• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

ফাজায়েলে কোরআন

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০  

সৃষ্টিকূলের ওপর যেমন স্রষ্টার সম্মান ও মর্যাদা অপরিসীম, তেমনি সব বাণীর ওপর পবিত্র কোরআনের মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব অতুলনীয়। মানুষের মুখ থেকে যা উচ্চারিত হয়, তার মধ্যে কোরআন পাঠ সর্বাধিক উত্তম। মহাগ্রন্থ আল কোরআন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পঠিত পবিত্র ধর্মগ্রন্থ।

ফাজায়েলে কোরআন:

আবূ উমামাহ আল বাহিলী এ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘তোমরা কোরআন পাঠ করো। কারণ কেয়ামতের দিন তা পাঠকারীর জন্য শাফায়াতকারী হিসেবে আসবে। তোমার দুটি উজ্জ্বল সূরা অর্থাৎ সূরা আল বাকারা ও সূরা আলে ইমরান পড়ো। কেয়ামতের দিন এ দুটি সূরা এমনভাবে আসবে যেন তা দুখণ্ড মেঘ অথবা দুটি ছায়াদানকারী অথবা দু’ ঝাক উড়ন্ত পাখি যা তার পাঠকারীর পক্ষ হয়ে কথা বলবে। আর তোমরা সূরা আল বাকারা পাঠ করো। এ সূরাটিকে গ্রহণ করা বারাকাতের কাজ এবং পরিত্যাগ করা আফসোসের কাজ। আর বাতিলের অনুসারীরা এর মোকাবিলা করতে পারে না। 

হাদিসটির বর্ণনাকারী আবু মু’আবিয়াহ বলেছেন, আমি জানতে পেরেছি যে, বাতিলের অনুসারী বলতে যাদুকরদের কথা বলা হয়েছে। (সহিহ মুসলিম- হা: ১৭৫৯-২৫২ / ৮০৪)।

জাবির (রা.) হতে বর্ণিত। নবী (সা.) সূরা আলিফ লাম মীম তানযীল আস সাজদাহ ও সূরাহ মুলক না পড়ে ঘুমাতেন না। (জামি আত তিরমিযী- হা: ২৮৯২ হাদিসটি সহিহ)। 

আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সূরা মুলক (তেলাওয়াতকারীকে) কবরের আজাব থেকে প্রতিরোধকারী। (সিলসিলাতুল আহাদীসিস সহীহাহ- হা: ১১৪০ )। 

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সূরাহ আল বাকারার শেষ দুটি আয়াত এমন যে, যে ব্যক্তি কোনো রাতে ওই দোয়াটি পড়বে তা তার সে রাতের জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে। (সহিহ মুসলিম- হা: ১৭৬৩-২৫৫/৮০৭)। যথেষ্ট হওয়ার অর্থ হলো রাতের নফল সালাত আদায় করা অথবা শয়তানের অনিষ্ট থেকে অথবা বিপদাপদ থেকে বাঁচার জন্য যথেষ্ট হওয়া। (মুসলিম শারহে নাবী- ১ ম খণ্ড, ২৭১ পৃঃ)।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা তোমাদের ঘরসমূহ কবরস্থানে পরিণত করো না, যে ঘরে সূরা আল বাকারা তেলাওয়াত করা হয় তাতে শয়তান প্রবেশ করে না। (জামি আত তিরমিযী- হা: ২৮৭৭  হাদিসটি সহিহ)। 

সূরা আল বাকারার শেষ দুটি আয়াত-

সূরা আল বাকারা পবিত্র কোরআনুল কারিমের ০২ নম্বর সূরা। এ সূরাটি মদিনায় অবতীর্ণ, আয়াত সংখ্যা: ২৮৬। 

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

(২৮৫)
آمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْهِ مِن رَّبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ كُلٌّ آمَنَ بِاللّهِ وَمَلآئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ لاَ نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّن رُّسُلِهِ وَقَالُواْ سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ

অর্থ: ‘রাসূল বিশ্বাস রাখেন ওই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে যা তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাঁর কাছে অবতীর্ণ হয়েছে এবং মুসলমানরাও সবাই বিশ্বাস রাখে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাদের প্রতি, তাঁর গ্রন্থসমুহের প্রতি এবং তাঁর পয়গম্বরদের প্রতি। তারা বলে আমরা তাঁর পয়গম্বরদের মধ্যে কোনো তারতম্য করি না। তারা বলে, আমরা শুনেছি এবং কবুল করেছি। আমরা তোমার ক্ষমা চাই, হে আমাদের পালনকর্তা। তোমারই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।’

(২৮৬)
لاَ يُكَلِّفُ اللّهُ نَفْسًا إِلاَّ وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لاَ تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا رَبَّنَا وَلاَ تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا رَبَّنَا وَلاَ تُحَمِّلْنَا مَا لاَ طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَآ أَنتَ مَوْلاَنَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ

অর্থ: ‘আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোনো কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার ওপর বর্তায় যা সে করে। হে আমাদের পালনকর্তা! যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের ওপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর অর্পণ করেছ, হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ওই বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্যে কর।’

আবুদ দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত। নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সুরা আল কাহফ এর প্রথম দশটি আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফিতনাহ থেকে নিরাপদ থাকবে।  সহিহ মুসলিম- হা: ১৭৬৮-২৫৭/৮০৯)।

আবু সাঈদ আল খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিনে সূরাহ আল কাহফ পাঠ করবে, তার ঈমানের নূর এক জুমাহ হতে আরেক জুমাহ পর্যন্ত বিচ্ছুরিত হতে থাকবে।’ (বায়হাক্বীর ‘সুগরা ’-হা: ৬৩৫, সহিহ আত তারগীব- হা: ৭৩৬; আলবানী হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন) 

সূরা আল কাহফ এর প্রথম ১০ আয়াত-

সূরা কাহফ পবিত্র কোরআনুল কারিমের ১৮ নম্বর সূরা। এ সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত সংখ্যা: ১১০। 

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
 

(১)
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَنزَلَ عَلَى عَبْدِهِ الْكِتَابَ وَلَمْ يَجْعَل لَّهُ عِوَجَا
‘সব প্রশংসা আল্লাহর যিনি নিজের বান্দার প্রতি এ গ্রন্থ নাজিল করেছেন এবং তাতে কোনো বক্রতা রাখেননি।’

(২)
قَيِّمًا لِّيُنذِرَ بَأْسًا شَدِيدًا مِن لَّدُنْهُ وَيُبَشِّرَ الْمُؤْمِنِينَ الَّذِينَ يَعْمَلُونَ الصَّالِحَاتِ أَنَّ لَهُمْ أَجْرًا حَسَنًا
‘একে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন যা আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি ভীষণ বিপদের ভয় প্রদর্শন করে এবং মুমিনদেরকে যারা সৎকর্ম সম্পাদন করে-তাদেরকে সুসংবাদ দান করে যে, তাদের জন্যে উত্তম প্রতিদান রয়েছে।’

(৩)
مَاكِثِينَ فِيهِ أَبَدًا
‘তারা তাতে চিরকাল অবস্থান করবে।’

(৪)
وَيُنذِرَ الَّذِينَ قَالُوا اتَّخَذَ اللَّهُ وَلَدًا
‘এবং তাদেরকে ভয় প্রদর্শন করার জন্যে যারা বলে যে, আল্লাহর সন্তান রয়েছে।’

(৫)
مَّا لَهُم بِهِ مِنْ عِلْمٍ وَلَا لِآبَائِهِمْ كَبُرَتْ كَلِمَةً تَخْرُجُ مِنْ أَفْوَاهِهِمْ إِن يَقُولُونَ إِلَّا كَذِبًا
‘এ সম্পর্কে তাদের কোনো জ্ঞান নেই এবং তাদের পিতৃপুরুষদেরও নেই। কত কঠিন তাদের মুখের কথা। তারা যা বলে তা তো সবই মিথ্যা।’

(৬)
فَلَعَلَّكَ بَاخِعٌ نَّفْسَكَ عَلَى آثَارِهِمْ إِن لَّمْ يُؤْمِنُوا بِهَذَا الْحَدِيثِ أَسَفًا
‘যদি তারা এই বিষয়বস্তুর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না করে, তবে তাদের পশ্চাতে সম্ভবতঃ আপনি পরিতাপ করতে করতে নিজের প্রাণ নিপাত করবেন।’

(৭)
إِنَّا جَعَلْنَا مَا عَلَى الْأَرْضِ زِينَةً لَّهَا لِنَبْلُوَهُمْ أَيُّهُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا
‘আমি পৃথিবীস্থ সব কিছুকে পৃথিবীর জন্যে শোভা করেছি, যাতে লোকদের পরীক্ষা করি যে, তাদের মধ্যে কে ভালো কাজ করে।’

(৮)
وَإِنَّا لَجَاعِلُونَ مَا عَلَيْهَا صَعِيدًا جُرُزًا
‘এবং তার ওপর যা কিছু রয়েছে, অবশ্যই তা আমি উদ্ভিদশূন্য মাটিতে পরিণত করে দেবো

(৯)
أَمْ حَسِبْتَ أَنَّ أَصْحَابَ الْكَهْفِ وَالرَّقِيمِ كَانُوا مِنْ آيَاتِنَا عَجَبًا
‘আপনি কি ধারণা করেন যে, গুহা ও গর্তের অধিবাসীরা আমার নিদর্শনাবলীর মধ্যে বিস্ময়কর ছিল?’

(১০)
إِذْ أَوَى الْفِتْيَةُ إِلَى الْكَهْفِ فَقَالُوا رَبَّنَا آتِنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا
‘যখন যুবকরা পাহাড়ের গুহায় আশ্রয়গ্রহণ করে তখন দোয়া করে: হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে নিজের কাছ থেকে রহমত দান করুন এবং আমাদের জন্যে আমাদের কাজ সঠিকভাবে পূর্ণ করুন।’

‘আয়িশাহ (রা.) বলেন, সূরা বানী ইসরাঈল ও সূরা আয যুমার তেলাওয়াত না করা পর্যন্ত নবী (সা.) ঘুমাতেন না। (জামি আত তিরমিযী- হা: ২৯২০। হাদিসটি সহিহ)। 

সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যিব হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সূরা ইখলাস দশবার পড়বে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ তৈরি করবেন, যে বিশবার পাঠ করবে তার জন্য জান্নাতে দুটি প্রাসাদ তৈরি করবেন এবং যে ব্যক্তি ত্রিশবার পাঠ করবে তার জন্য আল্লাহ তিনটি প্রাসাদ তৈরি করবেন। (সিলসিলাতুল আহাদীসিস সহিহাহ- হা: ৫৮৯ হাদিসটি হাসান)।

আবু হুরাইরাহ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) এর সঙ্গে আসছিলাম। তখন তিনি এক ব্যক্তিকে ‘কুল হুওয়াল্লহু আহাদ’ (সূরা ইখলাস) পাঠ করতে শুনলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, ওয়াজিব (অবধারিত) হয়ে গেছে। আমি প্রশ্ন করলাম, কি ওয়াজিব হয়ে গেছে? তিনি বললেন, জান্নাত। (জামি আত তিরমিযী- হা: ২৮৯৭ হাদিসটি সহিহ)। 

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, তুমি সন্ধ্যায় ও সকালে উপনীত হয়ে তিনবার ‘কুল হুওয়াল্লহু আহাদ’ (সূরা ইখলাস), সূরা নাস ও সূরা ফালাক পড়বে, এতে তুমি যাবতীয় অনিষ্ট হতে রক্ষা পাবে। (সুনান আবু দাউদ- হা: ৫০৮২। হাদিসটি হাসান)। 

‘আয়িশাহ (রা.) হতে বর্ণিত যে, প্রতি রাতে নাবী (সা.) বিছানায় যাওয়ার প্রক্কিালে প্রক্কালে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করে দু হাত একত্র করে হাতে ফুক দিয়ে যতদূর সম্ভব সমস্ত শরীরে হাত বুলাতেন। মাথা ও মুখ থেকে আরম্ভ করে তার দেহের সম্মুখ ভাগের ওপর হাত বুলাতেন এবং তিনবার এরূপ করতেন। ( সহিহুল বুখারি- হা: ৫০১৭ )। 

সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস- 

সূরা ইখলাছ পবিত্র কোরআনুল কারিমের ১১২ নম্বর সূরা। এ সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত সংখ্যা: ০৪।

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
‘শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।’

 (১)
قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
বলুন, তিনি আল্লাহ, এক,

(২)
اللَّهُ الصَّمَدُ
আল্লাহ অমুখাপেক্ষী,

(৩)
لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি

(৪)
وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ
এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।

সূরা ফালাক পবিত্র কোরআনুল কারিমের ১১৩ নম্বর সূরা। এ সূরাটি মদিনায় অবতীর্ণ, আয়াত সংখ্যা: ০৫।

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

(১)
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ
বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার,

مِن شَرِّ مَا خَلَقَ
তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে,

(৩)
وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ
অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়,

(৪)
وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ
গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দিয়ে জাদুকারিনীদের অনিষ্ট থেকে

(৫)
وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ
এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।

সূরা নাস পবিত্র কোরআনুল কারিমের ১১৪ নম্বর সূরা। এ সূরাটি মদিনায় অবতীর্ণ, আয়াত সংখ্যা ০৬।

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

(১)
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ
বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করিতেছি মানুষের পালনকর্তার,

(২)
مَلِكِ النَّاسِ
মানুষের অধিপতির,

(৩)
إِلَهِ النَّاسِ
মানুষের মা’বুদের

(৪)
مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ
তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্নগোপন করে,

(৫)
الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ
যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে

(৬)
مِنَ الْجِنَّةِ وَ النَّاسِ
জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ