• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

সিনহা হত্যা মামলার ১৫ আসামি আদালতে

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০২২  

কক্সবাজারের টেকনাফে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে কিছুক্ষণের মধ্যে। এজন্য সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে পৌনে ২টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ওসি প্রদীপসহ এ মামলার ১৫ আসামিকে আদালতে আনা হয়।

রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে আদালতপাড়ায় সাধারণ মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এছাড়া আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত রয়েছেন সিনহার মা-বোনসহ বাদী ও বিবাদী পক্ষের স্বজনরা।

বিকেল ৩টার দিকে আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন কক্সবাজার  জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল।

এদিকে ওসি প্রদীপসহ অন্যান্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সকালে আদালত প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করেছে কক্সবাজারে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তিদের স্বজনরা। রায় ঘিরে আদালত প্রাঙ্গণ ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তাবলয় গড়ে তুলেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

মামলার চার্জশিটভুক্ত ১৫ আসামি হলেন- বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানার এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাগর দেব, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনার পাঁচ দিন পর ওই বছরের ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি এবং টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশকে দ্বিতীয় আসামি করে ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব।

৪ মাসের বেশি সময় ধরে চলা তদন্তের পর ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

২০২১ সালের ২৭ জুন ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর ২৩ আগস্ট কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং জেরা শুরু হয়। এ প্রক্রিয়া শেষ হয় গত ১ ডিসেম্বর। এ মামলায় মোট ৬৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ