• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মায় আবারও ভাঙ্গন শুরু

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১  

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মার বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের বিস্তীর্ণ অংশে আবারও ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। পদ্মা নদীর পানি কমার সাথে সাথে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের গোয়ালডুবি গ্রামের ভাঙ্গণ দেখা দিয়েছে। গত সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) নদীর তীব্র সোতের কারণে ওই গ্রামের নির্মাণাধীন একটি ওয়াক্তিয়া মসজিদ, বাঁশবাগান, আমবাগানসহ প্রায় ৬০টি কাঁচা-পাকা বাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। এছাড়া প্রায় একশ বিঘা জমি নদী ভাঙ্গণে বিলিন হয়ে গেছে। 

জানা গেছে, গত ১০ আগস্ট পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে সদর উপজেলার চারবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের গোয়ালডুবি এবং দেবিনগর ইউনিয়নে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়। সে সময় প্রায় ৬’শ মিটার এলাকার বহু ঘরবাড়িসহ ফসলি জমি নদীগর্ভে তলিয়ে যায়। তবে পানি বাড়তে থাকায় ভাঙ্গন থেমে যায়। কিন্তু বর্তমানে পানি কমার সাথে সাথে গত ৩ দিন থেকে নদী ভাঙ্গন আবার শুরু হয়েছে। এনিয়ে সর্বমোট ১৩মিটার এলাকার ঘরবাড়িসহ ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। অনেকেই আতংকে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা থেকে বাড়িঘর সরিয়ে নিয়ে অন্যের জমিতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তারা এখন পর্যন্ত সরকারি কোন সহায়তা পায়নি বলে জানিয়েছেন। 

এদিকে ভাঙন কবলিত ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, পাউবোর কর্মকর্তারা জরুরি কাজগুলো করাতে সময়ক্ষেপণ করায় নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করছে এবং গত সোমবার গোয়ালডুবি এলাকায় ভাঙ্গন শুরু হলে স্থানীয় পাউবো বালুর স্থলে মাটি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধে চেষ্টা করায় তা ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানে পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনে বাখের আলী ও চরবাগডাঙ্গা বিজিবি বিওপি, চারটি সরকারি প্রাথমিক স্কুল, বাগডাঙ্গা ইউপি কমপ্লেক্স, বেড়িবাঁধ পাকা সড়ক, তিন শতাধিক আমবাগান, ১১টি গ্রাম, তিনটি বাজার এবং পাকা সড়কের পশ্চিমে সাড়ে চার হাজার বসতভিটা ভাঙনের কয়েকশ মিটারের মধ্যে চলে এসেছে। ফলে নদীর নিকটবর্তী তিনটি গ্রামের মানুষজন দিনভর বাড়িঘর সরাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে এখন ভাঙ্গন স্থিতিশীল রয়েছে। 

এ ব্যাপারে স্থানীয় পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সারোয়ার জাহান বলেন, গত সোমবার থেকে হঠাৎ করেই চরবাগডাঙ্গা গোয়ালডুবি এলাকায় নতুন করে পদ্মা নদীর ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে এবং উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তাদের নির্দেশনায় ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

তিনি বলেন, গত ৩ দিনে ওই স্থানের প্রায় ২’শ মিটার এলাকা নদীতে তালিয়ে গেছে। এছাড়া বিক্ষিপ্ত ভাঙ্গনে বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৬’শ মিটার নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এছাড়া চলতি ভাঙ্গনে সর্বমোট ১৩’শ মিটার এলাকা নদীগর্ভে চলে গেছে। 

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ