জিয়াউর রহমানের আমলে ২৬টি সামরিক অভু্যত্থান ঘটেছিল: জয়
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০২১

জিয়াউর রহমানের আমলে (১৯৭৫-৮১) দেশে ২৬টির মতো সামরিক অভু্যত্থান ঘটেছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
মঙ্গলবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর। এই অভু্যত্থানটি সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি তথ্য জানা যায়। বাকিগুলো ধোঁয়াশার আড়ালে।
তার দেওয়া সেই ফেসবুক পোস্টটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো-জিয়াউর রহমানের আমলে (১৯৭৫-৮১) দেশে ২৬টির মতো সামরিক অভু্যত্থান ঘটেছিল বলে বিভিন্ন ভাষ্যে জানা যায়। কেউ কেউ বলেন সংখ্যাটি ২১।
এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর। এই অভু্যত্থানটি সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি তথ্য জানা যায়। বাকিগুলো ধোঁয়াশার আড়ালে।
১৯৭৭ সালের অক্টোবরের অভু্যত্থানে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছিলেন শতাধিক সেনা অফিসার। অনেকে নিহত হয়েছিলেন অভু্যত্থান দমাতে গিয়ে। আবার বিচারের নামে মেরে ফেলা হয় কয়েক শ সেনাকে। সব মিলিয়ে
মোট সংখ্যাটি আড়াই হাজারের মতো হতে পারে।
তাদের মধ্যে ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি সেনাকে ফাঁসি ও ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে হত্যা করা হয়। বাকিদের মৃতু্যর কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। সেই সময় থেকে আজও তারা পরিবারের কাছে নিখোঁজ।
জিয়াউর রহমানের আমলে সামরিক বাহিনীতে অভু্যত্থানচেষ্টার ঘটনা ও মৃতের সংখ্যা মেলানো খুবই কঠিন। এ নিয়ে খুব বেশি গবেষণা হয়নি।
প্রায় ৪৫ বছরের মাথায় এসে গত ১৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিয়ার আমলে নিহতদের তালিকা করার নির্দেশ দেন।
তবে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, এ রকম একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করা কতটা কঠিন? এটি আদৌ কি সম্ভব?
সেই সময়ের বেশির ভাগ প্রত্যক্ষদর্শী জীবিত নেই। আবার অনেক দালিলিক প্রমাণ নষ্ট করারও অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে গবেষণা প্রায় হয়নি বললেই চলে।
পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে নথি
এ বিষয়ে দীর্ঘ অনুসন্ধান করেছেন সাংবাদিক ও গবেষক জায়েদুল আহসান পিন্টু। তিনি বলেন, এটা খুব কঠিন কাজ। তবে অসম্ভব নয়। হয়তো এখনো ব্যক্তিগতভাবে কিছু দালিলিক প্রমাণ পাওয়া যাবে। কিছু ঘটনার সাক্ষী ও স্বজন এখনো বেঁচে আছেন। দ্রম্নত কাজ শুরু করলে হয়তো এখনো সত্যের খুব কাছাকাছি যাওয়া সম্ভব। তবে দেরি করলে বা আরও ১০ বছর পর করলে কিছুই মিলবে না।
জায়েদুল আহসান বলেন, কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, ওই ৫ বছরে কমপক্ষে ১৯টি অভু্যত্থানের ঘটনা ঘটেছিল। তবে নিহতের সংখ্যা কারও কাছে এককভাবে নেই। হয়তো বিচ্ছিন্নভাবে আছে।
জায়েদুল আহসান বলেন, যত দ্রম্নত সম্ভব একটি তথ্যানুসন্ধানী কমিশন গঠন করা দরকার। যে কমিশন ওই সময়কালের হত্যা, হত্যাকান্ড, নির্বিচার হত্যা, বিনা বিচারে হত্যা এবং বিচারের নামে প্রহসনের ট্রাইবু্যনালে হত্যা বা ফাঁসি- এসব কিছুর তথ্য সংগ্রহ করবে। তথ্য সংগ্রহের উপায় হলো দলিল-দস্তাবেজ বা মৌখিক সাক্ষ্য গ্রহণ।
তিনি বলেন, দলিল-দস্তাবেজ দুই সামরিক সরকারের আমলেই (জিয়া ও এরশাদ) নষ্ট করে ফেলা হয়েছে বা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। তবে এখনো ব্যক্তিগত পর্যায়ে কারও কারও কাছে থাকতে পারে। সেগুলো আহ্বান করা ও সেই সময়ের মানুষের সাক্ষ্য গ্রহণ করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, এই তথ্যানুন্ধানী কমিটিকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন করতে হবে, যাতে তথ্য চেয়ে তারা যে কাউকে তলব করতে বা সমন জারি করতে পারে। তিনি যদি প্রধানমন্ত্রী বা সেনাপ্রধানও হন, তবু কমিশনে এসে তথ্য দিতে বাধ্য থাকেন।
জায়েদুল আহসানের মতে, এই কমিশন দুভাবে গঠিত হতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি বা সাবেক প্রধান বিচারপতি হতে পারেন এটির প্রধান। তার সঙ্গে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা, আইনজীবী, সাংবাদিক ও গবেষক থাকতে পারেন।
আবার সংসদীয় কমিটিও হতে পারে। সেটা সংসদ ঠিক করবে। সেখানে সংসদ সদস্য, মন্ত্রী থাকতে পারেন। সেটা সর্বদলীয় হতে পারে। আবার দুইটি কমিটি একসঙ্গেও হতে পারে। তারা আলাদাভাবে কাজ করে একসঙ্গে বসতে পারে।
তবে লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ মনে করেন, সরকার চাইলে এ রকম একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করা কঠিন হবে না।
তিনি বলেন, সরকার তালিকা করতে চাইলে এটা করা কোনো ঘটনাই না। এটা খুবই সহজ। কারণ এর প্রতিটি ঘটনারই রেকর্ড আছে। সরকার চাইলে সব তথ্যই সরকার পাবে। কারণ ওই সময়ের অনেকেই তো এখনো বেঁচে আছেন। আপনার-আমার কাছে হয়তো কঠিন। আমরা অ্যাক্সেস পাব না। যাদের ফাঁসি দিয়েছে, তাদের রেকর্ড তো জেলখানাতেই আছে।
লেখক ও সাংবাদিক আনোয়ার কবির বলেন, জিয়ার আমলে সশস্ত্র বাহিনীতে চলা হত্যা, গণহত্যা, গণফাঁসি নিয়ে তথ্যানুসন্ধানী কমিশন গঠনের জন্য অনেক দিন ধরেই কথা হচ্ছে। ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর প্রথম এই কমিশন গঠনের দাবি ওঠে জাতীয় সংসদে। এরপর নানা সময়ে আমার বই ধরে সংসদে বিভিন্ন সংসদ সদস্য দাবি তুলেছেন। কিন্তু কমিশন গঠন হয় না, তথ্যের সন্ধানও হয় না। প্রাণ হারানো সেনার তালিকাও হয় না।

- বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী আজ
- এশিয়ার ক্রেতাদের জন্য তেলের রেকর্ড দাম বাড়াল সৌদি
- দেশের সম্পদ পাহারা দিতে উৎক্ষেপণ করা হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২
- চীনে ৯৯ শতাংশ পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলাদেশ
- শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসায় বিলাওয়াল ভুট্টো
- বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের শ্রদ্ধা
- জেলের বড়শিতে আটকা ২৪ কেজির কোরাল
- দূরপাল্লায় প্রতি কি.মি বাড়লো ৪০ পয়সা, মহানগরীতে ৩৫
- পিরোজপুরে পানির ড্রামের ভেতর শিশুর লাশ
- ঢাকায় মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- দেশে জ্বালানি তেলের দাম এখনও অনেক দেশের তুলনায় কম : তথ্যমন্ত্রী
- বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- বেইজিংকে সব সময় পাশে চায় ঢাকা
- বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য : বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগ
- ১০ সেতুতে টাচ অ্যান্ড গো
- পরিবর্তন আসছে বিসিএস পরীক্ষায়
- কোস্টগার্ডের সক্ষমতা দিন দিন বাড়ছে
- রাশিয়া থেকে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রাংশ মোংলায়
- ভারত থেকে আসছে ২ হাজার টন কাঁচামরিচ
- চাষের মাছ উৎপাদনে সেরা তিন দেশের তালিকায় বাংলাদেশ
- ‘শেখ কামালের জীবন হোক তারুণ্যের পথ চলার দিশা’
- নেপালকে মোংলা-চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব
- মায়ের স্বপ্ন পূরণে হেলিকপ্টারে চড়ে বরের বাড়ি গেলেন সুরভী
- বশেমুরবিপ্রবিতে শেখ কামালের জন্মদিনে দোয়া মাহফিল
- দেশের বাজারে বাড়লো সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম
- বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে নেপালের সংসদীয় প্রতিনিধি দলের শ্রদ্ধা
- নেপালকে দুই সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
- শহীদ শেখ কামাল এদেশের আধুনিক ফুটবলের পথিকৃৎ : তথ্য মন্ত্রী
- ভারতে রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আটক
- আগস্ট এলেই বিএনপির খুনি চেহারা স্পষ্ট হয়: কাদের
- গোপালগঞ্জে চুরির অভিযোগে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
- ফরিদপুরে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাংবাদিক নিহত
- সেপ্টেম্বরে উদ্বোধন হবে ৬ লেন বিশিষ্ট কালনা সেতু
- বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের শ্রদ্ধা
- মায়ের ইচ্ছে পূরণে ৭৫ বছর বয়সে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা
- মারা গেলেন মহানবীর রওজা মোবারক দেখভালকারী প্রবীণতম ব্যক্তি
- বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে নেপালের সংসদীয় প্রতিনিধি দলের শ্রদ্ধা
- বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর পরিদর্শনে রাষ্ট্রপতি
- পদ্মা সেতু হয়ে শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করলেন মাশরাফি
- র্যাব অত্যন্ত সুশৃঙ্খল বাহিনী : টুঙ্গিপাড়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত পরিকল্পিত জনসংখ্যা: প্রধানমন্ত্রী
- সাউন্ডবক্সে গান বাজিয়ে পদ্মা সেতুতে ওঠার চেষ্টা, দুটি পিকআপ জব্দ
- মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত গোপালগঞ্জের ব্যবসায়ী খুলনায় উদ্ধার
- ৪১৬ হাজি নিয়ে ঢাকা ফিরলো বিমানের প্রথম ফ্লাইট
- গোপালগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
- মারা গেছে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক বাঘ ‘রাজা’
- সৌদি ত্যাগ করা হাজীদের ৭৬ ভাষার দশ লক্ষ কোরআন শরিফ উপহার
- শেখ হাসিনাকে নিয়ে মিশরীয় লেখকের উপন্যাস ‘ডিভাইন ডেসটিনি’ বাজারে
- কৃষিতে সাফল্য অব্যাহত রাখতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে
- এক্সপ্রেসওয়েতে বড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন গোপালগঞ্জের ডিসি
