গোপালগঞ্জে জমে উঠেছে শিল্প ও বাণিজ্য মেলা

গোপালগঞ্জে জমে উঠেছে মাসব্যাপী ৬ষ্ঠ শিল্প ও বাণিজ্য মেলা। এ মেলায় বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। প্রতিনিয়ত ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সের দর্শনার্থী। এ মেলা আগামী বছর ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। মেলায় ঘুরে জানা গেছে, গোপালগঞ্জে বিনোদনের তেমন কোন ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন মেলাকেই বেছে নেয় সাধারণ মানুষ। প্রতি বছরের মত এবারও গোপালগঞ্জ আউটার স্টেডিয়ামে জেলা চেম্বার অব কমার্সের উদ্যেগে আয়োজন করা হয়েছে মাসব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্য মেলার। এ মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক সাহিদা সুলতানা। মাসব্যাপী এ মেলায় শাতাধিক স্টলে গহনা, পোশাক, গৃহস্থলির আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানিরা। আর এসব পণ্য কিনতে শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকে রাত অবধি মেলায় আসছেন বিভিন্ন বয়সের দর্শনার্থী। মেলায় ঘুরেফিরে পছন্দমত জিনিস কিনছেন ক্রেতারা। শুধু বড়দের জন্যই নয়, শিশুদের জন্য সার্কাস, নাগরদোলা, সেলফি টাওয়ার, খাবার দোকানসহ বিভিন্ন রাইডের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিভিন্ন পণ্যের পসরা বসায় প্রতিদিন গড়ে মেলায় ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার পণ্য কেনা-বেচা হচ্ছে। তবে শীতের প্রকোপ কমে গেলে বেচাকেনার পরিমাণ বাড়বে। শুধু কেনাকাটাই নয় মেলায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা স্মৃতি ধরে রাখতে তুলেছেন সেলফি। বাচ্চাদের নিয়ে উঠছেন নগারদোলা, নৌকাসহ বিভিন্ন রাইডে। দেখছেন সার্কাস। মেলায় রয়েছে টিকিটের ব্যবস্থা। প্রত্যেক দর্শনার্থীকে ১০ টাকা মূল্যে একটি টিকিট কিনে মেলায় প্রবেশ করতে হচ্ছে। টিকিটের বাড়তি অংশ মেলার পাশে রাখা কুপন বক্সে ফেলছেন দর্শনার্থীরা। এছাড়া মেলার শেষ দিনে অনুষ্ঠিত হবে র‍্যাফেল ড্র। মেলায় ঘুরতে আসা সম্পা সাহা, অমেনা খানম ও সুপ্তি রায় বলেন, গোপালগঞ্জে বেড়ানোর মত তেমন একটা জায়গা নেই। মেলা হওয়ার কারণে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরে বেড়ানো যাচ্ছে।

বিভিন্ন দোকান ঘুরে পছন্দ মতো জিনিসপত্র কিনতে পারছি। দোকানি ইসমাইল শেখ ও রফিকুজ্জামান মোল্যা জানান, মেলার প্রথম কয়েকদিন কেনা-বেচা খুবই কম ছিল। মেলার দিন যত যাচ্ছে ততই কেনা-বেচা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কয়েকদিন প্রচন্ত শীতের কারণে কেনাবেচা কম। গোপালগঞ্জ শিল্প ও বাণিজ্য মেলা কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর সিকদার বলেন, মেলায় শতাধিক ষ্টল রয়েছে। এসব স্টলে নানা রকমের পণ্য বেচা-কেনা হচ্ছে। এছাড়া আগত দর্শনার্থীদের আনন্দ দানে সেলফি টাওয়ার, ঝর্ণাসহ বিভিন্ন বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, মেলায় আগত দর্শনার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করতে পারে সে জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি ডিবি ও মেলা কমিটির নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী রয়েছে।