• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

না বলে বাড়ি যাওয়ায় মাদ্রাসাছাত্রকে পিটিয়ে আহত, শিক্ষক আটক

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২১  

গোপালগঞ্জে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাসায় যাওয়ার অপরাধে জোবায়ের শেখ (১৪) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রকে বেত দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছেন এক শিক্ষক। শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার গোবরা ইউনিয়নের গোবরা ইদারায়েত ইসলামিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গোবরা ইদারায়েত ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মঈনুল ইসলামকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই শিক্ষক বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার গ্রীসনগর গ্রামের মাহমুদ শেখের ছেলে। 

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আহত ওই শিক্ষার্থী গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চরমানিকদাহ গ্রামের মো. শহর আলী শেখের ছেলে। তাকে চিকিৎসার জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার পিঠ, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

ওসি মো. মনিরুল ইসলাম মামলার বরাত দিয়ে জানান, আহত ওই শিক্ষার্থী জোবায়ের শেখ গোবরা ইদারায়েত ইসলামিয়া মাদ্রাসায় পড়ে। শুক্রবার দুপুরে জোবায়ের মাদ্রাসার কাউকে কিছু না বলে বাড়িতে যায়। পরে সে আবার মাদ্রাসা ফিরে আসে।

সন্ধ্যায় গোবরা ইদারায়েত ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মঈনুল ইসলাম না বলে বাড়িতে যাওয়ার অপরাধে জোবায়েরকে বেত দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। পরে সে সেখান থেকে পালিয়ে বাড়িতে এসে পরিবারকে বিষয়টি জানায়। তার পিঠ, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা মো. শহর আলী শেখ গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই ওই মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে শিক্ষক মঈনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আহত শিক্ষার্থী জোবায়ের শেখ বলে, ‘শুক্রবার কাউকে না বলে আমি বাড়িতে যাই। পরে মাদ্রাসায় ফিরে আসি। এরপর সন্ধ্যায় ওই শিক্ষক আমাকে বেত দিয়ে মারধর করেন। পরে পালিয়ে এসে আমি বাবাকে বিষয়টি জানাই।’

শিক্ষার্থীর বাবা শহর আলী শেখ বলেন, ‘আমার ছেলে বাড়িতে এসে আমাদের সব কিছু জানায়। পরে আমি মাদ্রাসায় গিয়ে বিষয়টি শুনতে যাই। কিন্তু কোন সদুত্তর না পাওয়ায় আমি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। আমার ছেলেকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। যাতে আর কোন শিক্ষার্থীর ওপর এমন ঘটনা না ঘটে।’ 

তবে এ বিষয়ে গোবরা ইদারায়েত ইসলামিয়া মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ কোন বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ