• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৫ মার্চ ২০২০  

পৃথিবীর সব দেশই নভেল করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর ঝুঁকিতে রয়েছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। ভাইরাস সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ইরান ও ইতালির নাগরিকদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা ইতোমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত–বাংলাদেশ সরকারি মৈত্রী হাসপাতাল ও সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি তিনটি মাল্টি সেক্টরাল কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা দেশের নাগরিক হিসেবে প্রতিটি মানুষকে তার নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তার জন্য নাগরিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। সরকারের জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোর বলেন,  “বৈশ্বিক পরিস্থিতি থেকেই করোনা ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। শুরুর দিকে হোম আইসোলেশন করার কথা বললেও এখন আর হোম আইসোলেশনকে এনকারেজ করছি না। এখন হাসপাতালে নিয়ে পরীক্ষা করতে চাই। কারণ বাসায় যদি কেউ সঠিক নিয়ম কানুন না মেনে চলেন, তবে আরেকজন আক্রান্ত হতে পারেন। কারও মধ্যে লক্ষণ-উপসর্গ দেখা দিলে তাকে হাসপাতালে এনে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে ‘কোয়ালিটি কোয়ারেন্টাইন’ নিশ্চিত করতে পারলে অনেককেই হাসপাতালে রাখার দরকার হবে না। আর হোম কোয়ারেন্টাইনে জরুরি বিষয় হলো, তার থেকে যেন বাড়ির অন্য কেউ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে না থাকে। তাকে অ্যাটাচ বাথরুমসহ একটি নির্দিষ্ট কক্ষে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।” কোভিড-১৯ খাবারের মাধ্যমে ছড়ায় না, হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। তাই করমর্দন ও কোলাকুলি পরিহার করতে হবে বলেও জানান তিনি।

অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, ‘অসুস্থ পশুপাখির সংস্পর্শ পরিহার করতে হবে। মাছ-মাংস ও ডিম ভালো করে রান্না করে খেতে হবে। অসুস্থ হলে ঘরে থাকতে হবে। বাইরে যেতে হলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আক্রান্ত দেশ ভ্রমণে বিরত থাকতে হবে।’ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই ঢাকাসহ আশেপাশের হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিদেশিরা এলে আমাদের কী করণীয় এবং তারা যেন প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাইরে না যান, সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।’ চীন বা আক্রান্ত কোনও দেশ থেকে এলেই যে কেউ কোভিড-১৯ আক্রান্ত–বিষয়টি এমন নয় জানিয়ে সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, “যদি তিনি আক্রান্ত কোনও রোগীর সংস্পর্শে এসে থাকেন, তার মধ্যে জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। সে জন্যই ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকা দরকার। বাড়িতে থেকেও ‘হোম বা সেলফ কোয়ারেন্টাইন’ করা যায়। তবে প্রত্যেককেই ১৪ দিনের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।”

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জাহিদুর রহমান বলেন, ‘সাবান ও পানি দিয়ে অন্তত ৩০ সেকেন্ড ধরে নিয়মিত হাত ধুতে হবে। অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ ধরা যাবে না। ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। কাশি শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে (হাঁচি, কাশির সময় টিস্যু, বাহু বা কাপড় দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখা)।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ