• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

এবার ৫১.৭ শতাংশ ডিম ছেড়েছে মা ইলিশ

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০২১  

পদ্মা-মেঘনাসহ দেশের বিভিন্ন নদ-নদীতে এ বছর মা ইলিশ রেকর্ড ৫১ দশমিক ৭ শতাংশ ডিম ছেড়েছে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট চাঁদপুর নদী কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম শেষে এক গবেষণায় এই তথ্য পেয়েছেন তারা।

ইলিশের প্রজনন বাড়াতে সরকারের মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণা-পর্যবেক্ষণসহ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নদ-নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে আসছে কয়েক বছর ধরে। এর ফলস্বরূপ ইলিশের প্রজনন বাড়ছে বলে গবেষকরা জানাচ্ছেন।

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, অভয়াশ্রম এলাকায় এ বছর ৫১ দশমিকব ৭ শতাংশ মা ইলিশ ডিম ছেড়েছে, যা গত বছর ছিল ৫১ দশমিক ২ শতাংশ। নিষেধাজ্ঞার সময় কিছু জেলে ইলিশ ধরলেও প্রচুর পরিমাণে মা ইলিশ ডিম ছাড়ার সুযোগ পেয়েছে এবার।

তিনি বলেন, ইলিশ সারা বছরই কমবেশি ডিম ছাড়ে। তবে আশ্বিন মাসের অমাবস্যা ও ভরা পূর্ণিমা কেন্দ্র করে মা ইলিশ প্রচুর ডিম পাড়ে। প্রজননের এই প্রধান সময়টাতে ইলিশ সাগর ছেড়ে মোহনা ও নদীর মিঠা পানিতে ছুটে আসে। ইলিশের ডিমের পরিপক্বতা ও প্রাপ্যতার ভিত্তিতে এবং পূর্বের গবেষণার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এ বছর ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর ইলিশের চলাচল এলাকাকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়।

কিছু ইলিশের পেটে এখনও ডিম পাওয়া যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বছর মোট ডিমের ১০ শতাংশও যদি টিকে থাকে তাহলে আগামী মৌসুমে নতুন করে অন্তত ৪০ হাজার কোটি জাটকা জন্ম নেবে। তাদের সঠিক সুরক্ষা দিতে পারলে আগামী বছর ইলিশের উৎপাদন পৌঁনে ছয় লাখ মেট্রিক টনে পৌঁছাতে পারে, যা গত বছর ছিল সাড়ে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন।

জেলে ও ব্যবসায়ীরা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে ইলিশের ডিম ছাড়া সম্পর্কে বলেন, সরকারের নির্ধারিত সময়ের পরও অনেক ইলিশের পেটে ডিম পাচ্ছেন তারা। চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর এলাকার জেলে হাবিব ছৈয়াল বলেন, অধিকাংশ ইলিশই ডিম ছেড়েছে। তবে এখনও অনেক ইলিশের পেটে ডিম পাওয়া যাচ্ছে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ