• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

করোনাকালে সাকিব-মুশফিকের ‘নতুন জুটি’

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১০ মে ২০২০  

২২ গজে অনেকবারই জুটি গড়েছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। সেই সাকিব-মুশফিকই মাঠের বাইরে গড়লেন ক্যারিয়ারের সেরা জুটি! যা কাজে লাগছে মানব সেবায়। করোনা মোকাবিলায় অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছেন তারা। শনিবার দুপুরে দুই ক্রিকেটারই মহৎ এই উদ্দেশ্যের কথা জানান ফেসবুকে।

এই মুহূর্তে সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশন যে কাজ করছে তা সবারই জানা। বগুড়ায় সেই ফাউন্ডেশনই মুশফিকুর রহিমের নিজ শহরে অবদান রেখেছে করোনা মোকাবিলায়। তাতে সঙ্গী ছিলেন মুশফিকও। সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ৩৫০ এর বেশি পরিবারকে ত্রাণ দিতে অবদান রেখেছেন।

সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে জানানো হয় এমন তথ্য। ফাউন্ডেশনের ফেসবুকে লেখা ছিল, ‘বাইশ গজের পিচে গড়েছেন দারুণ সব জুটি। এবার সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহিম এক হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন দেশের মানুষের। সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মুশফিকুর রহিম পাশে দাঁড়িয়েছেন ৩৫০টি পরিবারের। এই কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য বগুড়া জেলা স্কুলের সাহসী প্রাক্তন ছাত্রদের জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ। মুশফিকুর রহিমকে ধন্যবাদ।’

সাকিবের পোস্টের নিচে অবশ্য ভিডিও বার্তা সংযুক্ত ছিল। সেখানে মুশফিক বলেছেন, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে মানুষ জিতবে, ‘মাঠে সাকিব ও আমার অনেক দুর্দান্ত জুটি আছে। তবে এখনও পর্যন্ত সেরা জুটি এটিই। সাকিব ও সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ, যাদের অর্থায়নে আমার নিজ শহর বগুড়ায় ৩৫০টির বেশি পরিবারে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। বগুড়া জেলা স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রদের ধন্যবাদ, তাদের পরিশ্রমে ত্রাণ বিতরণ সম্ভব হয়েছে। আমি আশা করছি, আমরা সবাই একসঙ্গে এই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয় লাভ করবো।’

কিছুক্ষণ পর অবশ্য নিজের ফেসবুকেও মুশফিক লিখেছেন, ‘কেউ স্বপ্ন দেখায় নতুন ভোরের, আর কিছু মানুষ সেই স্বপ্নকে পূর্ণতা দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যায়। আমার প্রাণের শহর বগুড়ায় সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ৩৫০ টি পরিবারের মাঝে খাদ্য-সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এই কঠিন সময়ে মানুষের পাশে থাকার জন্যে সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশনের প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ। আর এই খাদ্যদ্রব্য ক্রয়, প্যাকেটিং এবং তা মানুষের মাঝে পৌঁছানোর কাজটি করেছে আমার প্রাণপ্রিয় বগুড়া জিলা স্কুলের কিছু সাবেক শিক্ষার্থীরা। তাদের সবার জন্যে আমার স্নেহাশিস ও ভালোবাসা। ইনশাআল্লাহ খুব শীঘ্রই আমরা হতাশার কালো মেঘ কাটিয়ে নতুন সূর্যের দেখা পাবো।’

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ