• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

ভাবা যায়, এক কেজি ‘শসা’র দাম ২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা!

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

বাজারে এক কেজি শসার দাম কত হতে পারে? বড় জো’র ৬০ থেকে ১০০ টাকা। তাই বলে এক কেজি শসার দাম লাখ টাকার ওপরে এটানা। কিন্তু বিশ্বে এমন এক ধরনের শসা আছে যার দাম লাখ টাকারও বেশি। তবে যে শসা বাজারে দেখতে পাওয়া যায় কেজিপ্রতি আড়াই লাখের শসা কিন্তু সেই গোত্রের নয়।

ভা’রতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাম শসা হলেও বাজারে যে শসা পাওয়া যায় এটা তা নয়। এর জন্ম মাচা বা জমিতে নয়, এই ‘শসা’ জন্মায় সমুদ্রের নীচে, যা ‘সি কিউকাম্বার’ নামে পরিচিত। এটা আসলে এক ধরনের সামুদ্রিক জীব।

ভা’রত এবং শ্রীলঙ্কার মাঝে সাগর ও নদীর মোহনায় এই জীব পাওয়া যায়। আন্তর্জাতিক বাজারে এই সামুদ্রিক শসার চাহিদা অনেক। চাহিদা বেশি থাকায় এই সামুদ্রিক জীবের বিপুল চো’রাচালানও হয়।

যৌ’ন উত্তে’জনাবর্ধক ওষুধ, ক্যান্সার চিকিৎসা, তেল, ক্রিম এবং প্রসাধনী সামগ্রী বানাতে এই সামুদ্রিক জীবকে ব্যবহার করা হয়। ওষুধ ছাড়াও চীনসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে এই জীবের দামি রেসিপিও তৈরি হয়।

সামুদ্রিক শসা একিনোডার্ম প্রজাতির জীব। আকার অনেকটা টিউবের মতো। এটি দেখতে অনেকটা শসা মতো হওয়ায় এর নাম ‘সি কিউকাম্বার’দেওয়া হয়েছে। সমুদ্রের নীচে বালিতে লুকিয়ে থাকা ছোট ছোট জীব এর খাদ্য। এই প্রা’ণীর গা নরম তুলতুলে। এর বিষ্ঠায় যে নাইট্রোজেন, অ্যামোনিয়া এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে তা প্রবাল প্রাচীরের জন্য খুবই উপযোগী।

ওই প্রতিবেদন বলা হয়েছে, চো’রাচালানের কারণে এই প্রা’ণী ক্রমেই বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। ৪১ বছরে এই সামুদ্রিক শসার দাম বহু গুণ বেড়ে গেছে। ১৯৮০ সালে এই শসার দাম কেজি প্রতি পাঁচ হাজার রুপি ছিল। এখন যা বেড়ে হয়েছে বাংলাদেশি টাকায় ২৩ হাজার টাকা। তবে এর মধ্যে কয়েকটি বিশেষ প্রজাতির শসা রয়েছে যার এক কেজির দাম ২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ