• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রথম জীবনে মানুষের বাসার বারান্দায় রাত কাটিয়েছেন জাভেদ আখতার

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২২  

ষাটের দশকে মুম্বাইয়ে পা রাখেছিলেন গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতার। শুরুটা মোটেই সহজ ছিল না তাঁর কাছে। সারাদিন কাজের সন্ধানে মায়ানগরীর রাজপথে ঘুরতেন।

রাত হলে কখনও কোনও বারান্দা, কখনও বা কোনও করিডোর, মাঝে মাঝে আবার গাছের তলায় ভিড়ের মধ্যে রাত কাটিয়েছেন তিনি। তাঁর ৭৭তম জন্মদিনে ফিরে দেখা যাক। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে গিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা তৈরি করছেন গীতিকার।

২০০৬ সালে হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া পুরনো এক সাক্ষাৎকারে জাভেদ আখতার জানিয়েছিলেন, কখনও কোনও বারান্দা, কখনও বা কোনও করিডোর, মাঝে মাঝে আবার গাছের তলায় ভিড়ের মধ্যে রাত কাটিয়েছেন। তাঁর মতো আরও অনেক বেকার মানুষ রাত কাটাতো সেখানে। ১৯৬৯ সালে এমন একটি কাজ পান, যার ফলে তাঁর জীবনের মোড় ঘুরে গিয়েছিল। 

মুম্বাইতে শুরুর পাঁচটা বছর এভাবেই কাটিয়েছেন তিনি। এরপর ১৯৬৯ সালে সেলিম খানের সঙ্গে জুটি বাঁধেন। বলিউডের একের পর এক সুপারহিট ছবির সংলাপ লেখা শুরু করেন জাভেদ। সেলিম-জাভেদ নামে পরিচিতি পেতে শুরু করেন। 

১৯৭০ থেকে ৮০-র দশক জুড়ে বলিউডে একে পর এক হিট ছবিতে কাজ করেন। ‘সীতা অউর গীতা’, ‘শোলে’, ‘দিওয়ার’, ‘ডন’, ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’-র ছবির চিত্রনাট্যের উপর কাজ করেছেন। ১৯৮২ সালে ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে আলাদা হয়ে যায় সেলিম এবং জাভেদ জুটি। 

গীতিকার হিসেবে তিন বছর পরপর জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন জাভেদ। ১৯৯৭ সালে ‘সাজ’, ১৯৯৮ সালে ‘বর্ডার’ এবং ১৯৯৯ সালে ‘গডমাদার’ -এর জন্য। পদ্মভূষণ এবং পদ্মশ্রীও পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন তিনি। 

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ