• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

দেশের বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০১৯  

নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নের প্রতিবাদে তৃতীয় দিনের মত দেশের বিভিন্ন জেলার সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে শ্রমিকরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজার হাজার সাধারণ যাত্রী। তারা অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে নছিমন, করিমন ও ইজিবাইক যোগে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।
গত সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এই ধর্মঘট বুধবার তৃতীয় দিনের মত অব্যহত রয়েছে। পরিবহন শ্রমিক নেতাদের দাবি- আইন সংশোধনের পর এটি বাস্তবায়ন করা হোক। এটা না করা পর্যন্ত তাদের এ ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে। মঙ্গলবার সকাল থেকে সাতক্ষীরা, ঝালকাঠি, খুলনাসহ বিভিন্ন জেলায় কোনো বাস চলছে না।

এদিকে বুধবার সকাল থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় সব যান চলাচল বন্ধ রেখেছে পরিবহন শ্রমিকরা। সকাল থেকে চিটাগাং রোড এলাকায় কোন ধরনের বাস চলাচল করতে দিচ্ছে না শ্রমিকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছোট ছোট কিছু পরিবহন চললে সেগুলোকেও আটকে দিচ্ছে সেখানকার অবস্থানরত শ্রমিকরা।
নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড, সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল, কাঁচপুরসহ ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্নস্থানে অবস্থান নিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা। তারা সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন।

খুলনা : খুলনার অভ্যন্তরীণ রুটে বুধবার সকাল থেকে বাস চলাচলের কথা থাকলেও তা করেনি মালিক-চালকরা। যে কারণে বুধবারও তৃতীয় দিনের মতো চালকরা বাস বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করছেন।
এদিকে, সকালে বাস ছাড়বে এমন খবরে সোনাডাঙ্গা কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনাল, রয়্যাল ও শিববাড়ির মোড়ে যাত্রীরা দূর-দূরান্তে যাত্রার উদ্দেশ্যে আসলেও বাস না ছাড়ায় আশা ভঙ্গ হয়। ফলে তারা চরম দুর্ভোগে পড়েন। নগরীর অধিকাংশ বাস কাউন্ডার বন্ধ রয়েছে।
পরিবহণ ধর্মঘটের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপরে পরিবহণ মালিক-শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ রুটে বুধবার সকাল থেকে বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়। খুলনা সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুই পক্ষের আলোচনা শেষে মধ্যস্থতার প্রেক্ষিতে পরিবহণ মালিক-শ্রমিক নেতারা চলমান পরিবহণ ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন। কিন্তু তা হয়নি।

সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা থেকে খুলনা, যশোর, শ্যামনগর, আশাশুনিসহ সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় হাজার হাজার যাত্রী দুর্ভোগে পড়েছেন।
সাতক্ষীরা জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ জানান, নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নের প্রতিবাদে শ্রমিকরা বাস চালানো বন্ধ করে দিয়েছে। তারা চান, আগে এটি সংশোধন করা হোক। এরপর এটি বাস্তবায়ন করা হোক।

ঝালকাঠি : নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নের প্রতিবাদে ঝালকাঠির আট রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পরিবহন শ্রমিকরা।
বুধবার সকালে বাসস্টান্ডে গিয়ে দেখা গেছে ঝালকাঠি-বরিশাল, ঝালকাঠি-ঢাকাসহ অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার আট রুটে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঝালকাঠি থেকে বরিশাল, বরিশাল থেকে ঝালকাঠি হয়ে খুলনা, বরিশাল থেকে ঝালকাঠি হয়ে পিরোজপুর, বরিশাল থেকে ঝালকাঠি হয়ে ভান্ডারিয়া, বরিশাল থেকে ঝালকাঠি হয়ে মঠবাড়িয়া, বরিশাল থেকে ঝালকাঠি হয়ে পাথরঘাটা, ঝালকাঠি-আমুয়া, ও ঝালকাঠি-ঢাকার বাস  চলাচল বন্ধ রয়েছে।
দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। তারা বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে বিকল্প পরিবহনে যাত্রা করছেন।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ