• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

আবাদি জমি পতিত রাখা যাবে না, উদ্যোগ নিচ্ছে মন্ত্রণালয়

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৩ জুন ২০২০  

করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে আবাদি জমি পতিত রাখা যাবে না। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস বাংলাদেশেও নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষিখাতকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও পরিস্থিতির উন্নতি নেই। প্রতিদিনই অবস্থার অবনতি হচ্ছে। যদিও দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার পরও সরকার সম্প্রতি তা অনেকটা শিথিল করে দিয়েছে।

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতিতেও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য প্রধানমন্ত্রী এক ইঞ্চি জমিও পতিত না রাখার কথা বলেছেন। এ বিষয়ে কী উদ্যোগ আছে জানতে চাইলে ভূমি সচিব মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, কেউ যদি দীর্ঘদিন কোন জমি চাষাবাদ না করে পতিত রাখেন তবে ১৯৫০ সালের রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনে এ বিষয়ে ধারা আছে। আইন অনুযায়ী দীর্ঘ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সেই জমি সরকার খাস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। জেলা প্রশাসক সেটা করেন। তবে আমরা এখন সেদিকে যাচ্ছি না।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী একটা কথা বলেছেন, এখন এক ইঞ্চি জমিও পরিত্যক্ত থাকবে না। সে জন্য আমরা সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে চাচ্ছি কেউ যাতে তাদের জমি পরিত্যক্ত না রাখেন। কেউ যদি তার নিজের জমি চাষ না করেন তবে তিনি অন্যকে বর্গা দিক বা অন্য কোন উপায় অবলম্বন করুক যাতে জমিতে চাষাবাদ হয়।

ভূমি সচিব বলেন, আমাদের মহামূল্যবান কৃষি জমি এভাবে পড়ে থাকুক, এটা আমরা চাই না। জাতির খাদ্য নিরাপত্তার জন্যই পতিত জমি চাষ করা প্রয়োজন। সেই বিষয়ে আমরা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে চাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, আমার জমি আছে, আমি তো ঢাকায় চাকরি করি, তাই বলে তো আমার জমি পড়ে নেই, সেখানে চাষাবাদ হচ্ছে।

মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, আমাদের কথা হচ্ছে যে পদ্ধতি তারজন্য বাস্তবসম্মত হয় সেভাবেই সে তার জমি চাষাবাদ করুক। দীর্ঘদিন চাষাবাদ না করলে জমি খাস করে নেয়া একটা দীর্ঘ আইনগত জটিল পদ্ধতি। আমরা ওইভাবে কাউকে বাধ্য করতে চাই না। আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বড় বড় জমির মালিক তাদের বলব। অনেক জমির মালিক আছেন যারা বিদেশে থাকেন, তারা যাতে জমিগুলো চাষাবাদের ব্যবস্থা করেন।

দীর্ঘদিন জমি পতিত রাখলে তা খাস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার যে আইন আছে, সেটি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা হবে কিনা- এ বিষয়ে সচিব বলেন, এ বিষয়টি আমরা এখনও সেভাবে ভাবিনি। আইনে যেহেতু আছে সেটা তো বাস্তবায়ন করতেই পারি। সেটা দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া, তবে আইনই শেষ কথা না। তিনি বলেন, পতিত জমি চাষাবাদ করলে যার জমি তার লাভ, আলটিমেটলি দেশের লাভ।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ