• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

অচল বশেমুরবিপ্রবি, আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে শিক্ষার্থীরা

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

বিভাগের অনুমোদনের দাবিতে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি  বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ১১তম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আজ রবিবার সকাল ৮টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে দিনের আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

এদিকে ইতিহাস বিভাগের অনুমোদনের দাবিতে আন্দোলনের কারণে গত ছয় দিন ধরে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অচল অবস্থা বিরাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিপাকে পড়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

অচল অবস্থা সর্ম্পকে অর্থনীতি চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান জানান, প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অনেকেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে পারছেন না। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ। ইতিহাস বিভাগের আন্দোলনের কারণে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় সেশন জটের আশঙ্কায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। যদি এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমর্থন হারাবে ইতিহাস বিভাগ।

এই সমস্যার জন্য কে দায়ী এমন প্রশ্নে তিনি আরো বলেন, ইউজিসিই এই সমস্যার জন্য দায়ী। তারা সবকিছু জানার পরও এতদিন চুপ ছিলো।

অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অচল অবস্থা নিরসন ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আজ দুপুর ১টায় ইতিহাস বিভাগের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আন্দোলন শিথিল করে প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনের তালা খুলে দেওয়ার প্রস্তাব দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে শিক্ষার্থীরা এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।

এ প্রসঙ্গে ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কারমুল বলেন, সীমিত সময়ের জন্য প্রশাসনের প্রতিনিধি দল প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন। এজন্য আগামী দুই দিন প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দেওয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, ইউজিসি যতদিন পর্যন্ত আমাদের বিভাগের স্বীকৃতি না দিবে ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে আমরা আরো কঠোর আন্দোলনে যাব।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন প্রাপ্তির জন্য আন্তরিক। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ইউজিসির এক সাধারণ সভায় বিভাগ অনুমোদনের ব্যাপার উত্থাপন করা হবে। প্রশাসনিক কার্যক্রম সচল করার জন্য তালা খুলে দেওয়ার আহ্বান জানাই কিন্তু আন্দোলরত শিক্ষার্থীরা প্রতাখ্যান করে।

উল্লেখ্য ,সাবেক উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিন ইউজিসির অনুমোদন ব্যতিত ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেন। তবে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে ইতিহাস বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ও ইতিহাস বিভাগের স্থায়ী অনুমোদনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে বিভাগটির শিক্ষার্থীর।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ