• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার নতুন উপায়

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২১  

মাঝেমধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য হয় না এমন লোক নেই বললেই চলে। খাবার সম্পর্কে অসচেতনতায় যেকেউ সহজেই এমন বিড়ম্বনায় পড়তে পারেন। এছাড়া এই সমস্যার পেছনে অন্যান্য কারণও থাকতে পারে। কখনো কোষ্ঠ ধরে গেলে তা ছুটাতে একটা সহজ কৌশল প্রয়োগ করে দেখতে পারেন। যা করতে হবে তা হলো- উভয় হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল সংশ্লিষ্ট পার্শ্বদ্বয়কে পরস্পরের সঙ্গে ডলতে হবে।

আকুপাঙ্কচারিস্ট আনিতা তাদাভার্থি সম্প্রতি টিকটকে জানান, ‘দুই হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল সংশ্লিষ্ট পার্শ্বদ্বয়কে পরস্পরের সঙ্গে সঠিকভাবে ডললে কোষ্ঠকাঠিন্য উপশম হতে পারে।’ তিনি একটি ভিডিওতে এই কৌশল দেখিয়েছেন, যেখানে হাজার হাজার লাইক পড়েছে। প্রথমে উভয় হাতকে মুষ্ঠিবদ্ধ করতে হবে। তারপর যে পাশে বৃদ্ধাঙ্গুল ও তর্জনি রয়েছে তা পরস্পরের সঙ্গে সামনে পিছনে ডলতে হবে। দুই মিনিট ডলতে থাকুন। এরপর ডান হাতের পিঠ দিয়ে বাম হাতের পিঠকে এবং বাম হাতের পিঠ দিয়ে ডান হাতের পিঠকে ডলতে হবে। একাজে মিনিট খানেক সময় দিন। কিছুক্ষণ পর মলত্যাগের চাপ আসতে পারে। প্রয়োজনে পুরো প্রক্রিয়াটি শুরু থেকে রিপিট করতে পারেন।

তাদাভার্থি বলেন, ‘এই কৌশলে আকুপ্রেশারের মাধ্যমে বৃহদান্ত্র ও কোলন উদ্দীপ্ত হয়।’ বিভিন্ন আকুপয়েন্টে শারীরিক চাপ দেওয়াকে আকুপ্রেশার বলা হয়। শরীরের যেসব অংশে চাপ দিলে ব্যথা বা রোগের উপশম হয় তাই হলো আকুপয়েন্ট।

তাদাভার্থি কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে যে কৌশল দেখিয়েছেন তা বমিভাব, বমি ও কিছু দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা নিরসনেও সহায়ক হতে পারে। তবে নিশ্চিত হতে নির্ভরযোগ্য গবেষণার প্রয়োজন আছে।

হাতের এই কৌশলে আকুপয়েন্ট এলআই৪ (হেগু) সক্রিয় হয়। বৃদ্ধাঙ্গুল ও তর্জনির মধ্যকার উপত্যকায় হেগুর অবস্থান।তাদাভার্থি বাজফিড ডটকমের প্রতিবেদক ফারাহ পেনকে জানান, ‘এই কৌশলে সামনে পিছনে ম্যাসাজ করলে হেগুতে যে চাপ পড়ে তা কোলনকে সামনে পিছনে সংকুচিত করে, ফলে কোষ্ঠ ছুটে যায়। কোলন সংকুচিত হয় বলেই কৌশলটি এত ভালো কাজ করে।’

তাদাভার্থির পোস্ট করা ভিডিওতে টিকটক ব্যবহারকারীরা আকুপ্রেশার কৌশলটি চেষ্টার পর নিজেদের অভিজ্ঞতা জানান।একজন টিকটকার মন্তব্য করেন, ‘অবকাশযাপন থেকে ফেরার পর আমার পেটফাঁপা ও কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছিল। অতঃপর আমি এভাবে তিন মিনিট ম্যাসাজ করি। আমি অবাক হলাম যে, এর পনের মিনিট পর মলত্যাগের চাপ এসেছে। বাথরুম সারার পর পেটফাঁপাও দূর হয়ে গেছে।’

বাথরুমে বসেও হাতের কৌশলটি প্রয়োগ করা যাবে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রবণতা আছে তারা দিনে কয়েকবার এটা চর্চা করতে পারেন। আপনার ক্ষেত্রে প্রথমদিনেই কৌশলটি কাজ না করলে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত চেষ্টা করতে দেখতে পারেন।

আপনি গর্ভবতী হলে হেগুকে সক্রিয় করার এই কৌশল চর্চা করবেন না। গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রবণতা বেড়ে যায়, কিন্তু এসময় এটা নিরাপদ নয়। তাদাভার্থি জানান, ‘গর্ভাবস্থায় এলআই৪ আকুপয়েন্টকে উদ্দীপ্ত করলে কোলনের সঙ্গে জরায়ুও সংকুচিত হতে পারে। গর্ভাবস্থায় জরায়ুকে সংকুচিত করে এমনকিছু এড়িয়ে যাওয়া উচিত, অন্যথায় অকালে প্রসব হতে পারে।’

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ