা বর্জ্য জমা হচ্ছে, যা হাসপাতালের কর্মী ও ডাক্তারদের জন্যও বিপজ্জনক। এসব আগে সাফাইয়ের দায়িত্ব ছিল হাসপাতালকর্মীদের ওপরই। সেটা করতে গিয়েই অনেকে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন। 

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ