• শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৪ ১৪৩০

  • || ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

অতিরিক্ত চা পানে হতে পারে বহু সমস্যা

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০২৩  

সারা বিশ্বের মানুষের কাছে চা একটি জনপ্রিয় পানীয়। প্রাত্যহিক জীবনের ক্লান্তিতে চা আমাদের প্রশান্তি দেয়। কিন্তু অতিরিক্ত চা পান করলে আমরা সম্মুখীন হতে পারি ভয়াবহ শারীরিক সমস্যার।

চায়ে কিছু ক্ষতিকারক ট্যানিন আছে। যার ফলে শরীর পুষ্টি গ্রহণে বাধাপ্রাপ্ত হয়। এর ফলে অনিদ্রা, মাথাব্যথাসহ নানা রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সমস্যা সৃষ্টি হয়।

চা আয়রন শোষণক্ষমতা কমায়

চায়ের অন্যতম প্রধান পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো শরীরে আয়রন শোষণ কমে যাওয়া। ফুড রিসার্চ নিয়ে আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, চা হলো ট্যানিন নামের একটি যৌগের উৎস। এটি নন হিম আয়রনের সাথে যুক্ত হয়ে শরীরে আয়রন শোষণ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। ফলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি থেকে অ্যানিমিয়ার মতো ভয়াবহ সমস্যা হতে পারে। 

ঘুমের সমস্যা

চায়ে প্রাকৃতিকভাবে ক্যাফেইন রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যাফেইন শরীরে মেলাটোনিন উৎপাদনে বাধা দিতে পারে। ফলে ঘুমের মারাত্মক ব্যাঘাত হয়। মেলাটোনিন হলো ঘুমের হরমোন যা মস্তিষ্কে ঘুমের সংকেত দেয়। অপর্যাপ্ত ঘুম বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যার কারণ। তাই গবেষকেরা দিনে ২-৩ কাপের বেশি চা পান করতে নিষেধ করেন।

অম্বল এবং অ্যাসিডের সমস্যা

অতিরিক্ত ক্যাফেইন বুকে জ্বালাপোড়ার সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যাফেইন পাকস্থলীতে অ্যাসিডের উৎপাদন বাড়ায়। ফলে প্রদাহ সৃষ্টি এবং অম্বল হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় চা পানে সমস্যা

উচ্চ মাত্রার ক্যাফেইন গর্ভাবস্থায় জটিলতা বাড়াতে পারে, যা এক পর্যায়ে মারাত্মক রূপ নিতে পারে। ফলে গর্ভবতী নারী কম ওজনের সন্তান প্রসব করতে পারেন। তবে এ বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।

বেশিরভাগ গবেষণা পরামর্শ দেয়, দৈনিক ক্যাফেইন গ্রহণের পরিমাণ ২০০-৩০০ মিলিগ্রামের নিচে রাখলে জটিলতার ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম।

শরীরে টক্সিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে

টক্সিকোলজির উপর প্রকাশিত একটি জার্নালে বলা হয়েছে, চা যত বেশি পান করা হয়, তত বেশি ক্ষতিকর। যখন চা ৩-১৫ মিনিট ধরে জ্বাল দেয়া হয়, তখন এক কাপ চায়ে সীসা এবং অ্যালুমিনিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যায়। যা আরও জটিল কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করতে পারে।

 

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ