• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কবে, জানালেন সিনিয়র সচিব

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০২২  

প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান।

রোববার (৩০ অক্টোবর)  প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

আমিনুল ইসলাম খান বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলিও ১৫ নভেম্বরের মধ্যে শেষ হবে।

তিনি বলেন, দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে একটি শিফটে আনার প্রক্রিয়া চলছে। এতে, কোনো শিক্ষকের চাকরি হারানোর ভয় নেই। 

সিনিয়র সচিব বলেন, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে,  প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খানকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

রোববার (৩০ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ে শেষ অফিস করেন তিনি। সোমবার (৩১ অক্টোবর) থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে দায়িত্ব নেবেন আমিনুল ইসলাম। 

তিনি বলেন, আমার জন্য মন্ত্রণালয়ের চেয়ে কাজই গুরুত্বপূর্ণ। সেই হিসেবে সব মন্ত্রণালয়ই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কাজের জায়গার পরিবর্তন হলেও অঙ্গীকার কিংবা প্রত্যয়ের কোনো পরিবর্তন আসবে না। প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল দেয়ার কথা ছিল আগেই। কিন্তু ফলাফল দিতে গেলে যারা বিদ্যমান শিক্ষক আছেন, তাদের একটি আবেদন-নিবেদন দীর্ঘদিন পড়ে আছে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে যেটা নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়নি। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের বিভিন্ন পদ শূন্য রয়েছে, সেখানে মামলা রয়েছে, রিট রয়েছে, সেগুলো নিষ্পত্তির চেষ্টা করছি। বদলিটা আমরা সম্পূর্ণ অনলাইনে নিয়ে গেছি। এখন আমরা চেষ্টা করছি, যেসব কর্মকর্তা কোনো প্রতিষ্ঠানে ১০ বছর কিংবা ১২ বছর ধরে আছেন, তারা স্বাভাবিকভাবে তিন বছর পরপর বদলি হবেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেও বদলি করা যাবে, প্রশাসনিকভাবেও বদলি করা যাবে। বদলির ক্ষেত্রে আমরা সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।

এসময় আগামী ১ জানুয়ারিতেই সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন পাঠ্যবই পৌঁছে দেয়া হবে বলেও জানান সিনিয়র সচিব।

বর্তমানে সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এগুলোতে মোট শিক্ষক আছেন প্রায় পৌনে ৪ লাখ। এখন নতুন করে আরও ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।

প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৪০ হাজার ৮৬২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন। এ নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর। প্রথমে ৩২ হাজারের বেশি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও করোনা মহামারির বাস্তবতায় নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব হয়নি। পরে অবসরের কারণে আরও ১০ হাজারের বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়। 

এ জন্য একসঙ্গে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। চলতি বছরের ২২ এপ্রিল থেকে তিন ধাপে ৬১ জেলায় (তিন পার্বত্য জেলা ব্যতীত) এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ