• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় প্রস্তুত হচ্ছে ৯ হাজার ৪১১ টি কোরবানীর পশু

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২ জুন ২০২৩  

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় প্রস্তুত হচ্ছে ৯ হাজার ৪১১টি কোরবানীর পশু। প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রভাষ চন্দ্র সেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, একটি পৌরসভা ও ২১ টি ইউনিয়ন নিয়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা গঠিত। এ উপজেলায়  খামারী রয়েছে ৯৭২ জন। এসব খামার থেকেই কোরবানীর ষাড়, বলদ, গাভী, মহিষ,  ছাগল, ভেড়া প্রস্তুত করা হচ্ছে।
এরমধ্যে য়াড় ৪ হাজার ৯২৪ টি, বলদ ১৩০টি, গাভী ১ হাজার ৭৮৮টি, মহিষ ৮টি, ছাগল ২ হাজার ৫২১টি ও ১২০টি ভেড়া রয়েছে।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, কোরবানীর ১৫ দিন আগেই এসব পশু খামারীরা হাটে তুলতে পারবেন। আমরা নিয়মিত খামার পরিদর্শন করে খামারীদের কোরবানীর পশু প্রস্তুত ও বাজারজাত করণের পরামর্শ দিচ্ছি। তারা সেভাবেই কাজ করছেন। এ উপজেলায় প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত ঘাস, খড় ও স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত খৈইল, ভুষি, ভ’ট্টাসহ অন্যান্য উপকরণ খাইয়ে গরু মোটাতাজা করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার করপাড়া গ্রামের খামরী দুলাল খান বলেন, এ বছর গো-খাদ্যের দাম  অস্বভাবিক। তাই গরু মোটাতাজা করতে বাড়তি খরচ হয়েছে। গরুর হাটে দেশী মাঝারি গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। আমরা ক্রেতার চাহিদার কথা বিবেচনা করে প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজা করেছি। হাটে বিদেশী গরু না আসলে দাম ভালো পাব। গরু বিক্রি করে লাভবান হব।
ওই খামারী আরো বলেন, গরু মোটাতাজা করতে আমরা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের সহযোগিতা পাচ্ছি। এছাড়া ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতায় আমরা এ খাতে ভালো কাজ করতে পারছি।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোবিন্দ চন্দ্র সরদার বলেন,  গোপালগঞ্জে কোরবানীর পশুর চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত পশু উৎপাদিত হয়। এ জেলা থেকে ঢাকাসহ আশপাশের জেলা গুলোতে কোরবানীর পশু যায়। এ বছরও বাড়তি পশু উৎপাদিত হবে। এ জেলা থেকে ঢাকাসহ অন্যান্য জেলায় কোরবানীর পশু খামারীরা পাঠাবে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ