• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

করোনা দেখাল সংক্রামক রোগ সীমান্ত চেনে না

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৫ জুন ২০২০  

সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে সব দেশ একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কভিড-১৯ মহামারী আমাদের দেখিয়েছে সংক্রামক রোগ কোনো সীমান্ত চিনে না এবং দুর্বল, ক্ষমতাধর কিংবা উন্নত, উন্নয়নশীল কাউকে আলাদা বিবেচনা করে না।

গতকাল লন্ডনে (স্থানীয় সময় দুপুর) ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (গ্যাভি) আয়োজিত গ্লোবাল ভ্যাকসিন সামিটে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ভ্যাকসিনের মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মকে সুরক্ষিত করতে কমপক্ষে সাত দশমিক চার বিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহে এই সম্মেলনের আয়োজন করে যুক্তরাজ্য সরকার। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে মানব জাতির অস্তিত্বের জন্য হুমকি কভিড-১৯ এর মতো প্রাণঘাতী সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনকে (গাভি) সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়ার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান কভিড-১৯ মহামারী প্রমাণ করেছে, যে কোনো বৈশ্বিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা কতটা অসহায়। এটি আমাদের আরও স্মরণ করিয়ে দেয় পুরনো প্রবাদ, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধেই উত্তম। সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রতিরোধের জন্য ভ্যাকসিন প্রমাণিত।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী প্রতি চার মাসে একটি নতুন সংক্রামক রোগের উদ্ভব হয়।  গ্লোবাল ভাইরাস প্রজেক্ট অনুমান করছে প্রায় ৭০০ হাজার ভাইরাস আছে যা মহামারী সৃষ্টিতে করতে সক্ষম। এগুলোর মধ্যে অনেক মানবজাতিকে ধ্বংস করে দিতে পারে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমার প্রথম আমল থেকেই আমরা নিরলসভাবে লাইনের শেষ ব্যক্তির কাছে উন্নয়নের ফল আনতে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের প্রচেষ্টায়, ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স, জিএভিআই ৯৮ ভাগ পর্যন্ত টিকাদান কভারেজ সম্প্রসারণে অবিচ্ছিন্ন সমর্থন সরবরাহ করেছে। তিনি বলেন, গ্যাভির টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুনত্বের অংশীদারিত্বের সঙ্গে, ‘ডিজিটাল হিথ ইনফরমেশন সিস্টেম-২’ এর অন্যতম উন্নত ব্যবহারকারী হিসেবে ডেটা ডিজিটালকরণ ও শক্তিশালীকরণের ক্ষেত্রে এই অঞ্চলে বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। তিনি বলেন, এ যাত্রায়, সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ এবং এসডিজি অর্জনের জন্য আমাদের সঙ্গে একটি সময়ের পরীক্ষামূলক অংশীদার হয়েছে।

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক তাড়িয়ে দেওয়া ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। আমরা তাদের খাদ্য সহায়তাসহ সব কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কর্মীরা রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে কভিড-১৯ মোকাবিলায় কাজ করছে। বিশ্বের সর্বাধিক ঘন জনবহুল ক্যাম্পগুলোতে গত মাসে কেবল পাঁচটি রোগী শনাক্ত হয়েছে। গ্যাভি রোহিঙ্গাদের জন্য কলেরা, হাম এবং রুবেলার ভ্যাকসিনের জন্য ১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সাহায্যের মাধ্যমে আমাদের সহায়তা করছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকারপ্রধান বলেন, ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠার পর, গ্যাভী বিশ্বব্যাপী ১৩ মিলিয়নেরও বেশি লোকের জীবন বাঁচাতে মারাত্মক রোগের বিরুদ্ধে ৭৬০ মিলিয়নেরও বেশি লোককে টিকা দিতে সহায়তা করেছে। আমরা যদি এটি করতে দিই তবে তারা তা চালিয়ে যাবে।

মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা করছি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাস থেকে বাংলাদেশের মানুষের জীবন বাঁচাতে ও সুরক্ষিত রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। যেহেতু অর্থনীতি একেবারে স্থবির অবস্থায় রয়েছে, আমরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে এখন উন্মুক্ত করছি। কারণ মানুষকে আমাদের তো বাঁচাতে হবে। তিনি বলেন, এই কর্মকান্ডগুলো না করলে, কতটা আমরা সহযোগিতা করব। তারপরও আমি বলব এই কয় মাস এদেশে প্রায় প্রতি স্তরের মানুষকে ব্যাপকভাবে সহযোগিতা দিচ্ছি।

গতকাল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অনুদান গ্রহণকালে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে অনুদান গ্রহণ করেন তার মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। এ সময় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত করা, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সচল করা, তাদের সামাজিক নিরাপত্তা দেওয়া, সব দিক থেকে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে করেছি, আমাদের দলের পক্ষ থেকে করেছি। যারা অনেক বিত্তশালী তারাও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে এই আন্তরিকতাটুকু আছে বলে এখনো তারা খেতে পারছে বা চলতে পারছে। এই সহানুভূতিটুকু মানুষ দেখাতে পারছে। তিনি বলেন, চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রত্যেকটা শ্রেণি-পেশার মানুষ সবার কাছে যেন আমরা কিছু না কিছু সহযোগিতা পৌঁছাতে পারি। যেন তারা কষ্ট না পায়। সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আর সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

চিকিৎসাসেবা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, চিকিৎসাসেবা আমরা ব্যাপকভাবে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি এবং আমরা দিয়ে যাচ্ছি। বিনা পয়সায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। করোনাভাইরাস টেস্ট করা বা চিকিৎসা করা বেশ ব্যয়বহুল। তারপরও আমরা সেটা করে যাচ্ছি।

অর্থনীতি সচল রাখতে নেওয়া পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড যাতে চলে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের শিল্প থেকে শুরু করে সর্বস্তরের সবাই যেন তাদের কার্যক্রম চালাতে পারে তার জন্য বিশেষ প্রণোদনা দিচ্ছি। জিডিপির প্রায় ৩ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছি। তিনি বলেন, গত ৩/৪ মাস ধরে আমাদের অর্থনীতি একেবারে স্থবির। তারপরও আমরা অন্তত মানুষের কথা চিন্তা করে, মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে কাজ করে যাচ্ছি। এটা মনে রাখতে হবে আওয়ামী লীগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন। সব সময় জনগণের কল্যাণেই আমরা কাজ করি।

ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা করতে পেরেছি বলেই আমাদের অনেক কাজ সহজ হয়েছে। যেমন মানুষকে সহযোগিতা দেওয়া, তাদের কাছে নগদ টাকা পৌঁছানো, তাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া বা ঘরে বসে চিকিৎসা পরামর্শ যাতে পেতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা, ব্যবসা বাণিজ্য চালানো, ক্রয়-বিক্রয়, আত্মীয়-স্বজন বা আপনজনের সঙ্গে কথা বলা, দেখা-সাক্ষাৎ, অনলাইনের মাধ্যমে আমরা করে যাচ্ছি।

অনুদান গ্রহণের সময় করোনাভাইরাসে দেশ-বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশি যারা মারা গেছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী।

গতকাল প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অনুদান দেয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন অথরিটি, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন, আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড, আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড, উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জিএমএস কম্পোজিট নিটিং ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড ও জিএমএস টেক্সটাইল, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রিজ, আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, আলী বাবা অ্যান্ড জ্যাক মা ফাউন্ডেশন, ফ্যাশন গ্লোব গ্রুপ, আনোয়ার গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (বেসিস), সৎসঙ্গ হেমায়েতপুর, পাবনা, পিপিএস প্লাস্টিক পাইপ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

এ ছাড়া আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, ডা. রাফা ইসলাম, ডা. সোনিয়া জেমিন প্রীত, ডা. সাদিয়া আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অনুদান দেন।

সমুদ্র সম্পদের টেকসই ব্যবহারে প্রধানমন্ত্রীর তিন দফা প্রস্তাব : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমুদ্র ও অন্যান্য জলজ সম্পদের টেকসই ব্যবহারে বৈশ্বিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য তিন দফা প্রস্তাব পেশ করে বিশ্ব সম্প্রদায়কে সমুদ্র কর্মকান্ডে তাদের প্রতিশ্রুতি নবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।

গত বুধবার রাতে ভিডিও কনফারেন্সে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ‘ভার্চুয়াল মহাসাগর সংলাপ’ বক্তৃতায় তিনি এ প্রস্তাব দেন। ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম’ এবং ফ্রেন্ডস অব ওশান অ্যাকশনের ব্যবস্থাপনায় জেনেভায় পাঁচ দিনব্যাপী এই সংলাপ গত ১ জুন শুরু হয়েছে। সংলাপের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘মহাসাগরীয় স্থিতিস্থাপকতা, উদ্ভাবন এবং কর্মের জন্য জনগোষ্ঠীগুলোকে সংযুক্ত করা’।

প্রধানমন্ত্রী প্রথম প্রস্তাবে, সামুদ্রিক সম্পদের পরিপূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় সম্পদ, সক্ষমতা ও প্রযুক্তিসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা করার আহ্বান জানান। দ্বিতীয় প্রস্তাবে তিনি বলেন, আঞ্চলিক মাছের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি এবং অবৈধ, অননুমোদিত ও অনিয়ন্ত্রিত মাছ নির্মূল বন্ধের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মৎস্য উন্নয়ন বিষয়ে যৌথ গবেষণা পরিচালনার ওপর জোর দেন।

তৃতীয় প্রস্তাবে শেখ হাসিনা, উপকূলীয় বাসস্থান ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় মাছের উৎস চিহ্নিতকরণ এবং এর ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব¡ারোপ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মহাসাগরের এবং অন্যান্য জলজ সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিতের জন্য, বিশেষ করে আমাদের সম্পদ এবং পণ্যের বাজারে প্রবেশ এবং প্রযুক্তি সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, নগরায়ণের ফলে স্থানীয় জলের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। তাই আমাদের সুনীল অর্থনীতির উদ্যোগের অংশ হিসেবে সামুদ্রিক মৎস্যজীবীদের অগ্রাধিকার দিচ্ছি।

২০১৭ সালের মহাসাগর সম্মেলনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সে সময় আমরা কিছু স্বেচ্ছা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম এবং আইন করে প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে শুরু করে যে কোনো প্রকারের দূষণ থেকে সমুদ্র সম্পদ ও পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করেছি। তিনি বলেন, মহাসাগরের এবং অন্যান্য জলজ সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিতের জন্য, বিশেষ করে আমাদের সম্পদ এবং পণ্যের বাজারে প্রবেশ এবং প্রযুক্তি সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, আসুন, আমরা হাতে হাত রেখে সমুদ্র অ্যাকশনের জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতির নবায়ন করি।

করোনাভাইরাস মহামারী প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই সভাটি এমন একটি সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন সমগ্র বিশ্ব এই ঘাতক ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত। তিনি বলেন, মহাসাগরের এবং মানুষের স্বাস্থ্যের মধ্যে যে যোগসূত্র রয়েছে তা নিয়ে এই মহামারী সবাইকে নতুন করে চিন্তা করতে বাধ্য করেছে। কেননা অসুস্থতা মোকাবিলায় সমুদ্র একটি বড় উৎসের জোগানদাতা।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ