• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক গোপালগঞ্জ

জাতিসংঘে পালিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

দৈনিক গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

জাতিসংঘ সদরদপ্তরে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দিবসটিতে ভাষার শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সংঘাত, অসহিষ্ণুতা ও সামাজিক উদ্বেগ মোকাবিলা করার আহ্বান জানানো হয়।

আজ শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের স্থায়ী কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, ক্যামেরুন, মেস্কিকো, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো মিশন এবং জাতিসংঘ সচিবালয় ও ইউনেস্কোর নিউইয়র্ক অফিসের যৌথ উদ্যোগে শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবসটি উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এতে আরও জানানো হয়, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত ভাষণ দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। আলোচনা পর্বে অংশ নেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি তিজানি মোহাম্মাদ বান্দে, ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর স্থায়ী প্রতিনিধি পেনিলোপি আলথিয়া বেকলেস, অস্ট্রেলিয়ার চ্যার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স টিগান ব্রিঙ্ক, ক্যামেরুনের চ্যার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জাকাইরি সারজে রাউল নাইয়ানিদ, মেক্সিকোর চ্যার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হুয়ান স্যানডোভাল মেনডিওলিয়া, জাতিসংঘ মহাসচিবের পক্ষে জাতিসংঘের বৈশ্বিক যোগাযোগ বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মেলিচ্ছা ফ্লেমিং, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ও কনফারেন্স ব্যবস্থাপনা বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলের পক্ষে পরিচালক সিসিলিয়া এলিজালদে। এছাড়া ইউনেস্কোর মহাপরিচালকের পক্ষে নিউইয়র্কে ইউনেস্কো অফিসের পরিচালক মারিয়ে পাওলি রোউডিল মহাপরিচালকের বাণী পড়ে শোনান।

স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, বাংলাদেশই বিশ্বের একমাত্র দেশ যারা মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা বাংলা রক্ষার জন্য যে সকল ভাষা শহীদগণ প্রাণ দিয়েছিলেন তাঁদের প্রতি সত্যিকারের সম্মান দেখানো হয়েছে ইউনেস্কোর ১৯৯৯ সালে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে। স্বীকৃতি দানের এ পদক্ষেপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রণী ভূমিকা ও বিচক্ষণ নেতৃত্ব নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।

স্থায়ী প্রতিনিধি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, জাতির পিতা ১৯৫২ ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আর এ ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই ১৯৭১ সালে আমরা অর্জন করেছি মহান স্বাধীনতা।

এবছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘ভাষার কোনো সীমানা নেই’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, ভাষার শক্তি সীমান্ত অতিক্রম করে যায় এবং ভিন্ন ভিন্ন মানুষ ও তাদের সংস্কৃতিসমূহকে সংযুক্ত করে। লুপ্ত প্রায় ভাষা সংস্কৃতিসহ বিশ্বের সব ভাষা ও সংস্কৃতির সুরক্ষার জন্য তিনি সদস্য রাষ্ট্রসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানটিতে নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাগরিক, মুক্তিযোদ্ধা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগসহ আওয়ামী পরিবার, জাতিসংঘে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মকর্তা এবং অন্য সামজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অংশগ্রহণ করেন।

দৈনিক গোপালগঞ্জ
দৈনিক গোপালগঞ্জ