• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

বিল জুড়ে সৌন্দর্যের আভা ছড়াচ্ছে রাশি রাশি পদ্ম

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২১  

বিল জুড়ে সৌন্দর্যের আভা ছড়াচ্ছে ফুটে থাকা রাশি রাশি পদ্ম। এসব ফুল শুধু বিল নয়, সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে প্রকৃতির। প্রস্ফুটিত এসব পদ্ম ফুলের সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিনই ছুটে আসেন হাজারো দর্শনার্থী।

পদ্ম ফুলের এমন দেখা মেলে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বলাকইড় বিলে। জেলা শহর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত এ বিল। ১৯৮৮ সালের পর থেকে বর্ষাকালে এ বিলের অধিকাংশ জমিতেই প্রাকৃতিকভাবে জন্মে পদ্ম ফুল।

জানা যায়, আষাঢ় থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত বলাকইড় বিলে পদ্ম ফুল থাকে। এসময় পুরো বিল গোলাপি রঙের পদ্ম ভরে ওঠে। যতদূর চোখ যায় শুধু পদ্ম ফুলের দেখা মিলে। এ যেন বিধাতার এক অপরূপ সৃষ্টি, যা দেখলে যে কারো মন জুড়িয়ে যায়।

পদ্ম ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পূর্বের আকাশে সূর্য উঁকি দেওয়ার পরপরই বিলে আসেন পর্যটকরা। স্থানীয়রাও ভ্রমণ পিপাসুদের সার্বিক সহযোগিতা করেন। এছাড়া বিলে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের নৌকায় ঘুরিয়ে অনেকেরই হয়েছে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। দৈনিক ৮০০-১০০০ টাকা আয় করছেন তারা।

গোপালগঞ্জ শহরের গৃহবধূ সম্পা সাহা বলেন, ফেসবুক ও ইউটিউবের মাধ্যমে জেনেছি গোপালগঞ্জে পদ্ম বিল রয়েছে। করোনার কারণে ঘর বন্দি থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে পদ্ম ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছি। দেখে মনে হয়নি এটা পদ্ম ফুলের বিল, মনে হয়েছে সৌন্দর্যের স্বর্গভূমি।

বাগেরহাট থেকে ঘুরতে আসা গৃহবধূ দীপা সাহা বলেন, গোপালগঞ্জে বড় বোনর বাড়িতে বেড়াতে এসেছি। তাই বায়না ধরেছিলাম পদ্ম ফুল দেখতে যাবো। এখনে এসে যা দেখলাম তা শোনার থেকেও অনেক বেশি। পদ্ম ফুলের সৌন্দর্যে পুরোই মুগ্ধ হয়ে গেছি।

দর্শনার্থী সাব্বির আহমেদ ও পিয়াস মোল্লা বলেন, আমরা বলাকইড় বিলে পরিবার নিয়ে পদ্ম ফুল দেখতে এসেছি। দেখে প্রচণ্ড ভালো লেগেছে। তবে এখানে আসার একমাত্র সড়কটির অবস্থা বেহাল। দর্শনার্থীদের আসতে কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে। দ্রুত সড়কটি মেরামতের দাবি জানাই।

পদ্ম বিল পাড়ের বাসিন্দা ইয়াছিন বেগম বলেন, বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ পদ্ম বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন। তাদের নৌকায় ঘুরিয়ে অর্ধশতাধিক পরিবার জীবিকা নির্বাহ করছেন। তবে এখানে আসার রাস্তাটি সরু ও খারাপ। তাই অনেকেই গাড়ি নিয়ে আসতে পারেন না। রাস্তাটি প্রশস্ত করা হলে এখানে অনেক দর্শনার্থী আসবেন। এতে বিল পাড়ের আরও অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় রয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থল। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা এখানে আসনে। পদ্ম বিলকে কেন্দ্র করে মৌসুমি পর্যটন এলাকা হিসাবে গড়ে তোলার জন্য মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পদ্ম বিলে যাওয়ার রাস্তাটি প্রশস্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সড়কটি মেরামত করা হলে দর্শনার্থীদের আর কোনও সমস্যা থাকবে না।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ