গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের পরীক্ষামূলক উৎপাদন চলছে

স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে গ্রীষ্মকালে নতুন একটি জাতের পেঁয়াজের পরীক্ষামূলক উৎপাদন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। জাতটির ফলন ভালো হলে ভবিষ্যতে দেশব্যাপী চাষাবাদের পরিকল্পনা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১২তম বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।

কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটি সদস্য কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, মো. মোসলেম উদ্দিন, মো. মামুনুর রশীদ কিরন, আনোয়ারুল আবেদীন খান, জয়াসেন গুপ্তা, উম্মে কুলসুম স্মৃতি ও হোসনে আরা বৈঠকে অংশ নেন।

দেশি পেঁয়াজের মৌসুমে কৃষকরা যাতে ন্যায্যমূল্য পান, সে লক্ষ্যে সরকার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি নিষিদ্ধ না করা হলেও এলসি বন্ধ রাখা হয় বলে বৈঠকে জানানো হয়। পেঁয়াজের ‘হঠাৎ সংকট’ কাটাতে কমপক্ষে ৬ মাস আগেই পরিকল্পনা গ্রহণ করার বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়েছে।

বৈঠকে ‘ভেজাল বীজে দিশেহারা কৃষক’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় বিএডিসির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত সংবাদটি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে কালোজিরার বহুবিধ ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা হয়। করোনাকালে কালোজিরার উৎপাদন বৃদ্ধিসহ আরও ভালো ব্যবহার প্রসঙ্গে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন দফতর সংস্থার প্রধানসহ মন্ত্রণালয় এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।