মহিলাদের কিডনি রোগ কি ও তার প্রতিকার
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২১

নারীদের কিডনি রোগের জন্য প্রজনন ক্ষমতা ব্যাহত হয়, কার্যক্ষমতা লোপ পায় এবং পরিবারের সন্তানদের দেখাশোনা ও পরিচর্যা বাধাগ্রস্ত হয় এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। ধীরগতিতে কিডনি অকেজো প্রাথমিক স্তরেও মহিলা রোগীদের শিশুদের শারীরিক উন্নতির ঘাটতি হয়। প্রস্রাবের সময় জ্বালা পোড়া, ঘন ঘন অল্প অল্প প্রসাব, প্রস্রাব করার পরও প্রস্রাবের ইচ্ছে থাকা, তলপেটে ও কোমরের দুই পারে পেছনে ব্যথা, কখনও কাপুনি দিয়ে জ্বর আসা, প্রস্রাব দুর্গন্ধযুক্ত, ঘোলা কখনও রক্তমাখা ইত্যাদি প্রস্রাবের প্রদাহের প্রধান লক্ষণ।
সাধারণত যতদিন পর্যন্ত মেয়েরা প্রজননক্ষম থাকে ততদিন তাদের কিডনি রোগ পুরুষদের তুলনায় কম হয়। তবে কতগুলো ক্ষেত্রে মেয়েরা কিডনি রোগের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যেমন: গর্ভবতী মেয়েরা উচ্চ রক্তচাপ, প্রি–অ্যাকলাম্পশিয়া, অ্যাকলাম্পশিয়া, গর্ভপাত জনিত কিডনি ফেইল্যুর, প্রস্রাবে প্রদাহ, পূর্ববর্তী কিডনি রোগ সক্রিয় হয়ে উঠা ও অপারেশনজনিত কিডনি ফেইল্যুর এ আক্রান্ত হতে পারে। তা ছাড়া মেয়েদের প্রস্রাবে ইনফেকশন ছেলেদের তুলনায় অনেক বেশি। বাতজনিত রোগ থেকে কিডনি আক্রমণ মেয়েদের ক্ষেত্রে ছেলেদের তুলনায় ৯ গুন বেশী হয়ে থাকে।
স্বাভাবিক সুস্থ মহিলাদের রক্তচাপ গর্ভবতী অবস্থায় নেমে যায়।গর্ভবতী মহিলাদের উচ্চ রক্তচাপ থেকে কিডনি বিকলের সম্ভবনা রয়েছে। বিশেষ করে ডায়াসটলিক প্রেসার ১০–১৫ এবং সিসটোলিক ১৫–২৫ মিলি নেমে যায়। কাজেই গর্ভবতী অবস্থায় রক্তচাপ পূর্বের মত থাকাতেই উচ্চ রক্তচাপ হিসেবে গণ্য করতে হবে। বিশেষ করে ডায়াসটলিক প্রেসার যদি ৯০মি:মি: এর উপরে থাকে তবে তা উচ্চ রক্তচাপ হিসাবে চিকিৎসা করতে হবে। গর্ভবস্থায় মহিলাদের উচ্চ রক্তচাপ চার ভাগে ভাগ করা যায়। প্রি–অ্যাকলাম্পশিয়া, অ্যাকলাম্পশিয়া, কিডনি সংক্রান্ত উচ্চ রক্তচাপ ও পূর্ব থেকেই থাকা উচ্চ রক্তচাপ।
যে সমস্ত গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভধারণের পর প্রাথমিক পর্যায়ে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে কিন্তু গর্ভবতী হওয়ার ২০ সপ্তাহ পর হঠাৎ উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হয়, সাথে প্রস্রাবে অ্যালবুমিন নির্গত হয়, রক্তে অ্যালবুমিন কমে আসে, এই অবস্থাকে প্রি–অ্যাকলাম্পশিয়া বলা হয়। মনে রাখতে হবে দ্রুত চিকিৎসার মাধ্যমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ না করলে রক্তচাপ দ্রুত বেড়ে গিয়ে মা ও সন্তানের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। কিডনি ফেইল্যুর হতে পারে। প্রি–অ্যাকলাম্পশিয়ার সাথে যদি খিঁচুনী দেখা যায়, তবে তাকে অ্যাকলাম্পশিয়া বলে। এটি গর্ভবতী মায়ের জন্য একটা জরুরি অবস্থা। স্ত্রী রোগ ও কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে সর্বোচ্চ সর্তকতার সাথে চিকিৎসা করতে হবে। প্রয়োজনে মায়ের জীবন রক্ষার্থে গর্ভপাত ঘটাতে হবে, নয়তো সময়ের পূর্বেই বাচ্চা ডেলিভারি করাতে হবে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে। এ যাত্রায় সুস্থ হয়ে গেলেও ভবিষ্যতে এদের উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে। প্রস্রাবে অ্যালবুমিন যেতে থাকতে পারে–ফলে কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রি–অ্যাকলাম্পশিয়া ও অ্যাকলাম্পশিয়ার রোগীদের কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে থাকা উচিত।
যাদের বিভিন্ন ধরনের নেফ্রাইটিস আছে বা যারা ধীরগতিতে কিডনি রোগে ভুগছেন, তাদের গর্ভবতী হওয়ার ঝুঁকি সাধারণ মায়েদের চেয়ে অনেক অনেক বেশি। গর্ভবতী অবস্থায় পূর্ববর্তী কিডনি রোগ বেড়ে যেতে পারে। কিডনির ওষুধ সেবনের জন্য বাচ্চার ক্ষতি সাধন হতে পারে, গর্ভপাতজনিত জটিলতা হতে পারে, কিডনিরোগ বেড়ে গিয়ে মা ও শিশুর মৃত্যু হতে পারে। কাজেই কারো পূর্ব থেকে কিডনি রোগ থেকে থাকলে তা পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক গর্ভধারণ করতে পারেন। কারো যদি বাতজাতীয় কিডনি রোগ থাকে তবে চিকিৎসা করে কমপক্ষে ৬ মাস রোগ নিষ্ক্রিয় থাকার পর কিডনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মোতাবেক গর্ভধারণ করতে পারেন। যদিও এতে ঝুঁকি থেকেই থাকে।
যাদের পূর্ব থেকে উচ্চ রক্তচাপ ছিল, গর্ভাবস্থায় তা বেড়ে যেতে পারে– তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। গর্ভাবস্থায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সময় মনে রাখতে হবে অনেক ওষুধ আছে যা ভ্রুণের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। কাজেই যত্রতত্র প্রেসারের ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। মিথাইল ডোপা, ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার ও কিছু বিটা ব্লকার জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রস্রাব বাড়ানোর ওষুধ অঈঊ ইনহিবিটর জাতীয় ওষুধ শিশুর ক্ষতিসাধান করতে পারে। মেয়েদের প্রস্রাবের নালির মুখ প্রজনন অঙ্গ ও পয়নালির খুব কাছাকাছি। তাই জীবাণু সহজেই এসব স্থান থেকে প্রস্রাবের রাস্তায় সংক্রামিত হতে পারে। আবার গোপনাঙ্গেন সাথে থাকাতে স্বামী সহবাসে মূত্রনালী আহত হতে পারে এবং সংক্রামিত হয়ে প্রস্রাবে প্রদাহ হতে পারে।
বিশেষ করে নববিবাহিত মেয়েদের এই ধরনের ইনফেকশন বেশি হয়ে থাকে। এদেরকে বলা হয় ‘হানিমোন সিস্টাইটিস’। অনেক সময় কারো জরায়ু নিচে নেমে আসে এতে করে কিছু প্রস্রাব করার পরও থলেতে প্রস্রাব থেকে যায়। বিশেষত যে মায়ের অনেক সন্তান ও অপ্রশিক্ষিত দাই দ্বারা ডেলিভারি করানো হয়েছে, এদের এসব কারণে প্রস্রাবে প্রদাহ বেশি হয়ে থাকে। তাছাড়া গর্ভবতী অবস্থায় প্রস্রাবে ইনফেকশনের হার অনেকগুন বেড়ে যায়। অনেক সময় কোন উপসর্গ ছাড়াই ইনফেকশন হতে পারে। গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবে ইনফেকশন কিডনির অনেক ক্ষতি সাধন করতে পারে, তাই বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে গুরুত্বসহকারে এর চিকিৎসা করতে হবে। প্রস্রাবের সময় জ্বালা পোড়া, ঘন ঘন অল্প অল্প প্রসাব, প্রস্রাব করার পরও প্রস্রাবের ইচ্ছে থাকা, তলপেটে ও কোমরের দুই পারে পেছনে ব্যথা, কখনও কাপুনি দিয়ে জ্বর আসা, প্রস্রাব দুর্গন্ধযুক্ত, ঘোলা কখনও রক্তমাখা ইত্যাদি প্রস্রাবের প্রদাহের প্রধান লক্ষণ।
নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজনঃ যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক লোকের উপসর্গ থাকুক বা না থাকুক তার রক্তচাপ নিয়মিত পরিমাপ করা, প্রস্রাবে অ্যালবুমিন নির্গত হচ্ছে কি না তা দেখা ও ডায়াবেটিস আছে কি না তা নিয়মিত পরীক্ষা করা প্রয়োজন। যদি কারো ডায়াবেটিস ধরা পড়ে অথবা ডায়াবেটিসে ভুগে থাকেন, তাঁকে অন্তত বছরে একবার প্রস্রাবে অ্যালবুমিন ও মাইক্রো অ্যালবুমিন যাচ্ছে কি না এবং রক্তে ক্রিয়েটিনিন স্বাভাবিক কি না তা পরীক্ষা করা প্রয়োজন। উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
কিডনি রোগের উপসর্গগুলো সম্বন্ধে সবার ধারণা থাকা প্রয়োজন। যদিও দীর্ঘস্থায়ী কিডনি অকেজো রোগে বমি বমি ভাব, ক্ষুধামন্দা, রক্ত স্বল্পতা, শরীরে পানি জমা, শ্বাসকষ্ট ও প্রস্রাবের পরিমাণের তারতম্য, চর্মরোগ ছাড়াই শরীর চুলকানো এবং ক্রমান্বয়ে দৈনন্দিন কার্যকারিতা লোপ পাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী কিডনি অকেজো রোগে শরীরে হৃদরোগসহ আরো অনেক জটিলতা দেখা দেয়।

- নারীদের জন্য ‘বঙ্গমাতা পদক’
- আইসিজেতে বাংলাদেশকে দেয়া সহায়তা অব্যাহত রাখবে ওআইসি
- ফেব্রুয়ারিতে রেমিটেন্স এসেছে ১৭৮ কোটি ডলার
- দেশে প্রথমবারের মতো চালু হয়েছে `বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবীমা`
- বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে মানবদেহের প্লাজমা প্ল্যান্ট নির্মাণ শুরু
- পাহাড়ে পুলিশের নতুন ইউনিট মাউনটেন ব্যাটালিয়ন
- শেষ প্রস্তুতি মেট্রোরেলে
- পোশাক খাতে ভিয়েতনামকে টপকে গেল বাংলাদেশ
- ৫ টি উপায়ে ভুড়ি কমিয়ে সুস্থ থাকুন।
- স্ত্রী অবাধ্য হলে স্বামীর করণীয়
- ফেদেরারের অবিশ্বাস্য রেকর্ডটি ছুঁতে যাচ্ছেন জকোভিচ
- মুক্তি পাচ্ছে নায়িকা দীঘির প্রথম সিনেমা
- বায়োটেক প্লাজমা প্রযুক্তির যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ: পলক
- শহিদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর স্ত্রী মারা গেছেন
- নির্বাচন কমিশনকে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
- আদা খেলে যেসব রোগ সারে
- ইসলামে বিধবা নারীর অধিকার ও মর্যাদা
- ‘সিরিজ জিততেই নিউজিল্যান্ডে এসেছি’
- এবার খুনি চরিত্রে স্পর্শিয়া
- পৌরসভা নির্বাচনে জনগণ প্রমাণ করেছে তারা উন্নয়নের পক্ষে: কাদের
- ফেব্রুয়ারিতেও রেকর্ড রেমিট্যান্স
- রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ওআইসি
- বন্ধ নাকের সমস্যায় তেজপাতা ও রসুনের জাদু
- নবীজির উপর দরূদ পড়ার গুরুত্ব
- বার্সাকে টপকানোর সুযোগ হাতছাড়া করল রিয়াল মাদ্রিদ
- এবার বিজেপিতে যোগ দিলেন শ্রাবন্তী
- বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ একই সত্ত্বা: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
- টিকা গ্রহীতা ৩২ লাখ, ২০ লাখই পুরুষ
- ভোটার দিবস আজ, প্রকাশ হচ্ছে চূড়ান্ত হালনাগাদ তালিকা
- ১৫ দিনে ওজন কমানোর ডায়েট রেসিপি
- কাল থেকে সারাদেশে টিকাদান কর্মসূচী
- আইসিটির বৈশ্বিক সূচকে অগ্রগতি বাংলাদেশের
- বাংলা ভাষার জন্যই আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি
- ভেজাল ও বিষাক্ত মদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান
- মেগা প্রকল্প:
রাত-দিন চলছে কাজ, মেট্রোরেলের লাইন বসেছে ৭ কিলোমিটার - উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে: ইসি সচিব
- আসছে তাৎক্ষণিকভাবে ভোটার হওয়ার সুযোগ
- ছেলেবেলা থেকেই সন্তানকে যে শিক্ষাগুলো দেয়া জরুরি
- জুনেই চালু পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল
- তামিমার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- ২৬ হাজার স্কুল গেজেটভুক্তির সুপারিশ
- পদ্মা সেতুর রেললাইন প্রকল্পে জটিলতার অবসান
- করোনার টিকা গ্রহীতাদের ‘আইডি কার্ড’ দিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ থেকে ধানের উন্নত জাত নিতে চায় নেপাল
- আস্থা তৈরিতে আগে টিকা নেবেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা
- বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আন্তঃসংযোগ বাড়াতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
- অল্প আমলে সওয়াব বেশি
- এপ্রিলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে বিমান
- মাংসের কিমায় ‘স্টাফড ক্যাপসিকাম’
- কেন ভাপা পিঠা বানালেন নুসরাত ফারিয়া
