• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

এক লাফে অর্ধেকে পেঁয়াজের দাম

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৭ মার্চ ২০২০  

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় হিলি স্থলবন্দরে কমেছে পেঁয়াজের দাম। যখন দেশী পেঁয়াজের সরবরাহ বেশি ঠিক তখন ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি হওয়ায় পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারকরা। পেঁয়াজ আমদানির ফলে স্থানীয় বাজারে এক লাফে ৫০ থেকে ২৫ টাকা কেজিতে নেমে এসেছে পেঁয়াজের দাম।

দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর হিলি স্থলবন্দর শুরু হয়েছে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি। আমদানি শুরু হওয়ায় স্থানীয় বাজার গুলোতে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। গত দুই দিন আগে খুচরা বাজারে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে সেই পেঁয়াজ এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে। পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করায় স্বাস্তিতে সাধারণ ক্রেতারা।

যখন দেশের বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করে ক্রেতা সংকটে বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা।

হিলি স্থলবন্দরের এক পেঁয়াজ আমদানিকারক বলেন, সোমবার (১৬ মার্চ) বন্দরে আমার পাঁচ ট্রাক ভারতীয় পেঁয়াজ এসেছে। বাজারে পেঁয়াজের ভাল সরবরাহ থাকায় ক্রেতারা বেশ খুশি। তবে দেশি পেঁয়াজের চাহিদা একটু বেশি।

আরেক আমদানিকারক বলেন, বন্দরে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। আমি এখনও ভারতের পেঁয়াজ ক্রয় করিনি। দেশি পেঁয়াজ আর ভারতের পেঁয়াজের দাম প্রায় একই রকম। সোমবার সারাদিন দেশি পেঁয়াজ পাইকারি দিয়েছি ৩০ থেকে ৩২ টাকায়। এদিকে, আমদানিকারকরা ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫ থেকে ২৬ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

তবে এই বন্দর দিয়ে ৩ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির পারমিট পেলেও অন্যান্য ব্যবসায়ী পেঁয়াজ আমদানির জন্য পারমিট না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা। দুই একজন ব্যবসায়ী পারমিট পাওয়ায় পেঁয়াজের বাজারে সিন্ডিকেট হতে পারে বলে জানান ব্যবসায়ীরা
এক খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, ক্রেতাদের মধ্যে দেশি পেঁয়াজের চাহিদা বেশি। যেহেতু দাম কম তাই মানুষ পেঁয়াজ কিনছেও বেশি।

হিলি কাস্টমস তথ্যমতে, গত দুই দিনে ভারতীয় ৪৫ ট্রাকে ৯২৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ