• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

তাহলে এই কন্যাসন্তানের পিতা কে?

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১২ জুন ২০২১  

কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে মোস্তফা শিকদার ধর্ষণ করেননি। তাহলে ওই তরুণীর কন্যাসন্তানের পিতা কে? এমন প্রশ্ন এখন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কয়েক হাজার নর-নারীর মুখে মুখে।

 

জানা গেছে, গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর কোটালীপাড়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়। বাদী তার মামলায় উল্লেখ করেন, ২০২০ সালের ১৩ এপ্রিল তারাশী গ্রামের মৃত্যু আজগার আলী শিকদারের ছেলে মোস্তফা শিকদার তার বোনকে ধর্ষণ করে। এ ধর্ষণের ফলে বাদীর বোন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর বোন বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

 

মামলা দায়েরের রাতেই কোটালীপাড়া থানা পুলিশ মোস্তফা শিকদারকে গ্রেফতার করে ২৪ সেপ্টেম্বর আদালতে প্রেরণ করে। এরপর দীর্ঘ প্রায় ৯ মাস জেল খেটে চলতি বছরের ২৪ মে মোস্তফা শিকদার জামিনে মুক্তি পান।

 

এদিকে চলতি বছরের মার্চ মাসের মাঝামাঝি বাদীর বোন ওই তরুণী কন্যাসন্তানের মা হন। এরপর মোস্তফা শিকদারের পরিবারের পক্ষ থেকে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য গোপালগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে আবেদন করেন। এ আবেদনের পর আদালত ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ প্রদান করেন।

 

আদালতের নির্দেশ মোতাবেক কোটালীপাড়া থানা পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশ ফরেনসিক ল্যাবরেটরি থেকে ডিএনএ পরীক্ষা করান। এখানে ডিএনএ পরীক্ষার পর এখানকার ডিএনএ এক্সপার্ট দীপঙ্কর দত্ত রিপোর্ট প্রদান করেন।

 

রিপোর্টে তিনি উল্লেখ করেন, ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হয় যে, মোস্তফা শিকদার ওই তরুণীর গর্ভজাত সন্তানের জৈবিক পিতা নয়। ডিএনএ পরীক্ষার এ রিপোর্টের কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তারাশী গ্রামের কয়েক হাজার নর-নারীর মুখে মুখে একই প্রশ্ন- তাহলে এই কন্যাসন্তানের পিতা কে?

 

এ বিষয়ে বাদীর বোন ওই তরুণীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনো প্রকার মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে মামলার বাদী বলেন, আমরা এই ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট মানি না। পুনরায় ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আদালতে আবেদন করব।

 

মোস্তফা শিকদার বলেন, আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ৯ মাস জেল খাটানো হয়েছে। বর্তমানে আমি এ মামলায় জামিনে আছি। আমি একজন শ্রমজীবী মানুষ। দৈনিক আয় করে আমার সংসার চালাতে হয়। দীর্ঘ এই ৯ মাস জেলে থাকার কারণে আমি সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। আমাকে যে হয়রানি করা হয়েছে তার জন্য আমি বিচার ও ক্ষতিপূরণ চাই।

 

কোটালীপাড়া থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পরে মোস্তফা শিকদারকে মামলা থেকে বাদ দিয়ে মামলার ফাইনাল রিপোর্ট আদালতে দিয়েছি। আদালত যদি এ মামলার পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন তাহলে আমরা তদন্ত করে বের করার চেষ্টা করব- এই কন্যা সন্তানের পিতা কে?

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ