• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

ঢাবি ‘ক’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষাশ একই নম্বর পেয়েও ১ম, ২য় ও ৩য়

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৪ জুলাই ২০২২  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত ফলে শীর্ষ তিনজন একই নম্বর পেলেও একটি প্রক্রিয়ায় তাদের মধ্যে ১ম, ২য় ও ৩য় ক্রম নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাবির এবছরের ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় আসীর আনজুম খান, খালিদ হাসান তুহিন ও জারিফা তাবাসসুম একই নম্বর পেয়েছেন।

সোমবার (৪ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল প্রকাশ করেন।

প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, যিনি প্রথম হয়েছেন- আসীর আনজুম এমসিকিউতে পদার্থ বিজ্ঞানে ১৩.৭৫, রসায়নে ১৫, গণিতে ১৫, জীব বিজ্ঞানে ১৩.৭৫ নম্বর পেয়েছেন। এছাড়া লিখিত অংশে পদার্থ বিজ্ঞানে ১০, রসায়নে ৯, গণিতে ১০, জীব বিজ্ঞানে ৮.৫ নম্বর মিলিয়ে মোট ৯৫ নম্বর এবং এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ’র নম্বর মিলিয়ে মোট ১১৫ পেয়েছেন।

অন্যদিকে ঢাবির ‘ক’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় ২য় স্থান অর্জনকারী খালিদ হাসান তুহিন পদার্থ বিজ্ঞানে ১৩.৭৫, রসায়নে ১৫, গণিতে ১৫, জীব বিজ্ঞানে ১৩.৭৫ নম্বর পেয়েছেন। এছাড়া লিখিত অংশে পদার্থ বিজ্ঞানে ১০, রসায়নে ৯.৫, গণিতে ৯, জীব বিজ্ঞানে ৯ নম্বর মিলিয়ে মোট ৯৫ নম্বর এবং এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ’র নম্বর মিলিয়ে মোট ১১৫ পেয়েছেন।

এছাড়া তৃতীয় স্থান অধিকারী জারিফা তাবাসসুমও ভর্তি পরীক্ষায় সব মিলিয়ে ১১৫ নম্বর পেয়েছেন। ভর্তি পরীক্ষায় তিনি পদার্থ বিজ্ঞানে ১২.৭৫, রসায়নে ১৫, গণিতে ১৪, জীব বিজ্ঞানে ১৩.৭৫ নম্বর পেয়েছেন। এছাড়া লিখিত অংশে পদার্থ বিজ্ঞানে ১০, রসায়নে ১০, গণিতে ৯.৫, জীব বিজ্ঞানে ১০ নম্বর।

এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান জানান, ভর্তি পরীক্ষায় এক বা একাধিক পরীক্ষার্থী একই নম্বর পেলে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় এইচএসসি পরীক্ষার এইচএসসির বিজ্ঞানের বিষয়গুলোর নম্বর অনুযায়ী মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হয়।

ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়কারী ও ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় আমরা তিনটি বিষয়ে নম্বর দেখেছি। পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও গণিতে কে নম্বর বেশি পেয়েছে, সেভাবেই তাদের মধ্য থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ বছর ‘ক’ ইউনিটে আবেদন করেছিলেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৬৮৯ জন। এরমধ্যে অংশগ্রহণ করেছেন ১ লাখ ১০ হাজার ৩৭৪ জন। যেখানে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হয়েছেন ১০ দশমিক ৩৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৮৯ দশমিক ৬১ শতাংশ। ভর্তির যোগ্য বিবেচিত ১১ হাজার ৪৬৬ জনের মধ্যে শেষ পর্যন্ত এক হাজার ৮৫১ জন মেধাক্রম অনুযায়ী বিজ্ঞান অনুষদের বিভিন্ন বিভাগে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ