• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

বিশ্বের শাসকদের মহানবী মুহাম্মদ (সা.)`র চিঠি, ভেতরে যা ছিল

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১  

আরব উপদ্বীপের বাইরে পৃথিবীর অন্যান্য রাষ্ট্রের শাসকদের কাছে ইসলামের দাওয়াত পাঠিয়েছিলেন সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)।

ষষ্ঠ হিজরিতে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে মিশরের শাসক আল-মুকাউকিসের কাছে চিঠি পাঠান মুহাম্মদ (সা.)। ওই চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, যদি তিনি মুসলমান হন, তাহলে আল্লাহ তার পুরস্কার দ্বিগুণ করে দেবেন।

এছাড়াও ইথিওপিয়ায় সম্রাট আশামা ইবনে আবজার, বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সম্রাট হেরাক্লিয়াস, পারস্যের রাজা চসরো, বাহরাইনের শাসক মুনজির ইবনে সাওয়া, ইয়েমেনের রাজপুত্র হিমায়রিত হরিত ও হরিত গাসানিকে দূতের মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়েছিলেন হজরত মুহাম্মদ (সা.)। এছাড়া শামের গভর্নরকেও তিনি চিঠি পাঠিয়েছিলেন।

ঐতিহাসিকরা বলছেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর চিঠি ছিঁড়ে ফেলেছিলেন পারস্যের রাজা চসরো। ওই ঘটনার অল্প সময়ের মধ্যে তিনি মারা যান। এরপর সেই সাম্রাজ্য দুর্বল হয়ে পড়ে।

ছেঁড়া চিঠির একটি অংশ তুরস্কের ইস্তাম্বুল মিউজিয়ামে রাখা আছে। আর মূল চিঠি আছে সৌদি আরবের মদিনা মিউজিয়ামে। এছাড়া রোমের সম্রাট হিরাক্লিয়াসের কাছে মহানবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) ইসলামের দাওয়াত দিয়ে যে চিঠিটি পাঠিয়েছিলেন, তা এখন জর্ডানের কিং হুসাইন মসজিদে সংরক্ষিত রয়েছে।

আল-আরাবিয়া ডটনেটের খবরে বলা হয়, মিশরের শাসককে পাঠানো চিঠিতে একটি সুরার উদ্ধৃতিও দিয়েছিলেন হজরত মুহাম্মদ (সা.)। আর তা হলো- ‘হে আহলে কিতাব, তোমরা এমন কথার দিকে আসো, যেটি আমাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে সমান যে, আমরা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কারও ইবাদাত না করি। আর তার সঙ্গে কোনো কিছুকে শরিক না করি এবং আমাদের কেউ কাউকে আল্লাহ ছাড়া রব হিসেবে গ্রহণ না করি।’

তারপর যদি তারা বিমুখ হয় তবে বল, ‘তোমরা সাক্ষী থাকো যে, নিশ্চয় আমরা মুসলিম’। (সুরা আল-ইমরান, আয়াত: ৬৪)

রাজা ও রাজকুমারদের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে হজরত মুহাম্মদ (সা.) মূলত ইসলামের দাওয়াত দিয়েছিলেন।

চিঠিগুলোর সবই এই বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ করা হয়েছিল যে, ‘যদি আপনি মুখ ফিরিয়ে নেন, তবে আপনি আপনার অনুসারীদের পাপের বোঝা বহন করবেন। ’

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ