• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

ইতিকাফের শেষ সময় ও করণীয় সম্পর্কে জেনে নিন

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২০  

ইতিকাফ একটি মহৎ ইবাদত। এ ইবাদত প্রত্যেক মুসলমানের জন্য স্বেচ্ছায় পালনীয়। পবিত্র রমজান মাসের শেষ ১০ দিন মসজিদে ইতিকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্বাদা কিফায়া।

ইতিকাফ আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো অবস্থান করা, স্থির থাকা বা আবদ্ধ হয়ে থাকা। শরীয়তের পরিভাষায় রমজানের শেষ ১০ দিন অথবা অন্য কোনো দিন জাগতিক কাজকর্ম ও পরিবার-পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ইবাদতের নিয়তে মসজিদে বা ঘরে নামাজের স্থানে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলা হয়।

ইতিকাফের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো, দুনিয়ার সব রকম ঝামেলা থেকে নিজেকে মুক্ত করে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের নিমিত্তে একমাত্র তাঁরই ইবাদতে মশগুল থাকা। ইতিকাফকারী পুরুষ ও নারী বহু ধরনের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে পারে এবং লাইলাতুল কদর লাভের আশা করতে পারে।

ইতিকাফের প্রকার:

ইতিকাফ তিন প্রকার। ১. সুন্নত: শেষ দশকের ইতিকাফ। ২. নফল: যেকোনো সময় সেই ইতিকাফ করা যায়। ওয়াজিব: মানতের ইতিকাফ। (আহসানুল ফাতাওয়া ৪/৪৯৮, বাহরুর রায়েক ২/৪২১, বাদায়েউস সানায়ে ২/১০৯)।

যে ব্যক্তি সুন্নাত ইতিকাফ শুরু করে ভেঙে ফেলেছে, সে রমজানের পর রোজাসহ এক দিন ও এক রাত ইতিকাফ করবে। (রদ্দুল মুহতার: ২/৪৪৫)।

ইতিকাফের শেষ সময়:

ইতিকাফের শেষ সময় হলো ঈদের চাঁদ ওঠার দিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত। তাই ২৯ রমজান বা ৩০ রমজান সূর্যাস্তের আগে যদি চাঁদ দেখা যায়, তবুও সূর্য ডুবে যাওয়ার আগে মসজিদ থেকে বের হওয়া যাবে না। সূর্য ডুবে যাওয়ার পর মসজিদ থেকে বের হতে পারবে। (ফাতাওয়া শামি: ২/১৩৭)।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ