• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

গবেষণা: প্রতিদিন শিশুর পেটে যাচ্ছে ১৬ লাখ প্লাস্টিক কণা

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০২০  

পানি বা কোমল পানীয় কিনে খাই আমরা হরহামেশাই। তবে অনেকেই আছেন বোতলটি আর ফেলে দেন না। পরবর্তিতে আবারো পানি রাখার কাজে ব্যবহার করেন। এই ছোট্ট ভুলই আপনার মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য। 

প্লাস্টিকের বোতলে শিশুকে দুধ বা পানি খাওয়ানো হয় বেশিরভাগ সময়। যে প্লাস্টিকের বোতলের মাধ্যমে শিশুদের দুধ খাওয়ানো হয়। সেসময় বোতলের দুধের সঙ্গে প্রতিদিন গড়ে ১৬ লাখ প্লাস্টিক কণা শিশুদের পেটে ঢুকে যাচ্ছে, এমনটাই দাবি আয়ারল্যান্ডের এক গবেষণায়। 

খাবারের প্যাকেট, বোতল, টি-ব্যাগসহ নানা উপকরণ থেকে প্রতিদিন প্লাস্টিকের অতিক্ষুদ্র লাখো কণা অজান্তেই মানুষের পেটে ঢুকে যাচ্ছে। এসব প্লাস্টিকের কণা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর।

আয়ারল্যান্ডের গবেষকরা জানান, শিশুদের খাওয়ানোর জন্য ব্যবহার হয় পলিপ্রপাইলিন থেকে তৈরি এমন ১০ ধরনের বোতল ও সরঞ্জাম নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জীবাণুমুক্তকরণ ফর্মুলা ব্যবহার করে ২১ দিনের পরীক্ষা চালানো হয়েছে।

এতে দেখা গেছে, এই সময়ের মধ্যে বোতল ও সরঞ্জামে ১৩ লাখ থেকে এক কোটি ৬২ লাখ প্লাস্টিক কণা প্রতি লিটার পানিতে মিশেছে। দেশটিতে বোতলে করে শিশুকে দুধ খাওয়ানোর প্রবণতা নিয়ে গবেষণা করা হলেও পরে এর মাধ্যমে বৈশ্বিক চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়।

ন্যাচার ফুড নামে জার্নালে প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়েছে, বিশ্বে যেসব শিশুকে বোতলে দুধপান খাওয়ানো হয়, তাদের প্রত্যেকেই দৈনিক গড়ে ১৬ লাখ প্লাস্টিক কণা খেয়ে থাকে।

২৫ থেকে ৯৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় প্রতি লিটারে ছয় লাখ থেকে পাঁচ কোটি ৫০ লাখ প্লাস্টিক কণা ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। উন্নত দেশগুলোতেই এর ভয়াবহতা বেশি। উত্তর আমেরিকায় গড়ে প্রতিদিন শিশুরা ২৩ লাখ এবং ইউরোপে ২৬ লাখ প্লাস্টিক কণা খেয়ে থাকে।

ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজের গবেষকরা জানান, তাদের এই গবেষণার অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে– অভিভাবকদের বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করা। প্লাস্টিক কণা খাওয়ার কারণে শিশুদের শরীরে ঠিক কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে তাও তারা জানেন না। এ নিয়ে বিশদ গবেষণা প্রয়োজন। 

সূত্র: এএফপি 

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ