• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জে ৫টি মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৩ নভেম্বর ২০২২  

গোপালগঞ্জে ৫টি মডেল মসজিদ ও ইসলামি সংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এখন ফিনিশিং এর কাজ চলমান রয়েছে। অচিরেই এ মসজিদের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হবে। গোপালগঞ্জ জেলা মডেল মসজিদ, কাশিয়ানী, মুকসুদপুর,টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন হচ্ছে। মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে নারী ও পুরুষদের পৃথক ওজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা থাকছে। এখানে লাইব্রেরি, গবেষণা ও দীনি দাওয়াত কার্যক্রম, পবিত্র কুরআন হেফজ, শিশু শিক্ষা, অতিথিশালা, বিদেশী পর্যটকদের আবাসন, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া হজ্জযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ, ইমামদের প্রশিক্ষণ ইত্যাদি ব্যবস্থা থাকছে আধুনিক এ ইসলামি স্থাপনায় । ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা রয়েছে এখানে।

গোপালগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্রে জানাগেছে, বাংলাদেশে মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাংলাদেশ সরকারের ধর্মমন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ইসলাম ধর্মীয় ইবাদত ও শিক্ষার অনুশীলনের আধুনিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণের একটি প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায় গোপালগঞ্জে জেলা পর্যায়ে ১টি ও ৪ উপজেলায় ৪টি মডেল  আধুনিক, চিত্তাকর্ষক নিদর্শন ও উন্নত সুযোগ-সুবিধার মসজিদ নির্মাণ করা হবে। গোপালগঞ্জ গণপূর্ত অধিদপ্তর মসজিদ গুলো বাস্তবায়ন করছে। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি উন্নত মসজিদ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। সেই আলোকে জেলা পর্যায়ে ৪ তলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৩ তলা এবং উপকূলীয় এলাকায় ৪ তলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে।
ওই সূত্র আরো জানায় তিন ক্যাটাগরিতে মসজিদগুলো নির্মিত হচ্ছে। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ৬৯টি চারতলা বিশিষ্ট মডেল মসজিদ ৬৪টি জেলা শহরে এবং সিটি কর্পোরেশন এলাকায় নির্মিত হচ্ছে। এগুলোর প্রতি ফ্লোরের আয়তন ২৩৬০ দশমিক ০৯ বর্গমিটার। উপজেলায় ১৬৮০ দশমিক ১৪ বর্গমিটার আয়তনের ‘বি’ ক্যাটারির মসজিদ ৪৭৫টি। আর উপকূলীয় এলাকা ২০৫২ দশমিক ১২ বর্গমিটার আয়তনের ‘সি’ ক্যাটাগরির মসজিদ ১৬টি। জেলা সদর ও সিটি করপোরেশন এলাকার মসজিদগুলোতে একসঙ্গে এক হাজার ২০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। অপরদিকে উপজেলা ও উপকূলীয় এলাকার মডেল মসজিদগুলোতে একসঙ্গে ৯০০ মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এসব মসজিদে সারাদেশে প্রতিদিন চার লাখ ৯৪ হাজার ২০০ জন পুরুষ ও ৩১ হাজার ৪০০ জন নারী একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।

গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শেখ মোহাম্মদ রুহুল আমিন মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রসঙ্গে বলেন  দেশে ইসলামি ভ্রাতৃত্ব ও প্রকৃত মূল্যবোধের প্রচার ও দীক্ষাদান চালু করা। সন্ত্রাস ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা। সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। পুরুষ-নারী মুসল্লিদের জন্য নামাজ, ধর্মীয় শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও দীনি দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ভৌত সুবিধাদি সৃষ্টি করা। ইসলামিক জ্ঞান ও সংস্কৃতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে ইসলামি মূল্যবোধের পরিচর্যা ও প্রসার করা এবং সততা ও ন্যায়বিচারের প্রতি মানুষের আনুগত্য সমর্থন সৃষ্টি করাই প্রকল্পের মূখ্য উদ্দেশ্য।

গোপালগঞ্জ গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান বলেন, ১২ কোটি ৬০ লাখ ৮১ হাজার টাকা ব্যয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মডেল মসজিদের কাজ ৬৩ ভাগ, ১২ কোটি ৫৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ ৯০ ভাগ , ১৩ কোটি ১৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকা ব্যয়ে কাশিয়ানী উপজেলা মডেল মসজিদের ২০ শতাংশ , ১১ কোটি ৯১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা ব্যয়ে মুকসুদপুর উপজেলা মডেল মসজিদের ৬৫ ভাগ ও ১৪ কোটি ৫৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা ব্যয়ে গোপালগঞ্জ জেলা মডেল মসজিদের ৩৫% কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে এ ৫টি মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত এ প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে। মেয়াদের আগেই সদর উপজেলা মডেল মসজিদের কাজ শেষ হচ্ছে। ২০২৪ সালের জুনের মধ্যেই আরো ৪টির নির্মাণ কাজ শেষ হবে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ