• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

পদ্মা সেতুর নিরাপত্তায় যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে আমরা রাজি

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১  

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, পদ্মাসেতুর নিরাপত্তার জন্য যেকোনো ধরনের ত্যাগ স্বীকার করতে আমরা রাজি আছি। কষ্ট, বঞ্চনাকে সহ্য করে এই পদ্মা সেতু করার যে সাহস দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, সেজন্য আজ পদ্মা সেতু দৃশ্যমান।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট  রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এর সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

মাওয়া ঘাটে কবে থেকে ফেরি চালু হবে এবং পদ্মা সেতুতে ফেরির ধাক্কা বিষয়ে তদন্ত কমিটি কী পেল, এসব বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজ ৪ নটিক্যাল মাইলের নিচে পানির স্রোত আসছে কি না সেটা আমি জানি না। তবে অনেকেই বলে এতদিন ধাক্কা লাগল না, এখন ধাক্কা লাগে কেন। এত দিন কিন্তু  এখানে পদ্মা সেতু ছিল না বা কোনো সুনিদিষ্ট নির্দেশনা ছিল না কর্তৃপক্ষের। যে একটি নিদিষ্ট পকেট দিয়ে ফেরি নিয়ে যেতে হবে। এত দিন দায়িত্ব ছিল বিআইডব্লিউটিএ’র। তবে এখন দায়িত্ব পদ্মা সেতু নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের।

তিনি বলেন, গত বছর আমরা যখন ফেরি চালিয়েছি ৩৮, ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলার দিয়ে, এখন সেখানে বাঁধ দিয়ে পানির প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত বছর এই সেতুতে স্প্যান বসানো ছিল না, উন্মুক্ত ছিল। এখন সুনির্দিষ্ট পকেট দিয়ে চলতে হয়। আমাদের মাস্টারদের সে অভিজ্ঞতা নেই। আমাদের প্রথম যে ধাক্কা লেগেছে, আমাদের যে নির্দেশনা ছিল মাস্টাররা সেটা অনুসরণ করে নাই বলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। কিন্তু সর্বশেষে যে ঘটনাটা ঘটে গেল, সেটা সেতু কর্তৃপক্ষ বলেছে, ধাক্কা লাগে নাই। মাস্তুল না সিগন্যাল লাইট যখন নামিয়ে দেওয়া হয় তখন ভিডিওটা ধারণ করা হয়েছে।  

আরও যত্মশীল হয়ে নিউজ করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, দ্রুত নিউজটা ছেড়ে দিয়ে সমগ্র দেশবাসীকে একটা আতঙ্কের মধ্যে রাখা ঠিক হয়নি। আর একটু বিশ্লেষণ করলে বুঝতে পারত, ধাক্কা লাগেনি। কয়েক ঘণ্টা পর যখন সেতু কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রী গেলন, তখন দেখলেন সেখানে কোনো ধাক্কা লাগেনি। আমি সাংবাদিকদের বলেছিলাম, ধাক্কা লাগলে ভেঙে যাবে বা দাগ লাগবে। কিন্তু লাইটেও ক্ষতি হয়নি সেতুতে কোনো দাগ লাগেনি। এই বিষয়টি নিয়ে দেশবাসী আতঙ্কিত, আমরা বিব্রত।  

মাওয়াঘাটে ফেরি চলাচলের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাওয়াঘাটে ফেরি প্রায় এক মাসের মতো বন্ধ আছে। সেজন্য আমরা দৌলদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে অনেক ফেরি বৃদ্ধি করেছি। সেখানে কোনো জট নেই। রাস্তায় ফোর লেনের কাজ চলছে। আমরা হরিণাতে সাতটি ফেরি বৃদ্ধি করেছি। দৌলদিয়ার ৪ নম্বর ঘাটটি ভেঙে গেছে। তারপরও আমরা চলাচল অব্যাহত রেখেছি।  

তিনি আরও বলেন, আমাদের মাওয়া থেকে বাংলাবাজার যেতে দেড় ঘণ্টা লাগে। আর পাটুরিয়া-দৌলদিয়া লাগে ২৫ মিনিট। রাস্তার হিসাব করলে পাটুরিয়া দিয়ে যেতে ৪০ থেকে ৫০ মিনিট সময় বেশি লাগে। তবে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। মাওয়াতে যে লোড ছিল তার পুরা লোড দৌলদিয়াতে শিপ্ফ করা হয়েছে। তাতে দৌলদিয়াতে যে পরিমাণ চাপ বাড়ার কথা ছিল, সেটা কিন্তু হয়নি।  

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ