• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জে ১৫টি গ্রাম প্লাবিত, সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২০  

গোপালগঞ্জে মধুমতি নদী ও কুমার নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে গেছে গোপালগঞ্জ সদর, কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল। এতে ওই তিন উপজেলার অন্তত ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

বাড়িতে পানি ঢুকে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে ওইসব গ্রামের বাসিন্দারা। অনেকে গবাদি পশুসহ স্থানীয় স্কুল ও সড়কের পাশে আশ্রয় নিয়েছেন।  

গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, মধুমতি নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার এবং মাদারীপুর বিল রুট ক্যানেল পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে সরেজমিন পানিবন্দি এসব গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, জেলার মধুমতি নদী ও কুমার নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সদর উপজেলার উলপুর, নিজড়া, হরিদাসপুর, কাশিয়ানী উপজেলার সিংগা, হাতিয়াড়া, পুইশুর, মুকসুদপুর উপজেলার দিগনগর ইউনিয়নের অন্তত ১৫ গ্রামের সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বাড়ি-ঘর তলিয়ে যাওয়ায় স্থানীয় স্কুল ও সড়কের পাশে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। কাঁচা ও আধা পাকা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় চরম দূরাবস্থার মধ্যে পড়েছে এসব এলাকার মানুষ। ইতোমধ্যে শতাধিক মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। ওইসব ঘের মালিকরা নেট দিয়ে মাছ রক্ষার চেষ্টা করছেন।

এদিকে, নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় বাড়ি ঘর বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় কাশিয়ানী উপজেলার সিংগা ইউনিয়নের সিংগা হাইস্কুল ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৫০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে এবং সদর উপজেলার উলপুর ইউনিয়নের ১৫টি পানিবন্দি পরিবার উলপুর হাইস্কুলে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া পানিবন্দি পরিবারগুলো উঁচু সড়কের পাশে অবস্থান নিয়েছে।

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পানিবন্দি সদর উপজেলার নিজরা ইউনিয়নের ৩০টি ও উলপুর ইউনিয়নের ২০টি পরিবারের মধ্যে চাল, চিড়া, মুড়ি, সুজি, তেলসহ বিভিন্ন খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়। এ খাদ্য সহায়তা বিতরণকালে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনোয়ার হোসেন, নিজরা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, উলপুর ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান বাবুল উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া কাশিয়ানী উপজেলার সিংগা ইউনিয়নের পানিবন্দি ৯৬টি পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে।
 
কাশিয়ানী উপজেলার সিংগা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রণব সরকার জানান, শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ৩০৫টি পরিবারের তালিকা করা হয়েছে। যাদের বাড়ি ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। এরমধ্যে ৯৬টি পরিবারের জন্য উপজেলা প্রশাসন ত্রাণ পাঠিয়ে। বাকি পরিবারগুলোকে ত্রাণ দেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা জানান, ইতোমধ্যে দুর্গতদের সাহায্যের জন্য ১৫০ মেট্রিক টন চাল ও আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ত্রাণ দেওয়া শুরু হয়েছে। সার্বক্ষণিকভাবে জেলার সর্বত্র খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ