কোরআন হাদিসের আলোকে জাকাত
দৈনিক গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ৮ মে ২০২০
জাকাত আরবি শব্দ। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের অসংখ্য জায়গায় আলোচনা করা হয়েছে। জাকাত শব্দের আভিধানিক অর্থ পবিত্র হওয়া, পরিশুদ্ধ হওয়া, বৃদ্ধি পাওয়া ইত্যাদি। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি হলো জাকাত।
পারিভাষিকভাবে ধনীদের অর্থ-সম্পদে আল্লাহর নির্ধারিত অংশকে জাকাত বোঝায়। জাকাত সম্পদকে পবিত্র করে। বিত্তশালীদের পরিশুদ্ধ করে। দারিদ্র্য মোচন করে ও উৎপাদন বৃদ্ধি করে। অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস করে সমাজে শান্তি আনয়ন করে। ইসলাম মানবসমাজে অর্থনৈতিক সুব্যবস্থা নিশ্চিত করতে, সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে বিত্তশালীদের ওপর নির্দিষ্ট হারে জাকাত ফরজ করেছে। আর জাকাতকে বলা হয়েছে গরিবের অধিকার। এটা কোনোক্রমেই গরিবের প্রতি ধনীর দয়া বা অনুগ্রহ নয়।
পবিত্র কোরআনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জাকাতের নির্দেশনা ৮২ বার এসেছে। তার মধ্যে ‘জাকাত’ শব্দ ৩০ বার, ‘ইনফাক’ ৪৩ বার ও ‘সাদাকাহ’ দ্বারা ৯ বার জাকাতের নির্দেশনা রয়েছে। কোরআনের ১৯টি সুরায় জাকাতের আলোচনা রয়েছে। জাকাত দ্বিতীয় হিজরিতে ফরজ হয়।
কোরআন মজিদের যে ১৯টি সূরায় জাকাতের আলোচনা এসেছে। যথা: (১) সূরা বাকারা। (২) সূরা নিসা। (৩) সূরা মায়িদা। (৪) সূরা তাওবা। (৫) সূরা আরাফ। (৬) সূরা কাহাফ। (৭) সূরা মারইয়াম। (৮) সূরা মুমিনুন। (৯) সূরা রুম। (১০) সূরা ফুচ্ছিলাত/হা-মীম সিজদাহ। (১১) সূরা আম্বিয়া। (১২) সূরা হজ। (১৩) সূরা নূর। (১৪) সূরা নমল(১৫) সূরা লোকমান (১৬) সূরা আহজাব, (১৭) সূরা মুজাদালাহ (১৮) সূরা মুজাম্মিল ও (১৯) সূরা বাইয়িনাহ।
ইসলামের মৌলিক স্তম্ভগুলোর মধ্যে সালাতের পরেই জাকাতের স্থান। সালাত দৈহিক ইবাদত, আর জাকাত হলো আর্থিক ইবাদত। মানবজীবনের বিশাল অধ্যায় অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই দেখা যায়, মানবসভ্যতার সূচনালগ্ন থেকেই অর্থনীতি মানুষের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আর জাকাতব্যবস্থার প্রচলনও তখন থেকেই। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনের বহু জায়গায় জাকাত সম্পর্কে নির্দেশনা দিয়েছেন।
পবিত্র কোরআনে জাকাত সম্পর্কে বলা হয়েছে,
خُذْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَتُزَكِّيهِم بِهَا وَصَلِّ عَلَيْهِمْ إِنَّ صَلاَتَكَ سَكَنٌ لَّهُمْ وَاللّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
‘তাদের মালামাল থেকে জাকাত গ্রহণ কর যাতে তুমি সেগুলোকে পবিত্র করতে এবং সেগুলোকে বরকতময় করতে পার এর মাধ্যমে। আর তুমি তাদের জন্য দোয়া কর, নিঃসন্দেহে তোমার দোয়া তাদের জন্য সান্ত্বনা স্বরুপ। বস্তুতঃ আল্লাহ সবকিছুই শুনেন, জানেন। (সূরা : তাওবা, আয়াত : ১০৩)।
জাকাত ফরজ হওয়ার দলীল :
وَمَا أُمِرُوا إِلَّا لِيَعْبُدُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ حُنَفَاء وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ وَذَلِكَ دِينُ الْقَيِّمَةِ
‘তাদের এ মর্মে আদেশ করা হয়েছে যে, তারা নিবিষ্ট মনে একান্তভাবে শুধুমাত্র আল্লাহর এবাদত করবে, যথাযথভাবে সালাত আদায় করবে, জাকাত প্রদান করবে, আর এটাই হলো সুপ্রতিষ্ঠিত দ্বীন। ’ (সূরা : বাইয়্যিনাহ, আয়াত : ৫)।
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُواْ وَعَمِلُواْ الصَّالِحَاتِ وَأَقَامُواْ الصَّلاَةَ وَآتَوُاْ الزَّكَاةَ لَهُمْ أَجْرُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ وَلاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ
‘যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে, সৎ কাজ করেছে, নামাজ প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং জাকাত প্রদান করেছে, তাদের জন্য পুরস্কার তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে। তাদের কোনো ভয় নাই এবং তারা দুঃখিত হবে না।’ (সূরা : বাক্বারা, আয়াত : ২৭৭)।
আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন,
وَأَقِيمُواْ الصَّلاَةَ وَآتُواْ الزَّكَاةَ وَارْكَعُواْ مَعَ الرَّاكِعِينَ
‘তোমরা নামাজ কায়েম কর, জাকাত প্রদান কর এবং রুকুকারীদের সঙ্গে রুকু কর।’ (সূরা : বাকারা, আয়াত : ৪৩)।
আবি আবদুর রহমান আবদুল্লাহ ইবনে ওমার ইবনুল খাত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি নবী করিম (সা.) থেকে শুনেছি যে, ‘ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি স্তম্ভের ওপর প্রতিষ্ঠিত। এতে সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নাই এবং মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহর প্রেরিত রাসূল, নামাজ প্রতিষ্ঠা করা, জাকাত দেয়া, শারীরিক ও আর্থিক সামর্থ্য থাকলে হজ করা এবং রমজান মাসে রোজা রাখা।’ (বুখারী ও মুসলিম)।
জাকাত ব্যবস্থা অতীতের সব নবীর উম্মতের ওপর অপরিহার্য পালনীয় ছিল। তবে সম্পদের পরিমাণ ও ব্যয়ের খাত বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ছিল। যেমন—ইব্রাহিম (আ.) ও তার বংশের নবীদের কথা উল্লেখ করার পর আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর তাদের করেছিলাম নেতা। তারা আমার নির্দেশ অনুসারে মানুষকে পথপ্রদর্শন করত। তাদের ওহী প্রেরণ করেছিলাম সৎকর্ম করতে, নামাজ কায়েম করতে এবং জাকাত প্রদান করতে।’ (সূরা : আম্বিয়া, আয়াত : ৯৩)।
ইসমাইল (আ.) সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘সে তার পরিবার-পরিজনকে নামাজ ও জাকাতের নির্দেশ দিত।’ (সূরা : মারইয়াম, আয়াত : ৫৫)।
ঈসা (আ.) এর প্রসঙ্গে এসেছে, তিনি বলেছেন, ‘যেখানেই আমি থাকি না কেন, তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন। তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, যত দিন জীবিত থাকি তত দিন নামাজ ও জাকাত আদায় করতে।’ (সূরা : মারইয়াম, আয়াত : ৩১)।
মোটকথা, প্রাচীনকাল থেকেই সব নবী-রাসূলের উম্মতের ওপর নামাজ ও জাকাত ফরজ হিসেবে পালনীয় ছিল। তবে মুসলমানদের ওপর ধনীদের সম্পদ পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে হিসাব করে প্রতিবছর জাকাত আদায় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
রাসূলুল্লাহ (সা.) এর ওফাতের পর কয়েকটি আরব গোত্র জাকাত আদায় করতে অস্বীকার করে। তখন হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) খেলাফতের দায়িত্বে অধিষ্ঠিত। ওমর (রা.) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছিলেন, যে ব্যক্তি তাওহিদের স্বীকৃতি দেবে, তার রক্ত প্রবাহিত করা যুক্তিযুক্ত নয়। তাদের ফয়সালা আল্লাহপাকই করবেন।’ তখন আবু বকর (রা.) জবাব দেন, ‘আল্লাহর শপথ! যে ব্যক্তি নামাজ ও জাকাতের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করবে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ করব। কেননা জাকাত হচ্ছে অর্থনৈতিক অধিকার। আল্লাহর শপথ! যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা.) এর আমলে একটি ভেড়ার বাচ্চা জাকাত দিত, এখনো তাকে সেটা দিতে হবে।’ (বুখারী শরিফ)।
ইসলামি শরীয়তে জীবনযাত্রার অপরিহার্য প্রয়োজন পূরণের পর নিসাব পরিমাণ সম্পদে পূর্ণ এক বছর অতিক্রম করলে ওই সম্পদ থেকে নির্দিষ্ট অংশ আল্লাহর নির্ধারিত খাতে ব্যয় করাকে জাকাত বলা হয়। জাকাতের নিসাব হলো : ক. সোনা ৭.৫ তোলা বা ৯৫.৭৪৮ গ্রাম প্রায়। খ. রুপা ৫২.৫ তোলা বা ৬৭০.২৪ গ্রাম প্রায়। (আহসানুল ফাতাওয়া : ৪/৩৯৪; আল ফিকহুল ইসলামি : ২/৬৬৯)।
স্মরণ রাখতে হবে, দেশি-বিদেশি মুদ্রা ও ব্যাবসায়িক পণ্যের নিসাব নির্ধারণে সোনা-রুপা হলো পরিমাপক। এ ক্ষেত্রে ফকির-মিসকিনদের জন্য যেটি বেশি লাভজনক হবে, সেটিকে পরিমাপক হিসেবে গ্রহণ করাই শরীয়তের নির্দেশ। সুতরাং মুদ্রা ও পণ্যের বেলায় বর্তমানে রুপার নিসাবই পরিমাপক হিসেবে গণ্য হবে। তাই যার কাছে ৫২.৫ তোলা সমমূল্যের দেশি-বিদেশি মুদ্রা বা ব্যবসায়িক পণ্য মজুদ থাকবে, তার ওপর জাকাত ফরজ।
পক্ষান্তরে, রমজান মাসের জন্য জাকাত বিলম্বে পরিশোধ করা জায়েয নয়। তবে যদি সামান্য কিছু সময় হয় তাহলে দেরি করা জায়েয হবে। উদাহরণ: বর্ষপূর্তি হয়েছে শাবান মাসের শেষার্ধে তাহলে রমজান পর্যন্ত বিলম্ব করতে কোনো অসুবিধা নেই।
জাকাত না দেয়ার পরিণতি সম্পর্কে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনুল কারিমে বলেন,
وَالَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَلاَ يُنفِقُونَهَا فِي سَبِيلِ اللّهِ فَبَشِّرْهُم بِعَذَابٍ أَلِيمٍ
يَوْمَ يُحْمَى عَلَيْهَا فِي نَارِ جَهَنَّمَ فَتُكْوَى بِهَا جِبَاهُهُمْ وَجُنوبُهُمْ وَظُهُورُهُمْ هَـذَا مَا كَنَزْتُمْ لأَنفُسِكُمْ فَذُوقُواْ مَا كُنتُمْ تَكْنِزُونَ
‘আর যারা স্বর্ণ-রৌপ্য জমা করে রাখে আর তা হতে আল্লাহর পথে ব্যয় করে না তাদেরকে যন্ত্রনাদায়ক আজাবের সুসংবাদ দিন। সে দিন জাহান্নামের আগুনে তা উত্তপ্ত করা হবে এবং তার মাধ্যমে তাদের ললাটসমূহে, পার্শ্বদেশ ও পৃষ্ঠদেশসমূহে দাগ দেয়া হবে। বলা হবে এগুলো ওই সব সম্পদ যা তোমরা নিজেদের জন্য জমা করে রেখেছিলে। সুতরাং এখন স্বাদ গ্রহণ করো জমা করে রাখা বস্তুর।; (সূরা: আত তাওবাহ, আয়াত: ৩৪-৩৫)।
সহিহুল বুখারীতে আবূ হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা যাকে ধন-সম্পদ দান করেছেন সে যদি সম্পদের জাকাত না দেয় কেয়ামতের দিন তার সম্পদগুলোকে টাক মাথা বিশিষ্ট সাপে পরিণত করা হবে। তার চোখের ওপরে দু‘টি কালো বিন্দু থাকবে। সাপটি তার চিবুকে কামড়িয়ে ধরবে এবং বলবে, আমি তোমার মাল। আমিই তোমর গুপ্তধন।’
অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা.) কোরআনের এ আয়াতটি পাঠ করলেন,
وَلاَ يَحْسَبَنَّ الَّذِينَ يَبْخَلُونَ بِمَا آتَاهُمُ اللّهُ مِن فَضْلِهِ هُوَ خَيْرًا لَّهُمْ بَلْ هُوَ شَرٌّ لَّهُمْ سَيُطَوَّقُونَ مَا بَخِلُواْ بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
‘যাদেরকে আল্লাহ তাঁর অনুগ্রহে ধন-সম্পদ দান করেছেন, তারা যদি তাতে কৃপণতা করে, এই কৃপণতা তাদের জন্য কল্যাণকর হবে বলে তারা যেন ধারণা পোষণ না করে। বরং এটা তাদের জন্য একান্তই ক্ষতিকর। যাতে তারা কার্পণ্য করে, সে ধন-সম্পদকে কেয়ামতের দিন তাদের গলায় বেড়ি বানিয়ে পরানো হবে।’ (সূরা : আলে ইমরান, আয়াত: ১৮০; সহিহুল বুখারী-হা : ১৪০৩)।
সহিহ মুসলিম আবূ হুরাইরাহ (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ বলেন, ‘স্বর্ণ-রৌপ্যের যেই মালিক তার স্বর্ণ-রৌপ্যের জাকাত প্রদান করবে না কেয়ামতের দিন তার স্বর্ণে রৌপ্যেগুলোকে আগুন দিয়ে গলিয়ে চ্যাপটা করা হবে। অতঃপর জাহান্নামের আগুনে গরম করে তার পার্শ্বদেশে, পিঠে এবং কপালে তা দিয়ে ছেঁকা দেয়া হবে। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে আবার গরম করা হবে। এমন একদিনে তাদের এ শাস্তি চলতে থাকবে যার পরিমাণ হবে দুনিয়ার পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান। হাশরের মাঠে মানুষের মাঝে ফায়সালা শেষ হওয়ার পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত তাকে এভাবে শাস্তি দেয়া হবে। পরিশেষে সে জান্নাত অথবা জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’
রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে প্রশ্ন করা হলো উট ওয়ালার কী অবস্থা হবে? উত্তরে তিনি বললেন, ‘উটের মালিক যদি এর হক আদায় না করে অর্থাৎ-জাকাত না দেয় কেয়ামতের দিন একটি সমতল ভূমিতে উটগুলোকে পূর্বে চেয়ে মোটা-তাজা অবস্থায় একত্রিত করা হবে। তা থেকে একটি বাচ্চাও বাদ পড়বে না। উটগুলো পা দিয়ে তাদের মালিককে পিষতে থাকবে এবং দাঁত দিয়ে কামড়াতে থাকবে। যখন প্রথম দলের পালা শেষ হবে পরবর্তী দলের পালা আসবে। এমন এক দীর্ঘ দিনে তাদের এ শাস্তি চলতে থাকবে যার পরিমাণ হবে দুনিয়ার পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান। মানুষের মাঝে ফায়সালা শেষ হওয়ার পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত হাশরের মাঠে তাকে এবাবে শাস্তি দেয়া হবে। পরিশেষে সে জান্নাত অথবা জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে প্রশ্ন করা হলো গরু এবং ছাগলের মালিকের কী অবস্থা হবে? উত্তরে বললেন, গরু বা ছাগলের মালিক যদি এর হক আদায় না করে অর্থাৎ- জাকাত না দেয় কেয়ামতের দিন একটি সমতল ভূমিতে গরু ও ছাগলগুলোকে একত্রিত করা হবে। তা থেকে একটিও বাদ পড়বে না এবং কোনটিই শিংবিহীন, বাঁকা শিং অথবা ভাঙ্গা শিংবিশিষ্ট থাকবে না। অর্থাৎ-সবগুলো পূর্বের চেয়ে মোটা-তাজা এবং ধারাল সোজা শিংবিশিষ্ট থাকবে। শিং দিয়ে তাদের মালিককে আঘাত করবে এবং পা দ্বারা পিষতে থাকবে। এমন এক দীর্ঘ দিনে তাদের শাস্তি চলতে থাকবে যার পরিমাণ হবে দুনিয়ার পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান। মানুষের মাঝে ফায়সালা শেষ হওয়ার পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত হাশরের মাঠে তাকে এভাবে শাস্তি দেয়া হবে। পরিশেষে সে জান্নাত অথবা জাহান্নামে প্রবেশ করবে।(সহিহ মুসলিম- অধ্যায়: কিতাবুয জাকাত, হা: ২৪ (৯৮৭)।
- তীব্র গরমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে কী করবেন
- তাপপ্রবাহ : গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে বাড়ছে রোগী
- সেই নারী কাউন্সিলর চামেলীকে দল থেকে বহিষ্কার
- পাট শিল্পের উন্নয়নে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে : পাটমন্ত্রী
- সারাদেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি, ঠিক হতে লাগবে ১ মাস
- হজযাত্রীদের ভোগান্তিতে ফেললে এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থারহুঁশিয়ারি
- আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারপতি
- বাগেরহাটে পর্নোগ্রাফি মামলায় কনস্টেবল কারাগারে
- গোপালগঞ্জে বোমা বিস্ফোরণ, বাবা-ছেলে আহত
- মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- রিক্সা-ভ্যান চালকদের পানি ও স্যালাইন বিতরন করলেন পুলিশ সুপার
- গোপালগঞ্জে বাউবির প্রশিক্ষন কর্মশালা
- আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত: প্রণয় ভার্মা
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে : ভূমিমন্ত্রী
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাসলাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- চলছে কয়লা খালাস, জাহাজেই ফিরবেন এমভি আবদুল্লাহর সব নাবিক
- দুই মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়
সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের আমিরের - কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলো আরও এক দেশ
- ওবায়দুল কাদেরের হুঁশিয়ারি
- থাইল্যান্ডে শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- গ্যাস খাতে বড় সংস্কার করবে পেট্রোবাংলা
- বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে চায় কিরগিজস্তান
- চলবে ১২০ দিন
নোয়াখালীর নতুন গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু - যমুনায় বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ৪.৮ কিমি এখন দৃশ্যমান
- এশার নামাজ না পড়ে তারাবি পড়া যাবে?
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হটকারি সিদ্ধান্ত: হাছান মাহমুদ
- গোপালগঞ্জে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করলেন এসপ
- দুর্নীতি করব না, প্রশ্রয়ও দেব না: দীন মোহাম্মদ
- ইতিকাফের জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে
- প্রতিবেশী দেশগুলোর অস্থিরতার প্রভাব বাংলাদেশে
- নূহ (আ.) এর নৌকা পাওয়া গেলো আরারাত পর্বতে!
- শেখ হাসিনা-জো বাইডেনের একান্তবৈঠকের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগের
- মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- আজ ১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস
- আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর
- কত দিতে হলো মুক্তিপণ?
- মুকসুদপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা, প্রাণ গেল দুই বাইকারের
- মুকসুদপুরে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার
- ঢাকায় মিলছে উটের দুধের চা
- কলকাতায় হিরো আলমকে সংবর্ধনা
- গোপালগঞ্জে ভাসুরের বিরুদ্ধে গৃহবধূর উপর এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ
- এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ
- সেনেগালের বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশি হাফেজ আবু রায়হানের ‘বিশ্বজয়’
- কাশিয়ানীতে মধুমতি বাঁওড়ে ডু’বে স্কুল ছাত্রের মৃ’ত্যু