• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

এই ডায়েটে দুই মাসেই কমবে পাঁচ কেজি ওজন

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০২০  

ওজন কমাতে ডায়েট ও শরীরচর্চার বিকল্প নেই। এই দু’টো কাজ একসঙ্গে করলে ওজন দ্রুত কমে থাকে। তবে কম খেয়ে ডায়েটিং করার একটি সমস্যা হলো কম খাওয়ার ফলে ক্ষুধা পাবে সর্বক্ষণ। 

ক্ষুধা চেপে রাখলে এক দিকে যেমন মন খাই খাই করবে, তাতে অনেক সময় উল্টোপাল্টা খেয়েও নেবেন। খিদে পেটে ঘুম আসবে না, মেজাজ খিটখিট করবে, ক্লান্ত লাগবে, অপুষ্টি হবে। 

সব মিলে ওজন যদিও বা দু-এক কেজি কমেও, চেহারায় পড়বে ক্লান্তির ছাপ। ফিটনেসে ঘাটতি হবে। অপুষ্টি ও অনিদ্রার ফলে কমতে পারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। আসুন জেনে নেই কোন ডায়েট ফলো করলে এ ধরনের সমস্যা দেখা দেবে না।

> ডিম খেতে ভাল লাগলে খাওয়া বন্ধ করার দরকার নেই। শুধু কুসুমটা বাদ দিয়ে দিন। আগে হয়তো একটা গোটা ডিম খেতেন, এখন ৩-৪টে ডিমের সাদা অংশও খেতে পারেন সেদ্ধ করে।

> রেডমিট পছন্দ হলে ভালো করে চর্বি কাটছাট করে নিয়ে কম তেলে রান্না করুন। সেদ্ধ করা পানি ফেলে দিলে চর্বি আরো কিছুটা কমবে। এভাবে রান্না করা মাংস সপ্তাহে এক দিন দু’টুকরো খেলে ক্ষতি নেই।
 
> ফল ছাড়া কোনো মিষ্টি খাবার খাবেন না। ফলও খুব বেশি খাওয়ার দরকার নেই। দিনে একটা বা দুটো গোটা ফল খেতে পারেন। তার মধ্যেও যেটা কম মিষ্টি সেটা বেছে নিন।

> কোনো মিষ্টি পানীয় খাবেন না। ফলের রসও নয়। এসব খেলে পেট তো ভরেই না বরং একসঙ্গে অনেকটা ক্যালোরি ও চিনি শরীরে এসে বাড়িয়ে দেয় ভুঁড়ির আশঙ্কা।

> ভাত পছন্দ হলে কষ্ট করে রুটি খাওয়ার দরকার নেই। বরং একমুঠো করে ভাত কমিয়ে সে জায়গায় কম ক্যালোরির সবজি সেদ্ধ খান। যেমন- পটল, ভেন্ডি, উচ্ছে, বেগুন ইত্যাদি। কম তেলে রান্না করা এক হাতা শাক বা পাঁচমিশালি সব্জিও খেতে পারেন।

> ভাত-রুটির পরিমাণ কমিয়ে, দরকার হলে আগের অর্ধেক করে শাক-সবজি খাওয়া দ্বিগুণ করে দিন। এক ধাক্কায় নয়, ধাপে ধাপে করবেন। না হলে পেটের গোলমাল হতে পারে। হতে পারে অতৃপ্তিও। সাদা ভাতের বদলে ব্রাউন রাইস খেতে পারলে বেশি ফাইবার পাবেন, তবে তার স্বাদ ভাল না লাগলে সাদা ভাতই খান। সঙ্গে নানা রকম সবজি।

> মাছ, মাংস, ডিম আগের চেয়ে একটু কম খেয়ে সে জায়গায় খান ফাইবারসমৃদ্ধ উদ্ভিজ্জ প্রোটিন। যেমন- বিন, সয়াবিন, রাজমা, ছোলা, মটর, ডাল। উপকার যেমন হবে, পেটও ভরা থাকবে বেশিক্ষণ। 

> ময়দাজাত খাবার একেবারে বাদ দিন। এক আধবার পরোটা খেতে ইচ্ছে হলে হয় ময়দার মধ্যে সবজির পুর মেশান নয়তো আটা দিয়ে বানাতে হবে। 

> তেল-ঘি-মাখনের উপকার থাকলেও এ সময় যত কম খাওয়া যায় তত ভালো। তবে একেবারে বাদ দিয়ে দেয়ার দরকার নেই। ভিটামিন ডি ও ই-এর শোষণ বাড়াতে একটু তেল-ঘি এর প্রয়োজন আছে। 

> এর পাশাপাশি সব রকম বাদাম, বীজ, অ্যাভোক্যাডো, অলিভ অয়েল, তৈলাক্ত মাছ অল্প করে খান। এতে ক্যালোরি কিছুটা বাড়লেও উপকার পাবেন প্রচুর। পেট বেশিক্ষণ ভরা থাকবে। 

> বাজারের লো-ফ্যাট খাবার একেবারে খাবেন না। তাতে ফ্যাট কম থাকলেও চিনি থাকে প্রচুর। তাতে অপকারের পাল্লাই ভারি হয়। ওজন কমারও সুরাহা হয় না। ফাস্ট ফুড ও প্রসেস করা খাবার খাবেন না। কারণ তাতে তেল-ঘি-লবণ-মিষ্টি সবই বেশি থাকে। 

> টুকটাক খাওয়ার অভ্যাস বদলাতে হবে। দিনে ৫-৬ বার খাবেন। সকালে মোটামুটি পেট ভরে ব্রেকফাস্ট। মাঝ সকালে ফল বা সালাদ। দুপুরে ডাল, স্যালাড, সবজির সঙ্গে অল্প ভাত বা রুটি ও মাছ/চিকেন/ডিম/দই। 

> ডেজার্ট এখন না খাওয়াই ভালো। খুব ইচ্ছে হলে অল্প খেঁজুর খেতে পারেন। বিকেলে মুড়ি-বাদাম বা হালকা অন্য কিছু। রাতে আবার দুপুরের মতো খেয়ে আধ ঘণ্টা একটু হাঁটাহাটি করে ঘণ্টা দুয়েক পরে ঘুমাতে যাওয়া।

> খেয়াল রাখবেন, দিনের প্রতিটি খাবারে যেন প্রোটিন, ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ ঠিক থাকে। দরকার হলে পুষ্টিবিদের সঙ্গে কথা বলে নেবেন।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ