• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

উন্মুক্ত মরা খাল, ফিরে আসলো ৫০বছর পর জোয়ার-ভাটায় বৈরাগীর খাল

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০২১  

গোপালগঞ্জ পৌরসভার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া খাটরা বৈরাগী খালে এখন জোয়ারের পানি এসে ভরপুর। গতকাল জেলা প্রশাসক সাহিদা সুলতানা এই খালটি পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনের সময় তিনি খালের পাড়ের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদেরকে এই খালে ময়লা আবর্জনা ফেলা এবং খালটি বাচিয়ে রাখতে অনুরোধ করেন।

বৈরাগীর খালটি গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রায় ৫০ বছর পর জোয়ারের পানিতে কানায় কানায় পূর্ন। তিনি নিজেও এই দৃশ্য দেখে অভিভূত হয়ে যান।

এই খালটি থানা পাড়ায় দিয়ে মরা মধুমতি নদীর সঙ্গে সংযোগ ছিলো। কিন্তু কোন এক সময় মিয়াপাড়া ও থানা পাড়ায় রাস্তা বানিয়ে বন্ধ করে দেয় খালের পানির প্রবাহ। খালের উপর দিয়ে একটি রাস্তা তৈরি করে বন্ধ করা হয় মধুমতি নদীর সাথে সংযোগ। তখন থেকে খালে আর মধুমতি নদীর থেকে জোয়ারের পানি প্রবেশ করতো না । খালটি একেবারেই মরে গিয়েছিল। শহরের সকল ময়লা এই খালে ফেলা হত। ফলে দুর্গন্ধে খালের পাশের মানুষের জীবন ছিল অতিষ্ঠ। পানি না থাকায় মাটিতে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল অনেক স্থানে। খালের পাড় অবৈধ দখল হয়ে গিয়েছিল। গোপালগঞ্জ শহরের সাধারণ মানুষের বহুদিনের দাবী ছিল খালটি পুনর্জীবিত করার।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক এই কঠিন কাজটি সফলতার সাথে বাস্তবায়ন করেন। এ জন্য উচ্ছেদ করা হয় অনেক অবৈধ স্থাপনা, রাস্তা কেটে তৈরি করা হয়েছে নতুন একটি ব্রিজ, স্ক্যাভেটর মেশিন দিয়ে খালের অনেক স্থানে খনন করা হয়েছে, খালের ময়লা-আবর্জনা,  কচুরিপানা পরিষ্কার করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ শহরের সর্বস্তরের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী পূরণ হওয়ায় সকলে জেলা প্রশাসকের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

স্থানীয় মানুষের দাবি পুরন হওয়ায় খালটি বাচিয়ে রাখতে জেলা প্রশাসক সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, খালের ভিতর এখনো যে ময়লা আছে সেটা কোন একটা পদ্ধতিতে পরিস্কার করা হবে। খালটি পরিদর্শনের সময় জেলা প্রশাসকের অধীনস্থ উর্ধতন  কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং স্থানীয় গন্যমান্য ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ