• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

নদীতে বিলীন চার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১  

করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ১২ সেপ্টেম্বর থেকে খুলছে দেশের সব স্কুল-কলেজ। তবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই অস্তিত্ব হারিয়েছে। বগুড়ার সারিয়াকান্দির চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করোনাকালে বন্ধ থাকা অবস্থায় নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়া বন্যায় ২৮টি সরকারি প্রাথমিক ও দুটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। যে কারণে এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অভিভাবক ও সংশ্লিষ্টরা।

তবে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা আশা করছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে বন্যার পানি নেমে যাবে। অন্যথায় পরিচালনা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে পাশের উঁচু জমি বা ভবনে ক্লাস নেওয়া শুরু হবে। ক্লাস নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও ম্যানেজিং কমিটির সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানান তারা। 

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানা যায়, জেলায় তালিকাভুক্ত মোট ৮৬২টি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে উচ্চ বিদ্যালয় ৪৩৯টি, কলেজ ৮২টি, স্কুল অ্যান্ড কলেজ ২৮টি এবং মাদ্রাসা ৩১৩টি। এর বাইরেও বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। 

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেছে পানিকরোনা পরিস্থিতিতে গত দেড় বছর জেলার কোথাও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিলুপ্ত হয়নি। তবে সম্প্রতি বন্যায় সারিয়াকান্দি উপজেলার বেশকিছু প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করে। তবে বৃষ্টি ও উজানের ঢল না থাকায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে স্কুলগুলো বন্যামুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

বগুড়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হযরত আলী ও সারিয়াকান্দি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম শহিদুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি বন্যায় সারিয়াকান্দি উপজেলায় দুটি প্রতিষ্ঠানে পানি উঠে। সরকার ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নির্দেশনাকে সামনে রেখে বিদ্যালয়গুলো পরিষ্কার করার কাজ চলছে।  

সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (এডিপিইও) জাবেদ আকতার ও সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম কবির জানান, জেলার ১২ উপজেলায় মোট এক হাজার ৩৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। গত দেড় বছরে সারিয়াকান্দিতে বন্যা ও ভাঙনে চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীতে বিলীন হয়েছে। বিলুপ্ত মানিকদাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাছিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আউচারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ভাঙ্গুরগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা হয়। এর আগেও ভাঙ্গুরগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীতে বিলীন হয়। এবার নতুন ভবনটিও বিলুপ্ত হয়েছে। 

শিক্ষা কর্মকর্তারা জানান, এবারের বন্যায় সারিয়াকান্দি উপজেলায় ২৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। বন্যার পানি নামতে শুরু করায় আশা করা হচ্ছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি স্বভাবিক হবে। আর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হবে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ