• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

কোরআনে করোনাসহ বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি ও গজব-আজাবের বিবরণ

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২০  

গোটা বিশ্ব এখন থমকে গেছে। করোনা আতঙ্কে বিশ্ব মানুষ। ভয়ে জর্জরিত। নির্বাক চিকিৎসা বিজ্ঞানীরাও। কি হবে এ রোগের চিকিৎসা? মানুষ কাঁদছে। দু’হাত তুলে কাঁদছে।

করোনা আক্রান্ত ছেলের কাছে যেতে পারছে না মা, মায়ের কাছে যেতে পারছে না সন্তান। কী ভয়ঙ্কর বিশ্ব পরিস্থিতি। সবাই ব্যস্ত নিজেকে বাঁচাতে। যেন কেয়ামতের পূর্বাভাস। হ্যাঁ! কোরআন এ কথাই বলে। কেয়ামতের পূর্বে এ ধরণের ঘটনা ও পরিস্তিতির বিবরণ দিয়েছে আল কোরআন গত ১৪ শ’ বছর আগেই।

আসুন জেনে নিই করোনাসহ বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি ও গজব-আজাবের ব্যাপারে কোরআন যা বলে-

১. সূরা আহযাব-৯
‘আর তারপর আমি তোমাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে পাঠিয়েছিলাম এক ঝঞ্ঝা বায়ু এবং এক বাহিনী। এমন এক বাহিনী যা তোমরা চোখে দেখতে পাওনি।’

২. সূরা আনআম-৪২
‘তারপর আমি তাদের ওপর রোগব্যাধি, অভাব, দারিদ্র্য, ক্ষুধা চাপিয়ে দিয়ে ছিলাম, যেন তারা আমার কাছে নম্রতাসহ নতি স্বীকার করে।’

৩. সূরা ইয়াসীন-২৮-২৯
‘তারপর (তাদের এই অবিচার মূলক জুলুম কার্য করার পর ) তাদের বিরুদ্ধে আমি আকাশ থেকে কোনো সেনাদল পাঠাইনি। পাঠানোর কোনো প্রয়োজনও আমার ছিল না । শুধু একটা বিস্ফোরণের শব্দ হলো, আর সহসা তারা সব নিস্তব্ধ হয়ে গেল (মৃত লাশ হয়ে গেল )।’

৪. সূরা আরাফ-১৩৩
‘শেষ পর্যন্ত আমি এই জাতিকে পোকামাকড় বা পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ, রক্ত, প্লাবন ইত্যাদি দ্বারা শাস্তি দিয়ে ক্লিষ্ট করি।’

৫. সূরা বাকারা-২৬
‘নিশ্চয়ই আল্লাহ মশা কিংবা এর চাইতেও তুচ্ছ বিষয় (ভাইরাস বা জীবাণু ) দিয়ে উদাহরণ বা তাঁর নিদর্শন প্রকাশ করতে লজ্জাবোধ করেন না।’

৬. সূরা আরাফ-৯৪
‘ওর অধিবাসীদেরকে আমি দুঃখ, দারিদ্র্য রোগ-ব্যধি এবং অভাব-অনটন দ্বারা আক্রান্ত করে থাকি। উদ্দেশ্য হলো তারা যেন, নম্র এবং বিনয়ী হয় ।

৭. সূরা মুদ্দাসসির-৩১
তোমার ‘রবের’ সেনাদল বা সেনাবাহিনী (কত প্রকৃতির বা কত রূপের কিংবা কত ধরনের ) তা শুধু তিনিই জানেন।’

৮. সূরা আনআম-৬৫
‘তুমি তাদের বলো যে, আল্লাহ তোমাদের ঊর্ধ্বলোক হতে বা উপর থেকে এবং তোমাদের পায়ের নিচ হতে শাস্তি বা বিপদ পাঠাতে পূর্ণ সক্ষম।’

৯. সূরা আরাফ-৯১
‘তারপর আমার ভূমিকম্প তাদেরকে গ্রাস করে ফেললো। ফলে তারা তাদের নিজেদের গৃহেই মৃত অবস্থায় উল্টো হয়ে পড়ে রইল।’

১০. সূরা কামার-৩৪
‘তারপর আমি এই লূত সম্প্রদায়ের ওপর প্রেরণ করেছিলাম প্রস্তর বর্ষণকারী এক প্রচন্ড ঘুর্ণিবায়ু।’

১১. সূরা ইউনুস-১৩
‘অবশ্যই আমি তোমাদের পূর্বে বহু জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছি, যখন তারা সীমা অতিক্রম করেছিলো।’

১২. সূরা সাবা-১৬
‘তারপর প্রবল বন্যার পানি তৈরি করলাম এবং ফসলি জমিগুলো পরিবর্তন করে দিলাম। অকৃতজ্ঞ অহংকারী ছাড়া এমন শাস্তি আমি কাউকে দিই না।’

১৩. সূরা বাকারা-১৪৮
‘নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রতিটি বস্তুর ওপর (অর্থাৎ আরশ, পঙ্গপাল কিংবা ভাইরাস) সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান, সবই তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন।’

১৪. সূরা বাকারা-১৫৫
‘আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে কিছু ভয়, ক্ষুধা, জান-মালের ক্ষতি এবং ফল-ফলাদির স্বল্পতার মাধ্যমে পরীক্ষা করব। তবে তুমি ধৈর্যশীলদেরকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও।’

১৫.  সূরা সাফফাত-১৭৩
‘আর আমার বাহিনীই হয় বিজয়ী (আমার পরিকল্পনা পূর্ণ করে)।’

১৬. সূরা আনআম-৪৪-৪৫
অতঃপর যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদেরকে উপদেশ এবং দিক-নির্দেশনা দেয়া হলো, তারা তা ভুলে গেল ( আল্লাহর কথাকে তুচ্ছ ভেবে প্রত্যাখ্যান করলো ) তাদের এই সীমালঙ্ঘনের পর আমি তাদের জন্যে প্রতিটি কল্যাণকর বস্তুর দরজা খুলে দিলাম অর্থাৎ তাদের জন্যে ভোগ বিলাসিতা, খাদ্য সরঞ্জাম, প্রত্যেক সেক্টরে সফলতা, উন্নতি এবং উন্নয়ন বৃদ্ধির দরজা সমূহ খুলে দিলাম । শেষ পর্যন্ত যখন তারা আমার দানকৃত কল্যাণকর বস্তু সমূহ পাওয়ার পর আনন্দিত, উল্লাসীত এবং গর্বিত হয়ে উঠলো, তারপর হঠাৎ একদিন আমি সমস্ত কল্যাণকর বস্তুর দরজা সমূহ বা সুযোগ-সুবিধা দেয়ার দরজাসমূহ বন্ধ করে দিলাম। আর তারা সেই অবস্থায় হতাশ হয়ে পড়লো। তারপর এই অত্যাচারী সম্প্রদায়ের মূল শিকড় কর্তিত হয়ে গেল এবং সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্যেই রইলো, যিনি বিশ্বজগতের কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালনকারী বা সবকিছুর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণকারী ‘রব’।’

১৭. সূরা ত্বাহা-১৪
‘নিশ্চয়ই আমিই হলাম ‘আল্লাহ’। অতএব, আমার আইনের অধীনে থাকো।’

১৮. সূরা মূলক-১৬-১৭
‘তোমরা কি ভাবনা মুক্ত হয়ে গিয়েছো যে, আকাশে যিনি আছেন, তিনি তোমাদেরসহ ভূমিকে ধ্বসিয়ে দেবেন না? অথবা তোমাদেরকে ভূগর্ভে বিলীন করে দেবেন না? এমন অবস্থায় যে ভূগর্ভ তথা জমিন (আল্লাহর নির্দেশে) আকস্মিক ভাবে থরথর করে কাঁপতে থাকবে বা ভূমিকম্পকে চলমান করে দেয়া হবে।’

১৯. ‘সূরা আ’রাফ-১৩০
‘তারপর আমি ফেরাউনের অনুসারীদেরকে কয়েক বছর পর্যন্ত দুর্ভিক্ষে রেখেছিলাম এবং অজন্ম ও ফসলহানি দ্বারা বিপন্ন করেছিলাম। (সংকটাপন্ন এবং বিপদগ্রস্থ অবস্থায় রেখেছিলাম ) উদ্দেশ্য ছিল, তারা হয়তো আমার পথ-নির্দেশ গ্রহণ করবে এবং আমার প্রতি বিশ্বাস আনয়ন করবে। (আমার আধিপত্য স্বীকার করে নিবে)।’

২০. সূরা আরাফ-৯৭-৯৮
‘জনপদের অধিবাসীরা কি ভাবনা মুক্ত হয়ে গিয়েছে সেই আল্লাহর বিষয়ে যে, তিনি তাদের ওপর ঘুমন্ত অবস্থায় শাস্তি পাঠাবেন না? যে শাস্তি তাদেরকে গ্রাস করে ফেলবে! নাকি জনপদের অধিবাসীরা চিন্তা মুক্ত হয়ে গিয়েছে এই বিষয়ে যে, আমি তাদের ওপর শাস্তি পাঠাবো না, এমন অবস্থায় যে যখন তারা আমোদ-প্রমোদে লিপ্ত ছিল?’

২১. সূরা ফার্জ ৬-১৪
‘আপনি কি দেখেননি, আপনার ‘রব’ আদ বংশের ইরাম গোত্রের সঙ্গে কি আচরণ করেছিল? যাদের দৈহিক গঠন ছিল, স্তম্ভ এবং খুঁটির ন্যায় দীর্ঘ এবং তাদেরকে এত শক্তি ও বলবির দেয়া হয়েছিল যে, সারা বিশ্বের শহরসমূহে অন্য কোনো মানব গোষ্ঠীকে দেয়া হয়নি। এবং সামুদ গোত্রকে যারা উপত্যকায় পাথর কেটে গৃহ নির্মাণ করতো এবং বহু সৈন্যবাহিনীর অধিপতি ফেরাউনের সঙ্গে, যারা দেশের সীমা সমূহ লঙ্গন করেছিলো। অতঃপর সেখানে বিস্তর অশান্তি সৃষ্টি করেছিল। তারপর আপনার ‘রব’ তাদের ওপর শাস্তির কশাঘাত করলেন। নিশ্চয়ই আপনার ‘রব’ প্রতিটি বিষয়ের ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখেন।’

২২. সূরা আলে ইমরান-১৭৮
‘আমি জালিমদেরকে সুযোগ দিই বা বেঁচে থাকার সময় দেই, তাদের পাপকে পাকাপোক্ত করার জন্য।’

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ