• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

স্বাধীনতার চেতনা কি অর্থহীন হবে?

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৯ নভেম্বর ২০১৮  

এ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার

বিস্মিল্লাহির রাহ্মানির রাহিম। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৮(২) অনুচ্ছেদ মোতাবেক “রাষ্ট্র প্রধানরূপে রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের অন্য সকল ব্যক্তির উর্দ্ধে স্থান লাভ করিবেন এবং এই সংবিধান ও অন্য কোন আইনের দ্বারা তাহাকে প্রদত্ব ও তাহার উপর অর্পিত সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কর্তব্য পালন করিবেন”, যদিও পরবর্তী ধারা অর্থাৎ অনুচ্ছেদ ৪৮(৩) মোতাবেক রাষ্ট্রপতির সকল ক্ষমতা খর্ব করে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ন্যাস্ত করা হয়েছে, যা সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি শাহাবউদ্দিনের মতে কবর জেয়ারত এবং মিলাদে অংশ গ্রহণ ছাড়া রাষ্ট্রপতির অন্যকোন কার্যকর ভূমিকা নাই। তারপরও রাষ্ট্রপতিই রাষ্ট্র প্রধান (সংবিধানে না থাকলেও যদিও প্রধানমন্ত্রীকেই রাষ্ট্র নায়ক উল্লেখ করে বক্তৃতার মঞ্চ, পোষ্টার ও বিলবোর্ড প্রভৃতি দেখা যায়) এবং যিনি নাগরিকদের ঐক্যের প্রতিক যা জনগণ প্রত্যাশা করে এবং জনগণ এটাও প্রত্যাশা করে যে, রাষ্ট্রপতি যে কোন ক্রান্তিলগ্নে জনগণকে দল মত নির্বিশেষে কাঠফাটা রৌদ্রে এক খন্ড মেঘ ছায়া দিয়ে সান ষ্ট্রোক থেকে যেমনি রক্ষা করে তেমনি নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষকে তিনি ছায়া দিয়ে বাঁচাবেন। (১) তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, যিনি একজন নারী, যার বয়স ৭৩ সৎসর, কারাবন্দী অবস্থায় তার সুচিকিৎসার জন্য উচ্চ আদালতে এসে ধরনা দিতে হয় এবং রাষ্ট্রের প্রধান আইনজীবি সহ রাষ্ট্রীয় আইনজীবিরা জীবনকে বাজী রেখে তা ঠেকানোর চেষ্ঠা করে, অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে যে, কার্য বিধির ৪৯৭ ধারার “শর্ত প্রভিশন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। উক্ত শর্ত প্রভিশনে বলা হয়েছে যে, এই রূপ অপরাধে (অর্থাৎ জামিন অযোগ্য) অভিযুক্ত কোন ব্যক্তি ষোল বৎসরের নি¤œ বয়স্ক বা স্ত্রী লোক বা পীড়িত বা অক্ষম হইলে আদালত তাহাকে জামিনে মুক্তি দিবার আদেশ দিতে পারিবেন”, (২) ঘটনা ঘটেনাই এখন কাল্পনিক এজাহার করে রাষ্ট্রীয় কর্মচারী (পুলিশ) প্রতি থানায় এক মাসে ২৫-৩০-৪০ মৃত্যু দন্ড হতে পারে এমন ধারায় (বিশেষ ক্ষমতা আইন’ ১৯৭৪ এর ১৫(৩) ধারা) মামলা রুজু করে এবং সেই মামলায় ম্যাজিষ্ট্রেট রিমান্ড দিয়ে রাষ্ট্রীয় কর্মচারী পুলিশকে ভালো ভাবেই টু-পাইস কামানোর সূযোগ করে দেয়, পত্রিকার ভাষায় যা গায়েবী মামলা এবং হাই কোর্টের ভাষায় বর্ণিত মামলায় “পুলিশের ইমেজ ও বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হচ্ছে”, (৩) জাতীয় নির্বাচন আসন্ন, বিরোধী দলের নেতা কর্মীরা যখন হাই কোর্ট, জজ কোর্ট, ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টের বারান্দায়, সেখানে সরকারী দল রাষ্ট্রীয় অর্থে নির্বাচনী প্রচারনায় দেশ চষে বেড়াচ্ছে, অথচ এ মর্মে রাষ্ট্রের অভিবাবকের তথা রাষ্ট্রপতির কোন নুন্যতম হস্তক্ষেপ না থাকায় একজন সচেতন নাগরিকের অবচেতন মনেই আস্তা অনাস্থার বিষয়টি ঘোরপাক হতেই পারে এবং হওয়াটাই অত্যান্ত স্বাভাবিক। কিন্তু ০৫/১০/২০১৮ ইং তারিখ ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপচার্য হিসাবে তার প্রদত্ব ভাষনে তিনি দেশে চলমান অবস্থা, সামাজিক অবক্ষয়, রাজনীতিতে দূবৃত্তায়ন, রাষ্ট্র পরিচালনায় ও জাতীয় রাজনীতিতে আমলাতান্ত্রিক নোংরা প্রভাব, দূরবত্তায়ন ও অনাচার প্রভৃতি সম্পর্কে একটি সঠিক চিত্র তুলে ধরেছেন, যার জন্য রাষ্ট্রপতি এ্যাড: আব্দুল হামিদকে ধন্যবাদ না জানিয়ে পারছি না। তিনি সাদা মাটা আঞ্চলিক ও প্রাঞ্জল ভাষায় বলেছেন যে, “এহন রাজনীতি হয়ে গেছে গরিবের বউয়ের মতো। এখানে যে কেউ, যেকোনো সময় ঢুকে পড়তে পারে। কোনো বাধাবিঘœ নাই। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিকসের লেকচারার হইতাম চাই, নিশ্চয়ই ভিসি সাহেব আমারে ঢুকাইবনে না। বা আমি যদি কোনো হাসপাতালে গিয়া বলি, এত দিন রাজনীতি করছি, হাসপাতালে ডাক্তার করার লাইগ্যা দেও। বোঝেন, অবস্থাটা কী হবে? কিন্তু রাজনীতি গরিবের ভাউজ, সবাই ইঞ্জিনিয়ার কইন আর ডাক্তারই কইন, এই ভিসি সাবও ৬৫ বছর হইলে কইবো, “আমিও রাজনীতি করুম”। যারা সরকারি চাকরি করে, জজ সাবরা যারা আছে ৬৭ বছর চাকরি করবো। রিটায়ার্ড কইরা কইবো “আমিও রাজনীতি করিব”। আর্মির জেনারেল অয়, সেনাপ্রধান অয়, অনেকে রিটায়ারমেন্টে গিয়েই কয়, “আমিও রাজনীতি করিব”। সরকারি সচিব, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, কেবিনেট সেক্রেটারি, বা জয়েন্ট সেক্রেটারি প্রত্যেকেই রিটায়ার কইরা বলে, “আমি রাজনীতি করিব”। এটার কোনো রাখঢাক নাই, কোনো নিয়মনীতি, বালাই নাই। যে ইচ্ছা, যখন ইচ্ছা তখনই রাজনীতিতে ঢুকছে। ডাইরেক্ট রাজনীতির মধ্যে আইসা তারা ইলেকশন করবে, মন্ত্রী হয়ে যাবে, এটা যেন কেমন-কেমন লাগে। যার জন্যেই আমার মনে হয়, আমাদের দেশের রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন হচ্ছে না। এমনকি পুলিশের অনেক উর্ধ্বতন ডিআইজি, আইজিরাও রাজনীতি করে। আবার মনে মনে কই, আমরা রাজনীতি করার সময় এই পুলিশ তোমার বাহিনী দিয়া কত পাছার মধ্যে বাড়ি দিছ। তুমি আবার আমার লগে আইছ রাজনীতি করতা। কই যামু। রাজনৈতিক দলগুলোকে এসব ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করতে হবে। এই যে রাজনীতিবিদদের সমস্যা, এই সমস্যার কারণও এটা। বিজনেসম্যানরা তো আছেই। শিল্পপতি-ভগ্নিপতিদের আগমন এভাবে হয়ে যায়। কী করবেন। এগুলো থামানো দরকার। অন্যান্য পেশায় চাইলেই যাওয়ার সুযোগ না থাকলেও রাজনীতিতে তা আছে। যে কারণে সবাই চাকরি শেষ করে রাজনীতিতে ঢুকতে চায়। এটা বন্ধ হওয়া উচিত।”

রাষ্ট্রপতি কোন প্রকার রাগ ঢাক না রেখেই রাজনীতিতে দূরবৃত্তায়নের কথা বলেছেন। রাজনীতিকে ব্যাংক লুটেরা, জনগণের অধিকার হরনকারী আমলারাদের দূরবৃত্তায়নের কারণে মাঠ-কর্মী, ত্যাগী-পরীক্ষিত রাজনৈতিকরা কোনঠাসা হয়ে পড়ায় জাতীয় সংসদ এখন “কোটি পতিদের ক্লাব” হিসাবেও পরিচিতি লাভ করেছে। পুলিশ কর্মকর্তারা যারা মানুষের উপর নির্যাতন করে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছে, যারা দুদকের ধরা ছোয়ার বাহিরে তাদের সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি যে মন্তব্য করেছেন, এ জন্য অনেক ব্যর্থতার মধ্যে জাতির সামনে একটি কঠিন সত্য উম্মোচিত হয়েছে। পুনরায় বলছি যে, তিনি বলেছেন, “এমন কি পুলিশ অনেক উর্ধতন ডি.আই.জি, আই.জি রাও রাজনীতি করে। আবার মনে মনে কই, আমরা রাজনীতি করার সময় এই পুলিশ তোমার বাহিনী দিয়া কত পাছার মধ্যে বাড়ি দিছ। তুমি আবার আমার লগে আইছ রাজনীতি করতা, কই যামু।” রাষ্ট্রপতির এই আক্ষেপ ও অভিযোগ দল মত নির্বিশেষে সকল রাজনৈতিক কর্মীর মনের আবেক ও উৎকন্ঠা বলে আমি মনে করি এবং বাস্তব চিত্রই তিনি তুলে ধরেছেন। রাষ্ট্রপতি “পাছায়” বাড়ি দেয়া কথা বলেছেন, তিনি যদি গায়েবী মামলার শিকার হয়ে থাকতেন তবে এ সম্পর্কেও হয়তো কথা বলতেন। “গায়েবী” ও “মিথ্যা” মোকদ্দমা এক কথা নহে। পুলিশ পূর্বে মিথ্যা মোকদ্দমা দিতো এবং এখন কল্পনা প্রসূত মামলা দেয়। এ সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি নিশ্চয় অবগত রয়েছেন, কিন্তু মন্তব্য করেন নাই, তবে রাষ্ট্রের অভিবাবকের নিকট “গায়েবী” মামলা সম্পর্কে প্রতিকারের আশা না করলেও মন্তব্য প্রকাশিত হলে জনমনে আশার সঞ্চার হতো।

 

আমলারা রাজনীতির মনবাসনা নিয়ে প্রশাসন চালায় বলেই প্রশাসনে স্বচ্ছতা থাকে নাই, বরং গ্রুপিং সৃষ্টি করে এলাকা এলাকায় বঞ্চিত হয়েছে। একটি রাষ্ট্র যখন আমলা/পুলিশ/ব্যাংক লুটেরা, ভূমিদস্যুদের নিকট জিম্মি হয়ে যায় তখনই রাষ্ট্রীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হয় দেশের জনগণ যারা সংবিধানের অনুচ্ছেদ-৭ মোতাবেক এ দেশের মালিক। ফলে দেশের সকল সম্পদ মুষ্ঠিমেয় একটি শ্রেণীর নিকট কুক্ষিগত হয়ে পড়েছে। সরকারী আমলাদের সীমাহীন সম্পদ বিদেশের ব্যাংকে জমা হচ্ছে। কুয়াকাটা, কক্সবাজার সী বীচের সন্নিকটে অনেক সম্পত্তির মালিক আমলারা। পুলিশকে হাতিয়ার করেই সরকার গায়েবী মামলা ও বিনা করণে গ্রেফতার সংস্কৃতি চালুর মাধ্যমে গোটা সমাজের প্রতিবাদের মূখে তালা লাগানোর পাশাপাশি গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একটি অচলবস্থা সৃষ্টি করেছে। এ নাটকের জবনিকা কি ভাবে হতে পারে তার পূর্বাভাস একনই দেয়া যাচ্ছে না, তবে শেখ হাসিনা সরকারের জন্য এটা বুমে রাং হবে। জাতীয় নির্বাচন আসন্ন। সরকারী অর্থ, গাড়ী ও পতাকা ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছে পুলিশ ও আমলাদের নগ্ন সহযোগীতায়। অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দলের চেয়ারপার্সন একটি ঠুনকো মামলায় অসুস্থ্য হয়ে জামিন বিহীন অবস্থায় রয়েছেন যা শুধু ন্যায় বিচারের প্রতি শুধু আস্থাহীনতা নয় বরং সভ্যতার প্রতি একটি মারাতœক কলঙ্ক। আস্থাহীনতায় ফেলে দেয়া এই বিচার বিভাগকে জনগণের আস্থায় আনার জন্য রাষ্ট্রপতির ভূমিকা একটি মাইল ফলক হতে পারতো।

 

রাজনীতিতে গুনগত মান ফিরিয়ে আনার জন্য রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি আহবান জানিয়েছেন। রাজনীতিতে গুনগত মান আর নাই। টেন্ডার বানিজ্যে, রিমান্ড বানিজ্যোর মতই রাজনৈতিক অংগনে কমিটি বানিজ্য, পদ বানিজ্য, নমিনেশন বানিজ্য নামক কথাগুলির অনুপ্রবেশ ঘটেছে, ফলে ক্ষতিগ্রস্থ ও উপেক্ষিত হচ্ছে চুঙ্গা ফুকানো মাঠ থেকে উঠে আসা তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ, অন্যদিকে লাভবান হয়েছে যাদের চরিত্র বা নীতি বলতে কোন কথা নাই। বরং মিউজিকাল চেয়ারের খেলার মত ওৎ পেতে থাকে কাকে কখন ল্যাং মেরে নিজে চেয়ারে বসা যায়। নীতি আদর্শ ও ত্যাগের কোন বালাই নাই, চেয়ারটি হলেই হলো, ডান কি বাম, উত্তর কি দক্ষিণ, কোন বাছ বিচারের বালাই নাই, নেশা শুধু জনগণকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে সম্পদের পাহাড় জমিয়ে টাকা দিয়ে জনগণকে বান্দর নাচের মত নাচানো। দেশে রাজনীতির যদি গুনগত মান থাকতো বা বিন্দুমাত্র চলনসই রাজনীতি থাকতো তবে ৭৩ বৎসর বয়সে অসুস্থ্য অবস্থায় খালেদা জিয়াকে একটি পরিত্যাক্ত কারাগারে দিন যাপন করতে হতো না। রাজনীতির গুনগতমান বৃদ্ধিসহ সুস্থ ধারায় রাজনীতি চালু হলে দল মত নির্বিশেষে সকল রাজনীতিবিদদেরই এগিয়ে আসতে হবে। জনগণের সহযোগীতাও দরকার। তারাও আর কতদিন বান্দর নাচের মত নাচবেন, কেহ কিছু পেয়ে, কেহ কিছুই না পেয়ে।

আইন ও নৈতিকতা এক বিষয় নহে। শেখ হাসিনা সরকার নিজেকে নির্বাচিত দাবী করে সুবিধামত আইন প্রনয়ন করে নিজ ইচ্ছামাফিক দেশ শাসন করছে। কিন্তু নৈতিকতার মাপ-কাঠীতে সরকার কি নির্বাচিত? ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ ২০১৮-কে “মত প্রকাশের স্বাধীনতার অন্তরায়” বলে জাতিসংঘ মন্তব্য করেছে। আইনটিকে অনুমোদন না করার জন্য সাংবাদিক মহল রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেছিল, কিন্তু সাংবাদিকদের সুপারিশ প্রত্যাক্ষান করে ০৯/১০/২০১৮ ইং বিলটি রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মধ্যে দিয়ে তা আইনে পরিনত হলো (!) এমতাবস্থায়, নৈতিকতা নিয়ে যদি প্রশ্ন তুলি তবে কতটুকু অগ্রসর হওয়া যাবে? মত প্রকাশের স্বাধীনতা যদি গণতন্ত্রের পরিপন্থী হয় তবে বর্ণিত আইনটি কালো না সাদা আইনের পর্যায়ভুক্ত হবে?

রাজনীতিতে সুস্থ্য ধারা যা গুনগত মান বৃদ্ধি না হওয়ার পিছনে জনগণের দায় কম নহে। দীর্ঘ দিন যাবৎ বঞ্চিত হতে হতে জনগণের একটি অংশ “নগদ যা আছে তা হাত পেতে নাও বাকী থাক শুন্যের কোঠায়” এ নীতিতে জনগণ বা রাজনৈতিক দল যখন চলছে তখন রাজনীতির গুনগত মান উন্নতি হবে না বরং বঞ্চিত হবে জনগণ। জনগণের একটি অংশ নির্বাচন আসলে আদর্শ ও নীতিবান প্রার্থী খোজে না, তাদের টার্গেট থাকে লুটেরাদের দিকে যারা জনগণের টাকা লুট করে সম্পদের পাহাড় গড়েছে যা দেখে দেখে সাধারণ মানুষের মধ্যে কেহ কেহ এমনিতেই ঢোক গিলে আতœতৃপ্তি পায়, আর ভুলে যায় নীতি আদর্শের কথা। রাজনৈতিক দলগুলি শুধু ক্ষমতায় যাওয়া বা ক্ষমতা আকড়ে রাখার অনুশীলন করবে, কিন্তু নিজেদের আতœমর্যাদা বৃদ্ধির জন্য সচেষ্ট থাকবে না তা হতে পারে না এবং এর অবশান না হলে স্বাধীনতার চেতনা অর্থহীন হয়ে যাবে।   

লেখক

কলামিষ্ট ও আইনজীবি (এ্যাপিলেট ডিভিশন)  

মোবাঃ ০১৭১১-৫৬১৪৫৬

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ