• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

কাজের প্রতি আরও যত্নশীল হতে হবে

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০১৯  

সদ্য ঘোষিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ২০১৭ সালের ‘তুমি রবে নীরবে’ ছবির জন্য প্রথমবার শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে পুরস্কার পাচ্ছেন সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক ফরিদ আহমেদ।

এই প্রাপ্তি এবং সমসাময়িক অন্যান্য বিষয় নিয়ে আজকের ‘হ্যালো...’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি

প্রথমবার শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালকের পুরস্কার পাচ্ছেন। কেমন লাগছে?

ফরিদ আহমেদ: ১৯৮৭ সাল থেকেই পেশাদার সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ করছি। এখন পর্যন্ত দুই ডজনের মতো ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছি। এরই মধ্যে ২০০৪ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ছবির কাজ করিনি। যে কোনো পুরস্কারই অনুপ্রেরণা দেয়। অনেক সম্মানীয় ব্যক্তি এ পুরস্কার প্রদান কমিটিতে ছিলেন।

তাদের বিচারে পুরস্কার পাওয়া অনেক বেশি আনন্দের। এ পুরস্কার পাওয়ায় পর মনে হচ্ছে নিজের কাজটি মনে হয় ঠিকভাবেই হচ্ছে। এরপর আমাকে কাজের প্রতি আরও যত্নশীল হতে হবে।

নতুন কোনো ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করছেন?

ফরিদ আহমেদ: দুটি ছবির কাজ এখন আমার হাতে আছে। সাইদুল আনাম টুটুলের ‘কালবেলা’ নামে একটি ছবির কাজ করছি। এটির শুধু আবহ সঙ্গীতের কাজ বাকি আছে। আশা করছি চলতি মাসেই সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। অন্যদিকে চয়নিকা চৌধুরীর পরিচালনায় ‘বিশ্ব সুন্দরী’ নামে আরেকটি ছবির কয়েকটি গানের কাজ করেছি।

অ্যালবামের কোনো গানের কাজ করছেন?

ফরিদ আহমেদ: এখন তো অ্যালবাম আকারে গান বের হয় না বললেই চলে। একটি করে গানই বেশি হচ্ছে। একক গানের কাজ আপাতত নেই। তবে কয়েকটি থিমসংয়ের কাজ হাতে আছে। ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ পাঁচটি দেশাত্মবোধক গানের কাজ করেছি। যেগুলোতে কয়েকজন জনপ্রিয় শিল্পী কণ্ঠ দিয়েছেন।

এ সময়ে এসে সঙ্গীত পরিচালনা কিংবা সুর করার কাজটি কি পেশা হিসেবে নেয়া যায়?

ফরিদ আহমেদ: এটা সব সময়ই পেশাদারি একটা কাজ। এখন যন্ত্রের প্রতি নির্ভরশীলতা বেড়ে যাওয়ার কারণে এ সেক্টরটা একটু এলোমেলো হয়ে গেছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে কাজ করতে হয়। আগে সবাই এক জায়গায় বসে গানের কাজ করতেন। সবার কাজ সম্পর্কে পরিষ্কার একটা ধারণা থাকত।

এখন হোম ডেলিভারির মতো হয়ে যাওয়াতে কাজের ক্ষতি হচ্ছে বেশি। একজন সম্মানীয় সঙ্গীতজ্ঞ কিন্তু নিজের গান ফেরি করতে যাবেন না। আমরা এটা আগেও করতাম না, এখনও পারি না। হোম ডেলিভারি পদ্ধতিটা বাতিল হওয়া উচিত।

এখন নতুন গান সেভাবে স্থায়ী হচ্ছে না কেন? আপনি কী মনে করেন এ বিষয়ে?

ফরিদ আহমেদ: ভালো গান যথেষ্ঠ হচ্ছে। কিন্তু কোনো টেলিভিশন চ্যানেলেই নতুন গানের অনুষ্ঠান নেই। সব শুধু হারানো দিনের, পুরনো দিনের গান প্রচার হচ্ছে। একটি গান বানানোর পর প্রচার করার সুযোগ পাওয়া না গেলে সেটি তো শ্রোতার কাছে পৌঁছবে না। ন

তুন উদীয়মান শিল্পীরা যখন টিভিতে গাইতে যান তখন তাদের নতুন গান গাইতে দেয়া হয় না। তাদের নির্দিষ্ট করে বিভিন্ন শিল্পীর বহুল প্রচলিত গান গাইতে বলা হয়। এতে করে তাদের নিজেদের গানগুলো অনালোচিতই রয়ে যায়। আমি বলব, প্রচার মাধ্যমে নতুন গান প্রচারের সুযোগ যেন বৃদ্ধি করা হয়।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ