• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জে কোরবানীর গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০২১  

আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে গোপালগঞ্জে ৩০ হাজার কোরবানীর গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন খামারীরা। করোনা সংক্রমণের কারণে গবাদিপশুর হাট বন্ধ রয়েছে তাই গরু বিক্রি না হওয়ার শঙ্কা তাদের। কোরবানির দিন ঘনিয়ে আসলেও ক্রেতার সাড়া নেই। গরু ব্যবসায়ীরা বাড়ি বাড়ি ও খামারে গিয়ে কিছু গরু কিনছেন। আশাতীত দাম না পেয়ে হতাশ গরু লালন পালনকারিরা।

এদিকে কর্তৃপক্ষ বলছে, এখনও কোরবানির পশুর হাট বসানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অনলাইনে পশু বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে এভাবে সঠিক দাম পাবেন কি না বা বিক্রি হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন খামারিরা।

গোপালগঞ্জে গরুর খামার করে স্বাবলম্বী অনেক পরিবার। এ বছর জেলার পাঁচ উপজেলাতেই ছোট বড় খামার এবং ব্যক্তিগতভাবে ৩০ হাজার গরু লালন পালন করে কোরবানীর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। তাদের লক্ষ্য, আসন্ন কোরবানি ঈদে এগুলো বিক্রি করা। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির কারণে হাটে গবাদিপশু বিক্রি বন্ধ থাকায় এবং খামারিদের কাছে

ক্রেতারা সহজে আসতে না পারায় দুশ্চিন্তায় আছেন গরুর খামারিরা। খামারিরা দেশীয় পদ্ধতিতে বিলের কচি ঘাস, ভুসি, ধানের কুঁড়া, খৈল ও চিটাগুড়,ভাতের মাড় খাইয়ে পশু লালনপালন করেন। এতে খরচ বেশি হওয়ায় পশুর দামও বেড়ে যায়। অনেকেই আবার টাকা ধার করেন পশুর খরচ বহন করার জন্য। লক্ষ্য থাকে কাঙ্খিত মূল্যে পশু বিক্রি করে সংসারের স্বচ্ছলতা

ফিরিয়ে আনা। কিন্তু যদি করোনার কারণে হাট না বসে তাহলে বিরাট ক্ষতির মুখে পড়বেন তারা। সঠিক সময়ে ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারবেন কিনা এই আংশঙ্কা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন গরুর মালিকরা। এবার জেলায় গরুর হাট বন্ধ থাকায় খামারিসহ ক্রেতারাও পড়েছে ভোগান্তিতে।

গরুর খামারীরা বলছেন, ঈদে পশু বিক্রি নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও খরচ কিন্তু থেমে নেই। বেড়েই চলেছে পশুখাদ্যের এই খরচ। হাট না থাকায় বাড়িতে গরু বিক্রি করে আশাতীত দাম পাচ্ছেন না তারা । এদিকে অনলাইনেও গরু বেচা-কেনা করতে পারছেন না অনেকে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আজিজ আল মামুন জানান, গোপালগঞ্জে গরুর খামারি আছেন ৩ হাজার ৭০০ জন। তাদের পালন করা গরুর সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। জেলায় এই ঈদে পশুর চাহিদা প্রায় ২৯ হাজার। খামারিরা যাতে ক্ষতির সম্মুখীন না হন তাই গবাদিপশুর ছবি, দাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর দিয়ে অনলাইনে বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রানী সম্পদ বিভাগ সবরকমভাবে সহযোগীতা করবে খামারিদের।

হাটে ত্রেতা বিক্রেতাগণ গরু যাচাই বাছাই করে বাজার অনুপাতে দাম নির্ধারণে কিনতে পারতো। অনলাইনে সুযোগ থাকলেও সঠিক দাম পাবেন কি না নিয়ে শঙ্কায় আছেন খামারিরা। 

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ