• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

দখলের কবলে চৌমুহনী শহরের সরকারি পুকুরগুলোর অস্তিত্ব প্রায় বিলীন

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারি ২০১৯  

নোয়াখালীর প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র চৌমুহনীতে ২৮টি সরকারি পুকুর থাকলেও দখলের কবলে পড়ে অধিকাংশ পুকুরের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বাকিগুলোও দখলের কবলে রয়েছে। শহরে যদি অগ্নিকাণ্ড ঘটে তা নিভানোর জন্য পানিও পাওয়া যাবে না। এতে চৌমুহনী শহর হুমকির মধ্যে রয়েছে।

চৌমুহনী শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও শহরের কতিপয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের অভিযোগে জানা যায়, নোয়াখালী জেলার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র চৌমুহনীতে ২৮টি বড় ও মাঝারি সরকারি পুকুর রয়েছে। চৌমুহনী শহরের বড় মসজিদ সংলগ্ন পুকুর, সিনেমা হল সংলগ্ন পুকুর, করিমপুর, কুরীপাড়া ও রাম ঠাকুর মন্দির সংলগ্ন পুকুরসহ বেশ কয়েকটি সরকারি পুকুর দখলদারদের কবলে অস্বিত্ব প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। এতে চৌমুহনী শহরের যে সৌন্দর্য ও পরিবেশ ছিল তা এখন আর নেই।

পুকুরগুলি দখলের পর ভরাট করে দোকানপাট, বাড়িঘর নির্মান করেছে এক শ্রেণির দখলবাজ। এ দখলের পিছনে রয়েছে ভূমি দপ্তরের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ। দখলদাররা ঐসব অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারিগণের সঙ্গে মিলিত হয়ে একসনা বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করে বহুতল ভবনও নির্মান করে।

চৌমুহনী শহরের অবস্থা এমন পর্যায়ে এসেছে যে, পরিবেশ দূরের কথা, অগ্নিকাণ্ড ঘটলে দমকল বাহিনীর আগুন নিভানোর জন্য পানি পাওয়াও দুষ্কর হয়ে পড়বে। দখলদারদের কবল থেকে পুকুরগুলি উদ্ধার করার কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। উপরন্ত দিন দিন দখল বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এ ব্যাপারে চৌমুহনী সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কতিপয় নেতা বলেন, ‘এক শ্রেণির দখলবাজ ভূমি দপ্তরের কতিপয় অসাধূ কর্মকর্তার যোগসাজসে দখল বাণিজ্যের প্রতিযোগিতা চালাচ্ছে। সরকারিভাবে এর প্রতিকারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। বরং দখল বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

দখলদারদের মধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানান, ‘আমরা বন্দোবস্ত এনেছি।’ একসনা বন্দোবস্ত থাকলেও উক্ত স্থানে কোনোরকম স্ট্রাকচার নির্মান করা যায় না- এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তারা জানান, ‘আমরা ম্যানেজ করে ঘর তুলছি।’

চৌমুহনী পৌর ভূমি অফিসের উপ সহকারী ভূমি কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন জানান, ‘সরকারি পুকুরগুলি বন্দোবস্ত না দিয়ে যদি সংস্কার করা হয় তা হলে একদিকে শহরের পরিবেশ ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। অপরদিকে বাৎসরিক ইজারা দিয়ে সরকারি তহবিলে বিপুল পরিমানের অর্থ জমা হবে। এ ব্যাপারে দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য একাধিকবার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।’

এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ‘উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত দিবে সে হিসাবে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ