• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

নিঃসঙ্গ সেতু, ২২ বছরেও দেখা নেই সড়কের

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০১৯  

সেতুটি নিঃসঙ্গ। ২২ বছর ধরে বিরান পাথারে একা দাঁড়িয়ে আছে। সড়কের সঙ্গে সংযোগ নেই তার।

সেতুটির অবস্থান মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার  ভূকশিমইল ইউনিয়নে। এ ইউনিয়নের বড়দল ও কাড়েরা গ্রাম এবং পার্শ্ববর্তী কাদিপুর ইউনিয়নের ছকাপনসহ কয়েকটি গ্রামের লোকজন শ্রীকন্টি বিল থেকে হাকালুকি হাওরে যাতায়াত করেন ওই পথে। স্থানীয় রাখাল ও জেলেদেরও ওই পথেই যাতায়াত করতে হয়।

স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্মিত হয় ওই সেতু। কিন্তু সেতু নির্মাণের পর সংযোগ সড়ক না থাকায় ২২ বছর ধরে পড়ে আছে সেটি। সেতুটির দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করলে পাঁচ-ছয়টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের সমস্যা লাঘব হতো।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ১৯৯৭ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) প্রকল্পের আওতায় ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০ মিটার দীর্ঘ এ সেতু এবং এক কিলোমিটার মাটির রাস্তা তৈরি করা হয়। বন্যায় রাস্তাটি নষ্ট হয়ে যায়। পরে রাস্তাটি আর সংস্কার করা হয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের এই রাস্তাটি হাওরে যাওয়ার একমাত্র পথ। আর হাওর আমাদের জীবন-জীবিকার অন্যতম মাধ্যম। তাই বাধ্য হয়ে ওই পথ ব্যবহার করতে হয়। সেতুর সঙ্গে সড়ক না থাকায় বছর জুড়ে কষ্ট পেতে হয়। সেতুর সাথে সংযোগ সড়ক না থাকায় আমরা কৃষিপণ্য, মাছ ও গৃহপালিত পশু নিয়ে অনেক কষ্টে খাল পার হচ্ছি।

ভূকশিমইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির বলেন, ব্রিজ যেহেতু আছে, এখানে রাস্তা করা খুবই জরুরি। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। দ্রুত যেন সংযোগ সড়ক নির্মাণ হয়, সে প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।

এ বিষয়ে কুলাউড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শিমুল আলী বলেন, বিষয়টি জেনেছি। টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের আওতায় এই রাস্তাটি মেরামত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ