সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রুবি বেগমকে (২২) হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী নুর আলম শেখের (৪৫) বিরুদ্ধে।

নিহতের পরিবারের দাবি- রুবি বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে। তবে নিহতের স্বামী নুর আলম শেখের পরিবারের দাবি, ৭ মাসের আনুষ্ঠানিকতা (সাধ) করতে নিষেধ করায় রুবি বেগম রাগে ক্ষোভে আত্মহত্যা করেছেন।

মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার কমলাপুর পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ খবর পেয়ে রাত পৌনে ১টার সময় লাশ উদ্ধার করে বুধবার সকালে মর্গে প্রেরণ করেছে।

পুলিশ, পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপালগঞ্জের মকসুদপুর উপজেলার কমলাপুর পূর্বপাড়া গ্রামের আবদুল হক শেখের পুত্র নুর আলম শেখের (৪৫) সঙ্গে ১০ মাস পূর্বে পার্শ্ববর্তী ফরিদপুরের সালথা উপজেলার চর বল্লবদী গ্রামের আতিয়ার মোল্লার মেয়ে রুবি বেগমের (২২) বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।

এর মধ্যে রুবি বেগম ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। ৭ মাসের আনুষ্ঠানিকতা (সাধ) করতে শ্বশুরবাড়ি যেতে নিষেধ করা নিয়ে স্ত্রী ও স্বামীর মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে রুবি বেগম গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।

পরে স্বামীর বাড়ির লোকজন রুবিকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত রুবি বেগমের পিতা আতিয়ার মোল্লা মোবাইল ফোনে জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে আমার মেয়ে রুবি বেগম ফোন করে আমাকে বলেছিল বাবা আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাও। পরে রাত ১১টার দিকে ওর শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন আসে আপনার মেয়ে খুব অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আছে। এ কথা শুনে আমি হাসপাতালে এসে দেখি আমার মেয়ে মারা গেছে। আমার মেয়েকে ওরা হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।

স্বামী নুর আলম শেখ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ৭ মাসের আনুষ্ঠানিকতা (সাধ) করতে শ্বশুরবাড়ি যেতে নিষেধ করায় আমার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে।

মুকসুদপুর থানার ওসি আবু বকর মিয়া জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।