গোপালগঞ্জে প্রকৃতিকে রাঙিয়ে তোলা বসন্তের রূপকন্যা শিমুল বিলুপ্ত
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। প্রতিটি ঋতুই যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। শীতের বিদায়লগ্নে আর ঋতুরাজ বসন্তের শুরুতেই গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য শিমুল ফুলের রঙিন পাঁপড়িতে নতুন সাজে সেজে ওঠেছে প্রকৃতি। ঋতুরাজ বসন্তের শুরুতেই শিমুল ফুলের স্বর্গীয় সৌন্দর্যে জানান দিচ্ছে বসন্ত বুঝি এলো রে।
কিন্তু গোপালগঞ্জে কালের বিবর্তনে প্রত্যন্ত এলাকা থেকে প্রকৃতিকে রাঙিয়ে তোলা চোখ ধাঁধানো গাঢ় লাল রঙের অপরূপ সাজে সজ্জিত বসন্তের রুপকন্যা শিমুল ফুল বিলুপ্তপ্রায়। ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে আবহমান গ্রামবাংলার প্রকৃতিকে রাঙিয়ে অনেক ফুল ফোটলেও এখন আর তেমন একটা চোখে পড়েনা রক্তলাল নয়নাভিরাম শিমুল ফুলের।
বছর দশের আগের জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির আনাচে কানাচে বা রাস্তার পাশে শিমুল গাছ দেখা গেলেও এখন তেমন একটা চোখে পড়ে না। কেটে ফেরাল আর বীজ বনন না করারায় শিমুল গাছের অস্তিত্ব এখন হুমকীর মুখে। ব্যাপক হারে কমে গেছে এ গাছটি। বর্তমানে মানুষ এ গাছকে তুচ্ছ মনে করে কারণে অকারণে কেটে ফেলছে। অতীতে ব্যাপকহারে নির্মাণ কাজ, টুথপিকসহ নানা ধরনের প্যাকিং বাক্স তৈরি ও ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হলেও সেই তুলনায় রোপণ করা হয়নি। ফলে আজ বিলুপ্তির পথে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে এ গাছটির নাম চিনবে না নতুন প্রজন্ম।
শিমুল গাছ উজাড় হওয়ার ফলে পরিবেশের উপরে পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব। এ গাছ অনেক উঁচু হওয়ায় কাক, কোকিল, চিল, বকসহ বিভিন্ন ধরনের পাখি বাসা বেঁধে বসবাস করত। এ গাছ উজাড় হওয়ার ফলে এসব পাখিরা আবাসস্থল হারিয়ে পড়েছে অস্তিত্ব সংকটে। গাছ না থাকায় আবাসস্থলের অভাবে ধীরে ধীরে এসব পাখিরাও হারিয়ে যাচ্ছে।
শীতের শেষে পাতা ঝরে পড়ে। বসন্তের শুরুতেই গাছে ফুল ফোটে। আর এ ফুল থেকেই হয় ফল। চৈত্র মাসের শেষের দিকে ফল পুষ্ট হয়। বৈশাখ মাসের দিকে ফলগুলো পেকে শুকিয়ে গিয়ে বাতাসে আপনা আপনিই ফল ফেটে প্রাকৃতিকভাবে তুলার সাথে উড়ে উড়ে দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়া বীজ থেকেই এর জন্ম হয়। অন্যান্য গাছের মত এ গাছ কেউ শখ করে লাগায় না। নেওয়া হয়না কোন যত্ন। অযত্ন আর অনাদরে প্রাকৃতিকভাবেই গাছ বেড়ে ওঠে।
শিমুল গাছের রয়েছে নানা উপকারিতা ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব। প্রাকৃতিক ভাবে তুলা আহরণের অন্যতম অবলম্বন শিমুল গাছ। এ গাছের সব অংশেরই রয়েছে ভেষজগুণ। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা এখনো নানা রোগের চিকিৎসায় এ গাছের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করে। শিমুল গাছের বৈজ্ঞানিক নাম “বোমবাক্স সাইবা লিন”। এটি বোমবাকাসিয়াক পরিবারের উদ্ভিদ। বীজ ও কান্ডের মাধ্যমে এর বংশবিস্তার হয়। রোপণের ৫-৬ বছরের মধ্যে শিমুল গাছে ফুল ফোটে। ৯০ থেকে ১০০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। সেই তুলনায় বেশ মোটাও হয়। নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে শিমুল গাছ দেড়শ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে।
কোটালীপাড়া উপজেলার সৈকত হোসেন বলেন, এক সময় এ উপজেলায় ব্যাপক হারে শিমুলগাছ দেখা যেতো। কিন্তু এখন আর তেমন একটা শিমুল গাছ দেখা যায় না। অপরিকল্পিত ভাবে কেটে ফেলার কারনে শিমুল গাছের অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলার মেহিদী হাসান বলেন, বসন্তের আগমনকে মনে করিয়ে দিত শিমুল গাছ। শিমুল গাছের ডালে ডালে লাল ফুল যেন প্রকৃতিকে সাজিয়ে তুলতো। কিন্তু শিমুল গাছ কেটে ফেলার কারনে প্রকৃকি যেন তার রূপ হারিয়ে ফেলছে। প্রকৃতির সৌন্দয্যে যেন ভাট পড়ছে। প্রকৃতিকে সাজিতে তুললে ব্যাপক ভাবে আমাদের শিমুল গাছের চারা রোপন করা উচিত।
গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. অরবিন্দ কুমার রায় বলেন, শিমুল এমন একটি গাছ যা কবিদের ও সাধারন মানুষের রং-এর প্রতিক। শিমুল গাছে যখন ফুল ফোটে তখন চারিদক লাল হয়ে যায়। শিমুল একটি ঔষধি বৃক্ষ। বিভিন্ন রোগে শিমুলের মূল ব্যবহার হয়ে থাকে।
তিনি আরো বলেন, শিমুলের গাছ আপনা আপনি জন্ম নেয়। সাধারনত চর বা হালটে শিমুল গাছ বেশি জন্মে থাকে। কিন্তু জায়গার প্রয়োজনে শিশুল গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। শিমুল গাছ না রোপনের ফলে আমরা বসন্তের সুষমা হারাচ্ছি। শিমুল গাছ রোপন করা প্রয়োজন। শিমুল গাছ রোপন করলে পরিবেশ বিশুদ্ধ হবে। প্রাকৃতিকভাবে আমরা শিমুল গাছ থেকে তুলে পেয়ে থাকি। কিন্তু গাছ না থাকার কারনে আমরা কৃত্রিম তুলা ব্যবহার করে থাকি। প্রকৃতিকে বাঁচাতে সকলের শিমুল গাছ রোপন করা উচিত। এতে প্রকৃতির সৌন্দয্য বাঁচবে।

- মানবাধিকার দিবস ঘিরে বিএনপি নাশকতার চেষ্টা করছে: কাদের
- প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে: আইজিপি
- ক্লিনিকের বিল মেটাতে সন্তান বিক্রি
- নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পাঁচ বার্তা
- আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নির্বাচন ঠেকাতে বিদেশে বিএনপির লবিং
- গোপালগঞ্জে আন্তর্জাতিক দূর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত
- নিরস্ত্র বাঙালি সেদিন বঙ্গবন্ধুর ডাকে সশস্ত্রে পরিণত হয়েছিল
- পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৩ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
- ৫ নারীর হাতে রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
- গণহত্যা প্রতিরোধে বিশ্বের সম্মিলিত শক্তিকে কাজে লাগানোর আহ্বান
- যেভাবেই হোক তারা দুর্ভিক্ষ ঘটাবে, কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী
- শীতকালে বাড়ে রক্তচাপ, কারণ কী?
- গাজায় ইসরায়েলের সাবেক সেনাপ্রধানের ছেলে নিহত
- শীতে শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিতে করণীয়
- নিষেধাজ্ঞা এলে বিএনপির ওপর আসবে: ওবায়দুল কাদের
- নির্বাচনি এলাকায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় শেখ হাসিনা
- নিজ নির্বাচনী এলাকায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মতবিনিময়
- নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি মেনেই কোটালীপাড়ায় গেলেন প্রধানমন্ত্রী
- যুক্তরাষ্ট্রেরসম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের পাশে মস্কো
- শ্রম আইন বাস্তবায়ন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ : হাস
- চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী : রাষ্ট্রদূত
- গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ী নিহত:আহত ৪
- দুই বাসের পাল্লাপাল্লিতে জাবি শিক্ষার্থীসহ নিহত ৪
- টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
- টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
- গোপালগঞ্জ পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালন
- নির্বাচনে বিদেশী কোন চাপ নেই : ইসি আলমগীর
- শাহবাগে বাসে আগুন
- নির্বাচন বানচালে মরিয়া হয়ে উঠছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
- জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে : কৃষিমন্ত্রী
- আরও এগিয়েছে মিধিলি, পায়রা-মোংলায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত
- ভারতেও ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক
- আইনজীবী স্ত্রীর মামলায় পুলিশ স্বামীর ৬ মাস জেল
- আমেরিকার চিঠি নিয়ে কাদের বললেন, সংলাপের সুযোগ নেই
- গোপালগঞ্জে বাস ও ইট ভর্তি ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
- গোপালগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- প্রকাশ্যে এলেন বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর
- কাশিয়ানীতে সাবেক সেনা সদস্য হত্যা মামলার ৮ আসামি গ্রেপ্তার
- গোপালগঞ্জে দুই মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-১
- গোপালগঞ্জে ভাবীর লাঠির আঘাত দেবর নিহত
- বিএনপির যেসব নেতা প্রার্থী হলেন
- গোপালগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
- টাঙ্গাইলে রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে আগুন
- হুইল চেয়ারে করে নিজেই বিদ্যালয়ে আসতে পারবো
- চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির মনোনয়নপত্র বাতিল
- গাজীপুরে দুটি কাভার্ডভ্যানে আগুন
- অবরোধে ঢাকায় বাড়ছে গণপরিবহন, বেড়েছে ট্র্যাফিকের ব্যস্ততা
- আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনলেন সাকিব আল হাসান
- ফের আ.লীগের মনোনয়ন ফরম কিনলেন চিত্রনায়িকা মাহি
- এইচএসসির ফল প্রকাশ, গড় পাসের হার ৭৮.৬৪ শতাংশ
