• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

ত্রিমুখী আন্দোলনে স্থবির বশেমুরবিপ্রবি, জিম্মি শিক্ষার্থীরা

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৬ জুন ২০২২  

আপগ্রেডেশনসহ তিনদফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) অফিসার্স এ্যাসোসিয়েশন। গতকাল রবিবার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুহিন মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিরাজ সিকদার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয়। এরআগে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য দফতর, রেজিস্ট্রার দফতর একাউন্টস দফতরসহ উপাচার্যের বাস ভবনে তালা মেরে দেন কর্মকর্তারা। তাদের দাবিসমূহ হল- আপগ্রেডেশন মাধ্যমে কর্মকর্তাদের নিয়োগপত্র প্রদানপূর্বক যোগদানের ব্যবস্থা করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচলিত নিয়োগ নীতিমালায় অভ্যন্তরীন ও বিভাগীয় প্রার্থীদের যে কোনো দুইটি শর্ত শিথিল বলবৎ করতে হবে এবং কর্মকর্তাদের ডিউডেট সংশোধনী পূর্বক অতিদ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নয়নের যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণের নির্দেশিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্বার্থপরিপন্থী হওয়ায় হুবহু বিশ্ববিদ্যায়ের রিজেন্ট বোর্ডে অনুমোদনের লক্ষে এজেন্ডাভুক্ত না করাসহ বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দেয়। একই দিনে দুপুরে আপগ্রেডেশনসহ” উপাচার্যের আশ্বাস ভঙ্গতাকে কেন্দ্র করে কর্মচারি সমিতি কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে।

 অন্যদিকে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের ধারাবাহিক কর্মবিরতি এবং অনড় অবস্থানের কারনে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে।  বন্ধ হয়ে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। এতে বিভিন্ন বিভাগের চলমান  ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। থমকে গেছে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ, দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা ও শঙ্কা। 

 বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থার কারনে পরীক্ষা বন্ধে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল­াহ আল কাফি বলেন, ‘আন্দোলনের কারনে চলমান মাস্টার্স এর মিড টার্ম পরীক্ষা হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা সবাই কবে আন্দোলন শেষ হবে তা নিয়ে শঙ্কিত। এ মাসের শেষের দিকে আমাদের জুডিশিয়ারি পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সব মিলিয়ে আমরা অনেক অনিশ্চয়তা ও জিম্মি অবস্থার মধ্যে রয়েছি।  
বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরিস্থিতির বিষয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. একিউএম মাহবুব বলেন, আমি ঢাকায় আছি। এখানে বসে শুনছি বন্ধ করে দিয়েছে তারা। এর লেজিটিমেট কোন কারন নাই।  শিক্ষকদের কে অনুরোধ করেছি আমি সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবো তারপর এ বিষয়ে কথা বলবো। 

তিনি আরো বলেন, এখানে কেউ কথা শোনে না। কিছুদিন পর পর রিজেন্ট বোর্ড হবে এটাই নিয়ম। সেখানে যা ওঠবে তাই পাস হবে। এখন কর্মকর্তা রা বলে আমাদের টা দেন, কর্মচারিরা বলে ওদের টা দিলে আমাদের টাও দিতে হবে,শিক্ষকরা বলে আমাদের টা বাদ দিয়ে ওদের টা দিতে পারবেন না। তারা আমার কথা  শোনেনা, কর্মকর্তা রা কথা শোনেনা, কর্মচারিরা কথা শোনেনা। তারা এটা করতে পারেনা। তাদের দাবি অযৌক্তিক। রিজেন্ট বোর্ড না দিলে আমি কি করতে পারি। সবাই আবদার করলে আমি কেমনে পারবো।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ