• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

ভুল স্বীকার করেছেন রাসেল, দায়ও নেবেন

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১  

প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আটকের পর বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী (চেয়ারম্যান) শামীমা নাসরিন। তিন দিন রিমান্ডের শেষ দিন সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাসেল ও তার স্ত্রীকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করে গুলশান থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে প্রতিষ্ঠানটির লেনদেনের বিষয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন তারা। তবে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার বিষয়টি বরাবরের মতো অস্বীকার করেন দুজনই।

রিমান্ডের বিষয়ে পুলিশের গুলশান বিভাগের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, রিমান্ডে রাসেল ও তার স্ত্রীকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, গ্রাহক ও সেলারদের কাছে পাওনা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। আমরা বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করছি। রিমান্ডে রাসেল দেনা-পাওনা ও ব্যবসার ধরনের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলেননি। অনেক বিষয়ে তার উত্তর অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর ছিল।

 

গুলশান থানা সূত্রে জানা যায়, ইভ্যালির বর্তমান পরিস্থিতি, গ্রাহক ও সেলারদের অসন্তোষ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাসেল বলেন, তার ব্যবসায়িক কৌশলে কিছু ভুল ছিল। পাশাপাশি করোনাকালীন লকডাউনের কারণে তিনি কিছুটা পিছিয়ে গেছেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতি ও গ্রাহকদের ক্ষোভের পেছনে ইভ্যালির চেয়ারম্যানের (তার স্ত্রী শামীমা) কোনো দায় নেই বলে দাবি করেন রাসেল।

রিমান্ডে রাসেল বলেন, আমরা কোনো টাকা আত্মসাৎ বা কারো সঙ্গে প্রতারণা করিনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন সার্কুলার ও করোনাকালীন সময়ে লকডাউনের কারণে অনেক অর্ডার ডেলিভারি দেয়া সম্ভব হয়নি। যারা ডেলিভারি পায়নি তারা ভবিষ্যতে টাকা পেয়ে যাবে। এখানে প্রতারণার কোনো বিষয় ছিল না।

গুলশান থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে তার দায় না নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা চেষ্টা করছি তিনি গ্রাহকদের কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছেন, কত টাকা খরচ করেছেন এবং কত টাকা দেনা আছে, ব্যাংকে কত টাকা আছে ইত্যাদি বের করার। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে তার কোনো প্রতারণা আছে কি না সেটিও জানার চেষ্টা চলছে। রিমান্ড শেষে রাসেলকে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে নিম্ন আদালতে পাঠাবে পুলিশ।’

পুলিশের জানায়, মঙ্গলবার রাসেল ও তার স্ত্রীকে ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে। ৩৬ লাখ টাকার পণ্য নিয়ে মূল্য পরিশোধ না করার অভিযোগে গত শনিবার ধানমণ্ডি থানায় রাসেলসহ ইভ্যালির ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন একজন পণ্য সরবরাহকারী।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ