গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠায় সংসদে বিল

গাজীপুর শহর ও তৎসলগ্ন এলাকায় পরিকল্পিত নগরায়নের উদ্দেশ্যে ‘গাজীপুর  উন্নয়ন কতৃপক্ষ আইন-২০২০’ নামে একটি বিল জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। ওই বিলে কতৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া গাজীপুরে কোন ইমারত নির্মাণ, পুণ:নিমার্ণ, পুকুর বা কৃত্রিম জলাধার খনন, পুন:খনন বা উচুঁ ভূমি কাটা যাবে না- মর্মে বিলে বিধান রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে ত্রিশ কার্যদিবসের মধ্যে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
উত্থাপিত বিলে বলা হয়, গাজীপুর  উন্নয়ন কতৃপক্ষ (জিডিএ) একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হবে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রধান কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত হবে। কতৃপক্ষ পরিচালনার জন্য একজন চেয়ারম্যান, চারজন সার্বক্ষণিক সদস্যসহ ১৫ সদস্যের একটি কমিটি থাকবে। কতৃপক্ষের হবেন কমিটির সচিব। সদস্যরা তিন বছরের জন্য মনোনিত হবেন। কতৃপক্ষ আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ভূমির যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করবেন। অপরিকল্পিত উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ ও আধুনিক পর্যটন ও নগর উন্নয়ন কার্যাবলী গ্রহণ করবেন সংশ্লিষ্টরা। কৃষিভূমি,বনভূমি, নিম্নভূমি, জলাভূমি সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কোন ইমারত নির্মাণ, পুণ:নিমার্ণ, পুকুর বা কৃত্রিম জলাধার খনন, পুন:খনন বা উচুঁ ভূমি কাটা যাবে না বলেও বিলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজীপুর শহর ও তৎসলগ্ন এলাকায় পরিকল্পনা, উন্নয়ন, সংস্কার, এবং সম্প্রসারণের মাধ্যমে পরিকল্পিত নগরায়নের উদ্দেশ্যে গাজীপুর  উন্নয়ন কতৃপক্ষ (জিডিএ) গঠন করা হবে। জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০১৪-এর কার্যবিবরণীতে পরিকল্পিত নগরায়ন এবং জনসাধারণকে নাগরিক সুবিধা দেওয়ার জন্য এ সংক্রান্ত সুপারিশ করা হয়। সে প্রেক্ষিতে  গাজীপুর  উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইনের খসড়া প্রণীত হয়। গত বছরের পহেলা এপ্রিল অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভায় বিলটি অনুমোদিত হয়।