মহানবী (সা.)-এর বিজয় উদযাপন
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০২১
মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। তারা যত দূরেই যাক, মাতৃভূমির প্রতি এক অদৃশ্য টান তাদের মধ্যে থেকেই যায়। এই ভালোবাসা মহান আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন। আমাদের প্রিয়নবী (সা.)-ও তাঁর মাতৃভূমিকে ভীষণ ভালোবাসতেন। আবদুল্লাহ ইবনে আদি ইবনে হামরাহ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে আমি মক্কার একটি ক্ষুদ্র টিলার ওপর দণ্ডায়মানরত দেখলাম। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কসম! তুমি নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলার সকল ভূমির মধ্যে সর্বোত্তম এবং আল্লাহ তাআলার কাছে তুমিই সবচেয়ে প্রিয়ভূমি। আমাকে যদি তোমার বুক থেকে (জোরপূর্বক) বিতাড়িত না করা হতো, তবে আমি কখনো (তোমায় ছেড়ে) চলে যেতাম না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৯২৫)
মাতৃভূমির প্রতি অগাধ ভালোবাসা থাকা সত্ত্বেও মহানবী (সা.)-সহ তাঁর সাহাবিদের তাঁদেরই মাতৃভূমির লোকদের দ্বারা জুলুমের শিকার হয়ে নিজ এলাকা ত্যাগ করতে হয়েছিল। কিন্তু মাতৃভূমি থেকে দূরে গেলেও তার প্রতি তাঁদের ভালোবাসা মোটেও কমেনি; বরং দূর থেকে তাঁরা তাঁদের মাতৃভূমিকে স্মরণ করতেন।
রাসুল (সা.) বলেন, হে আল্লাহ, আপনি শায়বা ইবনে রাবিআ, উতবা ইবনে রাবিআ ও উমায়্যাহ ইবনে খালফের প্রতি অভিসম্পাত করুন; যেভাবে তাঁরা আমাদের মাতৃভূমি থেকে বের করে মহামারির দেশে ঠেলে দিয়েছে। (বুখারি, হাদিস : ১৮৮৯)
একজন নবী যিনি ছিলেন রহমাতুল্লিল আলামিন, তিনি তাঁর মাতৃভূমিকে কতটা ভালোবাসলে মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত করা পোড়াকপালী শত্রুদের অভিসম্পাত করতে বাধ্য হন। একসময় মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় নবীর আকুতি কবুল করেন, তাঁকে স্বীয় মাতৃভূমির বিজয় দান করেন।
সেদিন মক্কার অধিবাসীরা ভয়ে একেবারে মুহ্যমান হয়ে পড়েছিল। ইসলামের মূলোৎপাটনে যারা নেতৃত্বভার গ্রহণ করেছিল, অশ্লীল ভাষায় মহানবী (সা.)-কে অজস্র গালাগাল করত, বিষাক্ত বর্শা হাতে তাঁকে হত্যা করতে ওত পেতে থাকত, তাঁর দেহ মুবারক থেকে রক্ত ঝরাত, নামাজে নাড়িভুঁড়ি চাপা দিত, মাতৃভূমি ত্যাগ করতে যারা বাধ্য করেছিল, আজ তারা কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থায় দলে দলে কাবা প্রাঙ্গণে সমবেত হলো। আজ তাদের সেই দর্প, গর্ব ও আস্ফাালন নেই। ১০ হাজার মুসলিম বাহিনী দ্বারা বেষ্টিত হয়ে আজ তারা শিয়ালের মতো লেজ গুটিয়ে দুরুদুরু বুকে চেয়ে আছে দয়ার সাগর মহানবী (সা.)-এর ফায়সালার দিকে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) মক্কানগরে প্রবেশের দুটি পথ দিয়েই সৈন্য প্রবেশ করানোর সিদ্ধান্ত নেন। খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রা.)-এর নেতৃত্বে একটি বাহিনীকে মক্কার নিচু পথে নগরে প্রবেশের নির্দেশ দেন। অবশিষ্ট বাহিনী নিয়ে স্বয়ং রাসুল (সা.) মক্কার উঁচু পথ ধরে নগরে প্রবেশ করেন। বিনা বাধায় রক্তপাতবিহীন তিনি হাজুন নামক স্থানে পৌঁছে বিজয় পতাকা উড্ডয়ন করানোর নির্দেশ দেন।
তিনি সরাসরি চলে যান কাবাগৃহে। একপর্যায়ে মহানবী (সা.) কাবাঘর থেকে বের হয়ে এলেন। তিনি দরজার উভয় পাশের কপাটে হাত রেখে এক নাতিদীর্ঘ হৃদয়গ্রাহী ভাষণ দেন। তিনি বলেন, ‘তোমাদের প্রতি আজ কোনো অভিযোগ নেই। যাও! তোমরা সবাই মুক্ত।’ শুধু তা-ই নয়, কাফির নেতা আবু সুফিয়ানের গৃহে যে ব্যক্তি আশ্রয় নেবে, তাকেও তিনি ক্ষমা করেন। তিনি ঘোষণা করেন, ‘যে ব্যক্তি আবু সুফিয়ানের বাড়িতে আশ্রয় নেবে, সে নিরাপদ থাকবে।’ (আর-রাহিকুল মাখতুম, পৃষ্ঠা ৪০৫, ৪০১)
বিজয় লাভ করে মহানবী (সা.) নিজ মাতৃভূমিতে প্রবেশ করছিলেন, তখন তিনি পবিত্র কোরআনের একটি বিশেষ সুরা তিলাওয়াত করতে করতে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। আবদুল্লাহ ইবনে মুগাফফাল (রা.) থেকে বর্ণিত, মক্কা বিজয়ের দিন আমি রাসুল (সা.)-কে (উটের পিঠে) আরোহণ অবস্থায় ‘সুরা আল ফাতহ’ তিলাওয়াত করতে দেখেছি।’ (বুখারি, হাদিস : ৫০৩৪)
মক্কায় পৌঁছার পর তিনি কাবাগৃহে প্রবেশ করে মহান আল্লাহর দরবারে সিজদায় লুটিয়ে পড়েন। তিনি দীর্ঘক্ষণ সেখানে অবস্থান করেন, নামাজ পড়ে মহান আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন। (বুখারি, হাদিস : ২৯৮৮)
এভাবেই প্রিয় নবী (সা.) মহান আল্লাহর শুকরিয়া ও তাঁর প্রশংসার মাধ্যমে বিজয়ের আনন্দ উদযাপন করেছিলেন। মহান আল্লাহ সবাইকে মহানবী (সা.)-এর আদর্শ আঁকড়ে ধরার তাওফিক দান করুন।
- বাগেরহাটে পর্নোগ্রাফি মামলায় কনস্টেবল কারাগারে
- গোপালগঞ্জে বোমা বিস্ফোরণ, বাবা-ছেলে আহত
- মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- রিক্সা-ভ্যান চালকদের পানি ও স্যালাইন বিতরন করলেন পুলিশ সুপার
- গোপালগঞ্জে বাউবির প্রশিক্ষন কর্মশালা
- আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত: প্রণয় ভার্মা
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে : ভূমিমন্ত্রী
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাসলাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- চলছে কয়লা খালাস, জাহাজেই ফিরবেন এমভি আবদুল্লাহর সব নাবিক
- দুই মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়
সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের আমিরের - কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলো আরও এক দেশ
- ওবায়দুল কাদেরের হুঁশিয়ারি
- থাইল্যান্ডে শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- গ্যাস খাতে বড় সংস্কার করবে পেট্রোবাংলা
- বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে চায় কিরগিজস্তান
- চলবে ১২০ দিন
নোয়াখালীর নতুন গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু - যমুনায় বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ৪.৮ কিমি এখন দৃশ্যমান
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- ঢাকায় কাতারের আমির
অগ্রাধিকার পাচ্ছে বাণিজ্য বিনিয়োগ ও ভূরাজনীতি - বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন
- প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে সই হবে ৫ চুক্তি ও সমঝোতা
- পদ্মশ্রী পদক গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
- বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পরিচালকের শ্রদ্ধা
- এশার নামাজ না পড়ে তারাবি পড়া যাবে?
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হটকারি সিদ্ধান্ত: হাছান মাহমুদ
- গোপালগঞ্জে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করলেন এসপ
- দুর্নীতি করব না, প্রশ্রয়ও দেব না: দীন মোহাম্মদ
- ইতিকাফের জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে
- প্রতিবেশী দেশগুলোর অস্থিরতার প্রভাব বাংলাদেশে
- নূহ (আ.) এর নৌকা পাওয়া গেলো আরারাত পর্বতে!
- শেখ হাসিনা-জো বাইডেনের একান্তবৈঠকের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগের
- মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- আজ ১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস
- আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর
- কত দিতে হলো মুক্তিপণ?
- মুকসুদপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা, প্রাণ গেল দুই বাইকারের
- মুকসুদপুরে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার
- ঢাকায় মিলছে উটের দুধের চা
- কলকাতায় হিরো আলমকে সংবর্ধনা
- গোপালগঞ্জে ভাসুরের বিরুদ্ধে গৃহবধূর উপর এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ
- এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ
- সেনেগালের বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশি হাফেজ আবু রায়হানের ‘বিশ্বজয়’
- কাশিয়ানীতে মধুমতি বাঁওড়ে ডু’বে স্কুল ছাত্রের মৃ’ত্যু