গোপালগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের তিনটি ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণ করেছে সরকার
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ১৯ ডিসেম্বর ২০২০

নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের বীরত্ব গাঁথা জানান দিতে গোপালগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের তিনটি ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণ করেছে সরকার। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় ওই তিন স্থানে দুটি স্মৃতিসৌধ ও একটি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি যাদুঘর নির্মাণ করেছে।
গোপালগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এহসানুল হক বলেন, প্রায় ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় কোটালীপাড়ায় হেমায়েত বাহিনীর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি যাদুঘর, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানিকহার গ্রামে গণহত্যার স্মৃতি রক্ষায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ ও কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা লঞ্চঘাট যুদ্ধক্ষেত্রে একটি স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করেছি। পর্যায়ক্রমে জেলার পাঁচ উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের সব ঐতিহাসিক স্থানসমূহ সংরক্ষণ করা হবে।
কোটালীপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার শেখ লুৎফর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে হানাদার বাহিনীকে হটাতে এ দেশে পৃথক পৃথক বাহিনী গঠিত করা হয়েছিলো। ফরিদপুর ও বরিশাল অঞ্চল নিয়ে ‘হেমায়েত বাহিনী’ গঠন করা হয়। আমরা হেমায়েত বাহিনীর অধীনে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, ফরিদপুর, বরিশাল অঞ্চলে স্থানে যুদ্ধ করেছি। মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর সাহসিকতা ও জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করার কথা জানান দিতে সরকার হেমায়েত বাহিনী স্মৃতি যাদুঘর করে দিয়েছে। এটি আমাদের পরম পাওয়া। এ জন্য আমরা এ সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।
কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী বলেন, ১৯৭১ সালের ২৮ অক্টোবর তিনটি লঞ্চে করে হানাদার বাহিনী কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া ক্যাম্পে যায়। তারা সেখান থেকে এ পথেই ফিরবে বলে আমরা জানতে পারি। তাদের লঞ্চে আক্রমণ করতে আমরা পরিকল্পনা করি। ৩১ অক্টোবর হানাদার বাহিনীর তিনটি লঞ্চ ফুকরা লঞ্চঘাট অতিক্রম করার সময় আমরা লঞ্চে আক্রমণ করি। এখানে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে আমাদের তুমুল যুদ্ধ হয়। মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাহিনীর একটি লঞ্চ মধুমতী নদীতে ডুবিয়ে দেয়। এতে ১৫০ জন হানাদার বাহিনীর সদস্যের সলিল সমাধি ঘটে। খবর পেয়ে ফের এক লঞ্চে হানাদার বাহিনী এসে আমাদের পেছন দিক দিয়ে ঘিরে ফেলে। পাঁচ ঘণ্টা ব্যাপী চলা এ যুদ্ধে ১৩ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। হানাদার বাহিনীর ১৫/২০ জনের মতো মারা যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হানাদার বাহিনী গ্রামে ঢুকে ৫০ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। এখানে আমরা স্মৃতিসৌধ করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করি। সরকার সে আবেদনে সাড়া দিয়ে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে দিয়েছে। এতে করে প্রজন্মের পর প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথার সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
গোপালগঞ্জের মানিকহার গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা বলরাম ভদ্র বলেন, সদর উপজেলার মানিহার গ্রামে ৩০ এপ্রিল হানাদার বাহিনী নীরিহ গ্রামবাসীর ওপর বর্বরোচিত হামলা করে। তারা সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের (সাবেক কায়েদে আজম মেমোরিয়াল কলেজ) দর্শন বিভাগের অধ্যাপক সন্তোষ কুমার দাসসহ সাড়ে চারশ গ্রামবাসীকে নির্মমভাবে হত্যা করে। গণহত্যার শিকার এসব মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ওই গ্রামের অনিল করের বাড়ি সংলগ্ন জমিতে সরকার একটি স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করেছে। এটি শহীদের স্মৃতি চির অম্লান করে রাখবে।
কাশিয়ানী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আবুল কালাম সেলিম উজির বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করে স্বাধীনতা সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন। এ সরকার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চিহ্ন সংরক্ষণ করছে। এতে করে নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব গাঁথার সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

- মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ১০ দিনব্যাপী আয়োজন
- দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তিশালী অবস্থানে বাংলাদেশের অর্থনীতি
- ‘দেশেই তৈরি হবে বিশ্বমানের এসি, নন-এসি লাক্সারী বাস’
- দুই পক্ষের স্বার্থে গুগলকে চুক্তির প্রস্তাব বাংলাদেশের
- কয়েকটি দেশের ভিসার জন্য করোনা টিকা বাধ্যতামূলক হচ্ছে
- ভাসানচরে পৌঁছেছে আরও ১৭৫৯ রোহিঙ্গা
- ভাঙা লিপস্টিক জোড়া লাগানোর দারুণ টিপস
- মুমিনের জন্য সাপ্তাহিক ঈদের দিন হলো জুমার দিন
- বুক জ্বালাপোড়া কমাবে ঘরোয়া কৌশল
- ঘরের মাঠে এ কী হাল চ্যাম্পিয়নদের!
- ১০ তরুণ উদ্ভাবককে প্রশিক্ষণ দেবে কোরিয়া
- আলোচনার মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের সমস্যা সমাধান করা উচিত
- শেষ হলো বিমান বাহিনীর ‘উইনটেক্স-২০২১’ মহড়া
- জিন্স রাখুন নতুনের মতো
- জুমার দিনে মৃত্যুবরণের আলাদা কোনো ফজিলত আছে কি?
- যেসব পুষ্টিগুণে ভরপুর ‘সুপারফুড’ তিসির বীজ
- দুই বছর পর সেই মসজিদে মুশফিকরা
- অগ্নিঝরা ৫মার্চ:
বাঁশের লাঠি তৈরি কর, পূর্ব বাংলা স্বাধীন কর - অ্যাপস তৈরিতে তরুণদের দক্ষ করতে পারলে বিলিয়ন ডলার অর্জন সম্ভব:পলক
- বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ১০ দিনের আয়োজন
- এ সময় ডায়রিয়া হলে যা করবেন
- শুক্রবার রাতের ফজিলতপূর্ণ ইবাদত
- ১০ রোগ থেকে মুক্তি দেবে বরই
- পাকিস্তানকে বাদ দিয়ে নিজের দেশকে ভালোবাসুন : নাফীস
- আজকের এই দিনে:
অগ্নিঝরা ৫ মার্চ, ১৯৭১ - মেগা প্রকল্প:
জাপান থেকে দেশের পথে মেট্রোরেলের প্রথম কোচ - আন্তর্জাতিক সমুদ্র তলদেশ কর্তৃপক্ষ পরিষদের সদস্য হলো বাংলাদেশ
- ছুটির দিনে পাতে থাক শুটকি ও টাকি মাছের ভর্তা
- হাদিসের আলোকে রাগ দমনে করণীয়
- অ্যাকজিমা সারাতে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করবেন যেভাবে
- তামিমার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- কাল থেকে সারাদেশে টিকাদান কর্মসূচী
- আইসিটির বৈশ্বিক সূচকে অগ্রগতি বাংলাদেশের
- বাংলা ভাষার জন্যই আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি
- ভেজাল ও বিষাক্ত মদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান
- উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে: ইসি সচিব
- মেগা প্রকল্প:
রাত-দিন চলছে কাজ, মেট্রোরেলের লাইন বসেছে ৭ কিলোমিটার - আসছে তাৎক্ষণিকভাবে ভোটার হওয়ার সুযোগ
- ছেলেবেলা থেকেই সন্তানকে যে শিক্ষাগুলো দেয়া জরুরি
- জুনেই চালু পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল
- বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে মানবদেহের প্লাজমা প্ল্যান্ট নির্মাণ শুরু
- মুশতাকের মৃত্যুতে কারা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি পায়নি তদন্ত কমিটি
- ২৬ হাজার স্কুল গেজেটভুক্তির সুপারিশ
- করোনার টিকা গ্রহীতাদের ‘আইডি কার্ড’ দিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ থেকে ধানের উন্নত জাত নিতে চায় নেপাল
- বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আন্তঃসংযোগ বাড়াতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
- অল্প আমলে সওয়াব বেশি
- এপ্রিলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে বিমান
- মাংসের কিমায় ‘স্টাফড ক্যাপসিকাম’
- অঞ্চলভিত্তিক কৃষি বহুমুখীকরণ ও লাভজনক করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
